পাঁচজনের মধ্যে একজন নয়, পাঁচের মধ্যে ছেলেটি একেবারে পঞ্চম। তবে অন্যকে বাদ। দিয়ে চোখে পড়ে সহজেই। কোথাও হেঁটে যেতে দেখলে মনে হবে দুর্বার-দুরন্ত আবার বসে থাকলে মনে হয় শান্ত। কথা বলে বেশ গুছিয়ে, লেখালেখির ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। না থেমে একটানা লিখে যাওয়ার প্রবল ক্ষমতাও রয়েছে এই তরুণের যে কারণে। লেখার গতির কাছে হার মেনেছে কাগজ-কলম দুই-ই তাই ল্যাপটপের। মনিটরে চোখ রেখে কী-বাের্ডে ঝড় তুলে যখন-তখন। গল্প, কবিতা, ছড়া, ফিচার, অনুবাদ, নিউজ রিপােটিং— সবকিছুতেই রয়েছে সমান দক্ষতা। পেশায় সাংবাদিক এই তরুণের নাম রণক ইকরাম। কর্মরত আছেন দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিকের। জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক হিসেবে। কর্মজীবনে ব্যস্ততার কারণে রণক নিজস্ব ভুবনে খানিকটা এলােমেলাে। বন্ধুদের সঙ্গে তুমুল আডডাবাজি কখনাে কেড়ে নেয় রাতের ঘুম, কখনােবা লেখালেখির গন্তব্যহীন যাত্রা। তারপরও থেমে থাকে না স্বপ্নের বীজ | বােনা সকাল হতেই আবার সেই স্বপ্নকে। পেছন ফেলে ছুটে চলা পেশাগত দায়িত্ব পালনে এত কিছুর ভীড়ে তাই নিজেকে গােছানাের সময় দেয় না ক্যালেন্ডারের পাতা। ভাবনার বেড়াজাল ডিঙিয়ে যেতে না পারলেও কল্পনার দুরন্ত এক্সপ্রেস কোনো স্টেশনে থামে না। ছুটে চলছে তাবিত......
পরিচিতি রণক ইকরাম: কাগুজে নাম মোহাম্মদ ইকরাম-উল-করিম হলেও লেখালেখি করেন রণক ইকরাম নামে। জন্ম কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার শংকুচাইল গ্রামে। বাবা রেজাউল করিম এবং মা মনোয়ারা বেগম। কুমিল্লাতেই মাধ্যমিকের গণ্ডি টপকানো। তারও আগে লেখালেখির ভূত সওয়ার হয়। এরপর নটরডেম কলেজ আর ঢাকা ভার্সিটির গৌরবময় আঙিণা মাড়িয়ে এখন কর্মজীবনে। কাজ করছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের জ্যেষ্ঠ সহ সম্পাদক পদে। সেখানে রকমারি, বিনোদন, ফ্রাইডে, শনিবারের সকাল ও ডাংগুলি পাতার ইনচার্জ এর দায়িত্ব পালন করছেন। লিখতে ভালোবাসেন বিচিত্র সব বিষয়ে। মূলত ইতিহাস, রহস্য, রোমাঞ্চ লিখতে বেশি ভালোবাসেন। তবে সবকিছুতেই সমান আগ্রহ। দ্বিধাহীন চিত্তে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লিখে যেতে চান।