মানুষের জীবন বড়ই বৈচিত্রময়, চলার পথের বাঁকে বাঁকে দিক পাল্টায়। সৃষ্টির এই রহস্য বুঝতে পারা মানুষের পক্ষে বড়ই কঠিন। জীবন কখনো নিয়মের ছকে বাঁধা নিয়মে চলে না। এখানে সুখ আর দুঃখ সমান্তরাল। কখনো সুখের রং এ রঙিন কখনো কষ্টের বেড়াজালে ঘেরা। এই বৈচিত্রময় জীবনের গল্প নিয়ে আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস "বুমেরাং”। একজন হাফিজ সাহেব যাঁর সারাজীবনের কষ্ট তিনি দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে ভর্তি হয়েও মায়ের ভালবাসার আবেগের কাছে নত হয়েছেন। উচ্চ শিক্ষা না নিয়ে শিকড়ে ফিরে গিয়ে শিক্ষকতা পেশা বেছে নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হওয়া ভালবাসার মানুষ মুনিরাকে স্বযত্নে এখনো লালন করেন হৃদয়ের গভীরে। রিমন, বেকার বলে তার ভালবাসার কাঙ্ক্ষিত মানুষকে ঘরনী করতে পারেনি। সমাজের শীর্ষ পদে আরোহণ করেও আজও তার তৃষিত চোখ বৃষ্টিকে খুঁজে। বৃষ্টির না বলা কথাগুলো আজও নিঃশব্দে হাহাকার হয়ে ইথারে ইথারে ভাসে। বড় প্রেম যে শুধু কাছেই টানেনা দূরেও সরিয়ে দেয় কবি গুরুর এই বিখ্যাত উক্তি আকাশ আর মেঘলার বুকে গুমরে গুমরে ফেরে। কেউকি জানতেন? মেঘলা আর আকাশের জীবনে এমন বজ্রপাতের মতো আচমকা ঘটনা ঘটে দুটি জীবন দুই দিকে ছিটকে যাবে। হারিয়ে যাবে তাদের কৈশোর থেকে বিন্দু বিন্দু জমানো ভালবাসা। আর প্রতিনিয়ত সেই না পাওয়ার মানুষটি বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে।