"মহাবিশ্বের মহাবিস্ময়" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ মহাকাশ অভিযানের শুরু থেকেই মানুষ সৌরমণ্ডলের সীমানা পেরিয়ে দূর সুদূর নক্ষত্রলােকে পাড়ি দেয়ার স্বপ্ন দেখে আসছে। এ স্বপ্নকে সত্যি করতে হলে চাই এমন রটে, যা ছুটে চলবে আলাের অন্তত ১০ শতাংশ বেগে, অর্থাৎ সেকেণ্ডে প্রায় ১৮,৬০০ মাইল বেগে। এই গতিবেগে আমাদের নিকটতম নক্ষত্র আলফা সেন্টাউরিতে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৫০ থেকে ১০০ বছর। আয়ন রকেট যা চলবে পরমাণুর ভাঙনে উৎপন তড়িত্যুক্ত কণা ইলেকট্রন প্রােটন ইত্যাদির ধাক্কায়। এইসব পারমাণবিক তড়িতীয় কণাকেই বলা হয় আয়ন। নিউটনের তিন নম্বর গতিসূত্র অনুযায়ী। ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া বলই রকেটকে ছুটিয়ে নিয়ে চলে। রকেট গুচ্ছ দিয়ে জ্বালানি দগ্ধ গ্যাস যে বেগে নির্গত হয়, তারই প্রতিক্রিয়ার একই বেগে শূন্য ভেদ করে সে ছােটে। এই নির্গমণের হার যত বাড়ানাে যাবে, রকেট ততই হবে বেগবান। পারমাণবিক বিভাজন ক্রিয়ার উৎপন্ন কণাগুলি পরস্পর থেকে যে বেগে বিক্ষিপ্ত হয়, তার পরিমাণ। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৭৪০০ মাইল। যদি দুরন্ত গতির এইসব কণাকে ঠিকমত নিয়ন্ত্রণ করে কোনও রকেটের পেছন দিয়ে ছাড়া যায়, তা হলে সেই রকেট ছুটে চলবে আলাের প্রায় ২০ শতাংশ বেগে। এই রকম বেগ পেলে ৫০০ পাউণ্ড ওজনের একটি রকেটের কর্মদক্ষতার আয়ন রকেট বানানাে সম্ভব। খুব কম সময়ে সৌরমণ্ডল বেড়িয়ে আসতেও এ ধরনের রকেটকে কাজে লাগানাে যাবে।
(জন্ম: ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর) আলী ইমামের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। জন্মের ৬ মাস পরই পুরো পরিবারসহ ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন। পুরো পরিবারসহ থাকতেন পুরান ঢাকার ঠাটারীবাজারে।বাংলাদেশী শিশু সাহিত্যিক এবং অডিও ভিজ্যুয়াল ব্যবস্থাপক। আলী ইমাম বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহা-ব্যবস্থাপক ছিলেন এবং ২০০৬ সালে চাকুরী থেকে অবসরগ্রহণ করেন। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ফিচার, ভ্রমণকাহিনী, বিজ্ঞান কল্পকাহিনী সবই তিনি লিখেছেন বাচ্চাদের জন্য