"শিক্ষার ভেতরে বাইরে " ফ্ল্যাপে লেখা কথা: ঢালাও জিপিএ ফাইভ আর মান অর্জন না করেই পাশের প্রবণতা শিক্ষার্থীর অর্জনকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা বিনামূল্যে বলা হলেও দেশের অধিকাংশ স্কুলই মাসে ২০/৩০ টাকা হারে বেতন নিচ্ছে। বিষয়টা এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে, অনেক সরকারি স্কুল এখন শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ভর্তি ফরম বিক্রি করছে চড়া মূল্যে। প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারের (সব আমলেই) যখন কোটি কোটি টাকা বিনিয়ােগ, তখন সামান্য কিছু দুর্বলতা যদি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তথাকথিত শিক্ষিত জনগােষ্ঠী দেশের জন্য হয়ে উঠবে বােঝা। দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৬ হাজার। প্রতিটি বিদ্যালয়ে যদি একজন শিক্ষক এক মিনিট দেরি করে আসেন তাহলে কতাে কর্মঘণ্টা অপচয় হয়? যদি এক মিনিট কম পড়ান কতাে লক্ষ শিক্ষার্থী বঞ্চিত হলাে? যদি এক মিনিট আগে ছুটি দেওয়া হয় তাহলে পুরাে দেশে কতাে কর্মঘণ্টা অপচয় হলাে? আর এই স্কুলগুলােতে যদি একজন শিক্ষক অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে একদিন অনুপস্থিতির সংখ্যা হয় ৬৬ হাজার শিক্ষকের। তদবিরের কারণে যদি একজন যােগ্য প্রার্থীকে রেখে অযােগ্য প্রার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়ােগ দেওয়া হয়, তাহলে কতােগুলাে প্রজন্ম অযােগ্য হিসেবেই গড়ে উঠবে? এরকম হাজারাে প্রশ্নের কোনাে উত্তর আমরা কখনােই খুঁজিনি। এমনকি এগুলােও যে একটা দেশের জন্য বড় সমস্যা তাও কখনাে ভাবিনি। বিশেষ করে যাদের ভাবার দরকার তারাও না।