সাজেককে ‘বাংলার দার্জিলিং’ বলা হয়।এখানে পাহাড় আর মেঘ খেলা করে।দিনরাত যখন তখন বৃষ্টি নেমে আসে।সাজেকের সবুজ অপূর্ব এক স্নিগ্ধতা ভরে তোলে দু‘চোখ।এর সৌন্দর্য উঁচু-নিচু পাহাড়-টিলার পিচঢালা পথ ধরে দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তি মূহুর্তে উধাও করে দেয়।সাজেক যেতে হয় জীপগাড়িতে।ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি যাত্রী বহনে নৈপুণ্য তার।এই জীপের নাম ‘চান্দের গাড়ি’।নামটা কে দিলো?যে-ই দিক,তার দার্শনিকতার প্রশংসার করতে হয়।পাহাড়ী ঝুঁকিময় রাস্তা থেকে এ গাড়ি ফসকে পাশের খাদে পড়লে যাত্রীদের দেহখানার অচিন পাখি যে সরাসরি চান্দে পৌছে যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আরেক সর্পিল সড়কে মারাকেশ থেকে জাগুরা।এই পথ ধরে গাড়ি চলে সাহারা’র পথে।সকালের শান্ত-স্নিগ্ধ মারাকেশ শহর ছেড়ে গাড়ি যাচ্ছে এটলাস পর্বতের দিকে ।মারাকেশ এক সময় মিইয়ে গেল।সমতল থেকে গাড়ি উঠতে থাকে উপরের দিকে।এটলাস ভেদ করে মাঝে-মধ্যে ঝলক দিচ্ছে সে র্যের আলো।আঁকাবাকা পাহাড়ী পথ।কখনও খাড়া পাথুরে পাহাড়,আবার কখনো ঢাল।গভীর খাদ।চোখে পড়তেই ভয়ে শিউরে উঠার মতো অবস্থা।গাড়িগুলো যদি খাদে পড়ে যায় আমাদের হাড্ডিগুলো কোথায়,তা-ও কেউ জানতে পাবে না।গাড়ি আঁকাবাঁকা পথ ধরে ক্রমেই সামনের দিকে এগুচ্ছে আর খাড়া পাহাড়ের চূড়ায় উঠছে।কখনও আবার নিচে নেমে আসছে।এমন পাহাড়ি পথ দেখে একবারও চোখের পলক পড়লো না।ভয়ংকর সুন্দর এমন রাস্তা...হঠাৎ টের পাই আমরা এটলাস পর্বতের দিকে ছুটছি।দূর থেকে দেখা যাচ্ছে পর্বতের চূড়ায় সাদা সাদা বরফ।অপূর্ব সৌন্দর্য।পাহাড় আর পাহাড়,সবুজ নেই তেমন একটা।তবুও অমলিন সৌন্দর্য।হিমেল হাওয়া বইছ...।