"মহাসত্যের সন্ধানে ২৫০ বছর: হযরত সালমান ফারসী রা. " বইয়ের ফ্ল্যাপের কথা” ‘মহাসত্যের সন্ধানে ২৫০ বছর।' কথাটি শুনলেই আঁৎকে উঠতে হয়। হ্যা, এটি নিছক কোনাে গল্প নয়, এ এক সত্যসন্ধানী সাধকের বাস্তব ঘটনা। এটি গুপ্তধন পাওয়ার আকুতির কাহিনি। এটি এক মুক্তিকামী মনীষীর আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার অমর কিস্সা। পৃথিবীর ইতিহাসে সত্য ও সুন্দরের এতটা অনুরাগীর দেখা মেলা ভার। মহাসত্যের হাতছানি যে মানুষের সকল কষ্টকে কুসুম বানিয়ে দেয় তার বাস্তব নজির এই মহামনীষীর জীবন। ‘কষ্টে মিষ্ট মিলে কিংবা সবুরে মেওয়া ফলে প্রবাদ আবারও তার অস্তিত্ব জানান দিয়েছে এই মহাসাধকের অবয়বে। মহান স্রষ্টা এ সত্যানুসন্ধানীর মনের আকুতি মঞ্জুর করেছেন। সুদীর্ঘ আড়াইশ বছর (কোনাে বর্ণনায় ২৯০ বছর) হায়াত পান তিনি। মহাসত্যের সন্ধানে পথেঘাটে, বন্দরে-করে, পল্লি থেকে পল্লিতে, দেশ হতে দেশান্তরে কাটান এই সুদীর্ঘকাল। এ সময়ে পৃথিবীর নানা ভূখণ্ডের আলাে বাতাস দেখেন তিনি। দেখেন নানা পরিবর্তন, নানান চড়াই উড়াই। নানান দেশের মানুষের। চালচলনের সাথেও হন পরিচিত। দেশ হতে দেশান্তরে পাড়ি দেন সত্যের হীরা মানিক আয়ত্ত করতে। অন্যায়ভাবে ক্রীতদাস হিসেবে দশজনের অধিক মালিকের হাত বদল হন। [বুখারি, হাদিস নং ৩৬৬১) অবশেষে বিশ্বজাহানের অধিপতি তাঁর প্রতি সদয় হন। তার ইচ্ছার তরি তীরে ভিড়ে। তার হাতে ধরা দেয় এক স্বপ্নীল চাঁদ। পেয়ে যান বহুল প্রত্যাশিত সােনালি পথ। বয়ােজ্যেষ্ঠ হওয়ার সুবাদে নানা সময় নানাজনের কাছে তাকে বলতে হয় আপন জীবনের গল্প। হৃদয় জাগানাে সেই সােনাঝরা গল্পের চুম্বকাংশ তাঁর নিজের মুখেই শােনা যাক
"মহাসত্যের সন্ধানে ২৫০ বছর: হযরত সালমান ফারসী রা. " বইয়ের পিছনের কথা” কালের খেয়ায় চড়ে বহু মহামনীষী যুগে যুগে তিলােত্তমা বসুন্ধরাকে অপরূপ আলপনায় সাজান। তাঁরা জন্ম নিয়ে হন ক্ষণজন্মা। মানব থেকে বনেন মহামানব। খ্যাতির পাখায় ভর করে উড়েন জগৎখ্যাতির বিশাল আকাশে। তাঁদের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে যুগ থেকে যুগান্তরে। কাল থেকে কালান্তরে। শিশুর ললাটপাটের ন্যায় তাঁদের মাঝে ফুটে ওঠে নির্মল রহস্য। স্রষ্টার নির্বাচিত ঐশীমানবগণ সন্দেহাতীতভাবে প্রশ্নের ঊর্ধ্বে। তাঁদের প্রদর্শিত মহাসত্যের সিন্ধ সেচে মুক্তো আনার দুঃসাহস কম লােকেরই হয়ে থাকে। কিন্তু হাতেগােনা অনুসন্ধিৎসুগণের মধ্যে সালমান ফারসী স্বমহিমায় ভাস্বর। মহাসত্যের কণ্টকাকীর্ণ বন্ধুর পর্বতজয়ী এ সত্যসেনানী তিন তিনটি ধর্মের রাজসাক্ষী। এ সত্যসন্ধানী সুদীর্ঘ আড়াইশ বছর কাল ধরে স্বীয় জানার ঝুলি বয়ে বেড়ান। তাঁর মহাসত্য সন্ধানের অমর চিত্র নিপুণ হাতে এঁকেছেন নতুন প্রজন্মের আশা জাগানিয়া সুলেখক মাওলানা এসএম আনওয়ারুল করীম। শব্দের মাধুরীতে সাম্প্রতিক সময়ে এমন রসালু আখ্যান তুলে ধরার নজির আমার চোখে আর পড়েনি। বইটির সৌকর্যময় আকর ও সরল উপস্থাপনা আমায় বিমােহিত করেছে। পাঠক মহল এতে যেমন পাবে প্রাণের খােরাক তেমনি মিলবে সত্য ও সুন্দরের প্রেরণা।