রাম রাজ্য। এক আদর্শ রাজ্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আর প্রতিটা আদর্শেরই একটা মুল্য থাকে। সে পরিশােধ করেছিল সেই মূল্য। খ্রিস্টপূর্ব ৩৪০০ অব্দ, ভারতবর্ষ। বিভাজনের ফলে দুর্বল হয়ে পড়েছে একসময়কার পরাক্রমশালী রাজ্য অযােধ্যা।। ভয়ানক এক যুদ্ধের ফল এটা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও ছিল সীমাহীন। লঙ্কার রাজা, রাক্ষসরাজ রাবণ পরাজিতের ওপর রাজনৈতিক শাসন নয়, বরং এর পরিবর্তে চাপিয়ে। দিয়েছে বাণিজ্যিক নিয়ন্ত্রণ। ফলে দূর্নীতি, দারিদ্র্য আর হতাশার অতলে তলিয়ে যেতে। শুরু করলাে সপ্তসিন্ধুর প্রজারা। এই অভিশাপ থেকে পরিত্রাণ পেতে একজন নেতার। জন্য ব্যাকুলভাবে প্রার্থনা করছে তারা, যে তাদেরকে বের করে আনবে এই নরক থেকে। কিন্তু তাদের মধ্য থেকে খুব কম সংখ্যক লােকই বুঝতে পারল সত্যটা : তাদের সেই নেতা তাদের মধ্যেই রয়েছে। এমন একজন যাকে তারা চেনে। নির্যাতিত ও রাজ্য থেকে। বহিষ্কৃত এক রাজপুত্র, যাকে তারা একসময় ছুড়ে ফেলে দিতে চেয়েছিল। তার নাম। রাজপুত্র রাম। দেশবাসীর শত লাঞ্ছনা সত্ত্বেও তার দেশপ্রেম ছিল অসামান্য। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায়। একাই লড়াই করতে সদা প্রস্তুত সে। অরাজকতার অন্ধকারের বিরুদ্ধে তার ভাইদের, স্ত্রী সীতা এবং তার নিজের লড়াইয়ের গল্প এটা। চাপিয়ে দেওয়া কলঙ্কের বােঝা দূরে সরিয়ে দিয়ে রাম কি পারবে মাথা উচু করে। দাড়াতে? সীতার প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থলে জমে থাকা ভালােবাসা সংগ্রামের শেষ পর্যন্ত। তার প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে কি? তার শৈশবকে ছারখার করে দিয়েছে যে রাক্ষসরাজ। রাবণ, তাকে পরাজিত ও চিরতরে নির্মূল করতে পারবে কি সে? পারবে কি পরবর্তী বিষ্ণু। নিয়তিকে বাস্তবায়িত করতে? যাত্রা শুরু হােক অমীশের নতুন সৃষ্টি রামচন্দ্র সিরিজের সাথে...
রুদ্র কায়সারের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলায়। জন্ম ২৮শে নভেম্বর। কবিতা দিয়ে লেখালেখিতে হাতে খড়ি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ম্যাগাজিন ও সংকলন গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা। ২০১৭ সালে বিখ্যাত ব্রিটিশ লেখিকা আগাথা ক্রিস্টির 'মার্ডার ইন মেসোপটেমিয়া" উপন্যাসের অনুবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত তার প্রথম একক গ্রন্থ। পাশাপাশি করেছেন সম্পাদনার কাজও।