“জীবনানন্দের মায়াবাস্তব" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ আকাশের ওপারে আকাশের মতাে, জীবনানন্দের ভেতরে আরাে আরাে জীবনানন্দের উন্মােচন হয়তাে বাংলা কবিতার অন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে । আধুনিকতাবাদী নজরে এ জীবনান্দ অচেনা। বেশিরভাগ সমালােচক তাঁকে নির্জনতা, বিষাদ, মৃত্যু ও ব্যর্থতার কুয়াশায় ঢেকেই দিয়েছেন প্রায় । দাশ কবির কাব্যজগতকে দেখার এসব অভ্যাসকে প্রশ্ন করা হয়েছে এই বইয়ে বাংলার নন্দনের শক্তিশালী উপাদান ‘মায়া’র দাবি নিয়ে হাজির তিনি । এই মায়া ইস্যুসন’ না, হারানােকে ফিরে পাবার টান। বিষাদের কবি তিনি, অবসাদের নন অনুভূতির মহাফেজখানা তাঁর কাব্য। বিজ্ঞানে একধরনের সত্য খোজা হয়, শিল্পে তা খোঁজা হয় শিল্পীর কল্পনামনীষার নিয়মে। ‘বনলতা সেন’ ইতিহাসের সেই মনের মানুষ, যে ইতিহাসের সঙ্গে প্রেম ও বিরহ এই কবির। নারী ও সময় যেন তার কবিতাকে মাধ্যাকর্ষ ও মহাকর্ষ বলের মতাে টানে। বিদিশা সম্প্রদায় যেভাবে তার আদিপুস্তকের কাছে ফেরে, রূপসী বাংলার কাছে সেভাবে ফিরে ফিরে আসবে নােঙর হারিয়ে ফেলা মানুষ, বিচ্ছিন্নতায় ব্যথিত মানুষ। কবিরে পাবে না তার জীবনচরিতে’ এই কথাটি মান্য করে জীবনানন্দের কবিতার সাক্ষ্যেই খোঁজা হয়েছে জীবনানন্দের কল্পনাপ্রতিভার ঠিকানা। কবিতার পাঠককে কম পরিচিত পথে টানবে জীবনানন্দের মায়াবাস্তব