কালের আবর্তনে সময়ের ব্যবধানে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক গ্রামীণ খেলা। খেলাধুলার অভাবে যুবসমাজ ঝুঁকছে মাদকের দিকে। গ্রামে মাঠের অভাব না থাকলেও খেলাধুলা আয়ােজন করার মতাে লােকের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। শহরে মাঠের অভাবে ছােট্ট সােনামণিরা খেলার সুযােগ পাচ্ছে না। শহরের অধিকাংশ বাচ্চারা কম্পিউটারে গেমস খেলে দুধের স্বাদ ঘােলে মেটাচ্ছে। আজকাল শিশুদের বিনােদনের একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে কম্পিউটার গেমস ও টিভিতে কার্টুন দেখা। এসবের ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। খেলাধুলার মাধ্যমে যে শিশুদের দেহ শুধু সুগঠিত হয় তাই নয়, খেলাধুলার মধ্য দিয়ে মনও প্রফুল্ল হয়। আমাদের দেশের সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। বাংলার ঐতিহ্য হাজার বছরের বেশি পুরনাে। ভাষা ও ঐতিহ্য যেমন পুরনাে ও সমৃদ্ধ তেমন আমাদের দেশের খেলাধুলাও বৈচিত্রপূর্ণ। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের মজাদার খেলাধুলা যা শুধু খেলাতেই সীমাবদ্ধ নেই, আমাদের দেশীয় আচার ও ঐতিহ্যকেও ধরে রেখেছে সমানভাবে। শহরের অধিকাংশ এলাকাতেই নেই পর্যাপ্ত খেলার মাঠ। স্কুলে মাঠ থাকলেও খেলাধুলার সুযােগ ক্রিকেট ও ফুটবলেই সীমাবদ্ধ থাকে। গ্রামের শিশুরাও খেলাধুলা বলতে এখন ফুটবল ক্রিকেটকে বােঝে। ৫৬ হাজর ৫শত ৮৯ বর্গমাইলের এ দেশের কোনাে কোনাে গ্রামের ছেলেমেয়েরা এখন আর ঐতিহ্যবাহী খেলা ওপেন্টি বাইস্কোপ ইচিং বিচিং, কুতকুত- কড়ি, কানামাছি, বােলগুটি ইত্যাদি খেলায় অংশ নিচ্ছে না। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলােকে টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ নেয়া উচিত। গ্রামের জনপ্রতিনিধিদের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা আয়ােজনে উদ্যোগী হতে হবে।
যে ক’জন তরুণ লেখক অল্প সময়ে পাঠক মহলে জায়গা করে নিয়েছেন শামসুজ্জামান শামস তাদের মধ্যে অন্যতম। ২১ জানুয়ারি ঢাকায় জন্ম নেয়া এ লেখক পেশায় সাংবাদিক । পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেখালেকি চালিয়ে যাচ্ছেন শামস। ১৯৯৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৯৫। বিরহের নীল আকাশ, মেয়েরা এমনই হয়, মেঘ ভাঙা রোদ, মন দিয়েছি তোমায়, মনময়ূরি, চাওয়া পাওয়া, একাত্তরের আলাল-দুলাল উপন্যাসের মাধ্যমে পাঠক প্রিয়তা অর্জনকারী এ লেখক বহুল প্রচারিত একটি জাতীয় দৈনিকে সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক এবং পাক্ষিকের ঈদ সংখ্যায় গল্প, উপন্যাস এবং নানা বিষয়ের ওপর ১৯৯৫ সালে থেকে লিখছেন অবিরাম।