"ময়মনসিংহ গীতিকা" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: ময়মনসিংহ গীতিকা বাংলাদেশের লােকসাহিত্যে একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ আসন অলঙ্কৃত করে আছে। ডঃ দীনেশচন্দ্র সেন সঙ্কলিত চারখণ্ডে প্রকাশিত পূর্ববঙ্গ গীতিকার প্রথম খণ্ডে যে দশটি পালাগান স্থান পেয়েছে সেগুলােই ময়মনসিংহ গীতিকা। এগুলাে তৎকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকার বর্তমান কিশােরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষের মুখ থেকে সংগৃহীত। পল্লীর কবিগণের এসব অনন্য সৃষ্টি দেশে বিদেশে মনীষীবৃন্দের বিমুগ্ধ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। এসব গীতিকা কাব্যগুণে, কবিগণের অকৃত্রিম আন্তরিকতায়, পল্লীর মানুষের বিরহ মিলনের জীবন রূপায়ণে এবং প্রেমের অনাবিল ত্যাগে সমৃদ্ধ হয়ে যে সৌরভ ছড়িয়েছিল তা আজকের দিনেও অম্লান রয়েছে। তাই অতীতের মত আজকের দিনের রসিক সমাজ এর রসাস্বাদনে পরিতৃপ্ত হতে পারেন। নিজস্ব সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে হলে এসব গীতিকার সহায়তা প্রয়ােজন। তাই নতুন আঙ্গিকে ও আলােচনায় সমৃদ্ধ করে ময়মনসিংহ গীতিকা প্রকাশিত হল। এতে ডঃ দীনেশচন্দ্র সেনের অনুসৃত পাঠই অনুসরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের এই অমূল্য সম্পদ সকল প্রকার পাঠকের কাছে সহজলভ্য করার জন্যই এই উদ্যোগ। আশা করি সবার কাছে বইটি সমাদৃত হবে।
কবি-কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক মাহবুবুল আলম ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলাধীন। হাইধন কান্দি গ্রামের সম্ভ্রান্ত মােল্লা পরিবারে জন্মগ্রহণ। করেন। বাবা বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও স্বনামধন্য। শিক্ষক সাহেব আলী মাস্টার, মা বিদুষী গৃহিণী। রাবেয়া খাতুনের নয় সন্তানের মধ্যে মাহবুবুল আলম। তাদের ষষ্ঠ সন্তান এবং তিন ভাইয়ের মধ্যে মেঝ।। স্থানীয় ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, পাঁচ পুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় । থেকে এস.এস.সি, নিমসার জুনাব আলী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে তেজগাও কলেজ থেকে বি.এ ও এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। সত্তর দশকের গােড়ার দিক থেকে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। সিলেট সমাচার, যুগভেরী, বাংলার। বার্তাসহ সমসাময়িক বিভিন্ন পক্রিকায় লেখালেখির। মাধ্যমে সাহিত্যচর্চার বিকাশ ঘটে। একই সাথে। প্রসূন সাহিত্যাঙ্গনের সম্পাদক হিসাবে। মৌলভীবাজারের সমসাময়িক সাহিত্যানুরাগীদের। মুখপাত্র সাহিত্যের কাগজ প্রসূন সম্পাদনা করেন।। বর্তমানে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন পত্রিকা ও। সাময়িকীতে নিয়মিত কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ,। কলাম লিখছেন। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪২। সাহিত্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি কবিতাঙ্গন। এ্যাওয়ার্ড (২০০৭), পল্লীচিত্র এ্যাওয়ার্ড ২০০৭ এবং ড.মমিনুল হক একাডেমি ইউ.কে এ্যাওয়ার্ড (২০০৮), ভাষা প্রকাশ ও কাব্যমালঞ্জলি পুরস্কার। (২০১০) বিন্দুবিসর্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংসদ, গাইবান্ধা সম্মাননা-২০১১, জাতীয় কবিতা পরিষদ। বুর জেলা শাখা সম্মাননা-২০১১, সংশপ্তক বঙ্গবীর। ওসমানী পদক, অলইডিয়া চিলড্রেন লিটারারী। কষ্টতে উৎপল হােমরায় স্মৃতি পুরস্কার-২০১২। ও ভারতের পূর্ব মেদিনীপুরের কবি ও কবিতা পত্রিকা। সনা -২০১২, সাপ্তাহিক কালপুরুষ পত্রিকা। সমৰ২০১৩, ইংলা কবিতা উৎসব সম্মাননা২০১৩ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রজত ও বন গবেষণা গ্রহের জন্য।