মাসুদার রহমান এই মুহূর্তে বাংলাদেশ এবং ভারতীয় বাংলা কবিতায় এক সাড়া জাগানো নাম।সেই সাড়া যুদ্ধ বিগ্রহের নয়,সেই সাড়া এক নতুন ঊষায় সাবেকি পাখিদের জেগে উঠার গান ।সামগ্রিক বাংলা কবিতায় রসের যে অশেষ ধারা বয়ে চলেছে,আমরা মাসুদারের কবিতায় তার স্বাদ পাই।নতুন বাঙালীর মেধাবী হাওয়া এবং চিরকালীন বাংলার আন্তরিক মাটি মিলে গড়ে তুলেছে মাসুদারের কবিতাভুবন।ভারতীয় বাংলা কবিতার সঙ্গে সেখানে বাংলাদেশের কবিতার কোনো ভেদ নেই।মাসুদার রহমানের ভূমিকা একজন জাদুকরের।তাঁকে শেকসপিয়ারের ‘দ্য টেম্পস্ট’ নাটকের চরিত্র প্রস্পারো মনে হয়।সমুদ্র মাসুদারের কথা শোনে।আকাশ তাঁর রং বদলায়,মেঘের চাদর পাল্টে নেয়।একরকমের আশ্চর্য রস মাসুদারের কবিতায় অনায়াসে ফুটে ওঠে,যেখানে বাংলার অখণ্ড চরাচর আছে,আছে মানবিক দুঃখ,আছে জাগতিক শোক,আছে জীবনকে দেখে অনাবিল হেসে উঠার সুখ।এইসবই হয়,কারণ,ম্সুদার রহমান শুধু তাঁর কবিতাটাই লেখেন।তিনি একান্তভাবেই নিজস্ব কবিতার লোক ।অন্যদের কবিতার বিশেষ কোনো খুঁজে পাওয়া যায় না।এই প্রভাবহীন উত্তারাধিকার এবং নির্বিকার সমষ্টিবোধ যে আমরা তাঁর কবিতায় পাই,এর ফলে মাসুদার রহমানের লেখনী আমাদের শান্তি দেয়।আজকের বাংলা কবিতায় এমন দীপ্তিমান শান্তিকল্যাণের কবিতা খুব দূর্লভ,খুবই বিরল।