”বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা ” বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা : শেখ হাসিনার শৈশবের কিছুটা সময় কেটেছে গ্রামে। সেই স্মৃতি আজও তাঁকে তাড়িয়ে বেড়ায়। বৈশাখে কাঁচা আম পেড়ে শর্ষেবাটা ও কাঁচা মরিচ মাখিয়ে খেতেন। তারপর কলাপাতা কোনাকুনি করে সেই আম মাখা পুরে তার রস টেনে খেতেন। এ নিয়ে আবার বন্ধুদের সঙ্গে কাড়াকাড়ি-মারামারিও করতেন। কখনও চড়ে বসতেন বরই গাছে। ডাল ঝাকিয়ে পাড়তেন বরই। টপটপ করে বরই পড়ত। সবাই ছুটে আসত দুহাতে কুড়াতে। তবে বৃষ্টির দিনেই বেশি মজা করতেন। তখন বিলে থই থই পানি থাকত। দাদার ছিল বড় এক ডিঙ্গি। সেই ডিঙ্গি নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। পাটক্ষেতের ভেতর দিয়ে বিলের মাঝে সেই গ্রাম, সবুজ প্রকৃতি, মধুমতী নদীর শীতল বাতাস আজও শেখ হাসিনার মনকে ব্যাকুল করে। যেখানেই থাকেন না কেন, তার মন পড়ে থাকে গ্রামে। সময় পেলেই ছুটে যান গ্রামের নিঝুম পরিবেশে বাবার মাজারের কাছে। এখনও হারিয়ে যান শৈশবের স্মৃতিপটে। কল্পনায় হাঁটেন গ্রামের সেই পথে। ভাবেন শৈশবের সেই গ্রামকে যদি ফিরে পেতেন। গ্রামের মেঠোপথটি যখন দূরে কোথাও হারিয়ে যায়, তখন গলা ছেড়ে গাইতে ইচ্ছে করে- গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ, আমার মন ভােলায় রে। তারপর কত পথ পাড়ি দিয়ে বাবা-মা, ভাইদের হারিয়ে দীর্ঘদিন নির্বাসনে কাটিয়ে আবারও ফিরে এসেছেন এই বাংলায়। সব কষ্ট বকে চেপে দাঁড়িয়েছেন বাঙালির পাশে। সংগ্রাম করেছেন গণতন্ত্র উদ্ধারে। আজও সেবা করছেন দেশ ও জাতির। স্বপ্ন তার, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যশূন্য, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি মুক্ত, শান্তি ও সম্প্রীতিতে স্বনির্ভর একটি দেশ গঠনের । ‘বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা’ বইটিতে শেখ হাসিনার জীবনের সেই চিত্র ফুটে উঠেছে।
আমি শামস সাইদ। আশির দশকের মাঝামাঝি কোনাে এক বসন্তে পিরােজপুর জেলার, ভাণ্ডারিয়ায় আমার জন্ম হয়েছে । One bright book of life, এমন একটি উপন্যাস লেখার স্বপ্ন আমার । ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয়েছে ক্রুশবিদ্ধ কলম। ২০১৮ সালে ‘ধানমন্ডি ৩২ নম্বর’ । জানি না কবে One bright book of life, এমন একটি উপন্যাস লিখতে পারব। তবে সারাজীবন চেষ্টা করে যাব। যেদিন এমন একটি উপন্যাস লিখতে পারব সেদিনের পর আর উপন্যাস লিখব না।