রোহিঙ্গাদের 'আর্তনাদ"নামের বইটি কেবল সময়ের দলিল নয়,সংখ্যালঘু একটি জাতির চরম মানবাধিকার লঙ্গনে ইতিহাসের সাক্ষী।রাষ্ট্র,রাজনীতি,অর্থনীতি জটিল আবর্তে ঠিকানা বদলায় মানুষ।একশ্রেণী উন্নত বিশ্বের অভিবাসনের প্রত্যাশায় স্বেচ্ছায় শেকড়ের টান ছেড়ে নির্বাসনে যাচ্ছে,অন্য শ্রেণিটি সাম্প্রদায়িক,সংখ্যালঘু ধর্মমত কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাধ্য হচ্ছে অজানা ঠিকানায় পা বাড়াতে।তাদের একমাত্র উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে আত্নরক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা।জাতিগত ও ধর্মগত কারণে আজ তারা উদ্ধাস্তু,তাদের যাত্রা দীর্ঘ,কষ্টসাধ্য,মর্মান্তিক। সভ্যতাবিরোধী জাতিবিদ্ধেষের ইতিহাসে যাত্রা শুরু ঔপনিবেশিক যুগে।ঔপনিবেষক গত হলেও বেঁচে আছে তাদের রাজনীতি।এর একটি বাস্তব উদাহরণ বর্মি সেনাদের হাতে রোহিঙ্গা নির্যাতন।শতবর্ষ আগে রেখে যাওয়া পূর্বপুুরুষদের ভিটেমাটি,যে মাটির ধুলো গায়ে মেখে কেটেছে শৈশব,কৈশোর,যৌবন,ঘুরে বেড়িয়েছে পাহাড় জঙ্গলে,সে দেশ তাদের নয়।আজ তারা বিতাড়িত,উদ্ধাস্তু,পথের মানুষ।পথই হয়েছে তাদের ঠিকানা। বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে রোহিঙ্গাদের ব্যথিত হৃদয়ের অশ্রু,গল্প নয়,সবই বাস্তব।পাঠকের কাছে লেখকের নিরপেক্ষতা,সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জাতির চরম মনাবাধিকার লঙ্গনের ইতিহাস 'আর্তনাদ' নামক বইটিতে সুস্পষ্টভাবে ধরা দেবে।
জন্ম ১৯৯০ সালের ০৮ আগস্ট সিরাজগঞ্জের হাটবায়রা গ্রামের মাতুলালয়ে। গ্রামের বাড়ি পাবনার আমিনপুর থানার সিন্দুরী গ্রামে। বাবা আবদুল বাসেদ, বা খালেদা বেগম। বাবা সরকারি চাকুরে। শৈশব কেটেছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে। ২০০৮ সালে এইচএসসি ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে। সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি ২০১০ সালে দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায়। বর্তমানে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় স্টাফ রিপাের্টার হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ঢাকা জজকোর্টে আইন পেশায় নিয়ােজিত। পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা থেকে এ বই লেখার সিদ্ধান্ত। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জীবনকাহিনি নিয়ে লেখা ‘আর্তনাদ’ তার প্রথম প্রকাশিত বই।