“রোহিঙ্গা, কূটনীতি ও প্রতিবেশী" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ ২৩ ডিসেম্বর মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলির সংগঠন ওআইসির উদ্যোগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রােহিঙ্গাদের ওপর সেনা নির্যাতন বন্ধের প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে ১২২ দেশের ভােট পক্ষে, বিপক্ষে ১০টি দেশ ও ভােটদান বিরত থাকে ২৪টি দেশ। অতীতের মত মিয়ানমারের পক্ষালম্বন করে রাশিয়া ও চীন। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমায়ের অধিকাংশ প্রতিবেশি দেশ ভােট দেয় মিয়ানমারকে। সিরিয়া এখন রুশ ঘনিষ্ট। কাজেই রাশিয়ার পথ অনুসরণ করবে সিরিয়া, এটাই স্বাভাবিক। বর্তমান বিশ্বের প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ লােক শরণার্থী যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান ও লিবিয়া থেকে বহুলােক ইউরােপের বিভিন্ন দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী হচ্ছে। আগষ্ট ২০১৭ সাল থেকে মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়ে প্রায় ৭ লাখ রােহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারে ফিরে যাবার প্রসঙ্গ উঠলেই আৎকে উঠে তারা। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে রােহিঙ্গারা। যারা পারবেনা তাদের রাখা হবে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলের শিবিরে। পুলিশ চৌকির পাশেই রােহিঙ্গাদের জন্য ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানেই অস্থায়ী ভাবে থাকবে রােহিঙ্গারা। অনেক রােহিঙ্গা এই ধারণা পােষণ করছে যে শিবিরগুলােই হবে তাদের স্থায়ী নিবাস।
সুফিয়া বেগম দীর্ঘদিন ধরে লিখছেন। গল্পকার ও ফিচার লেখক হিসাবে বেশি পরিচিত। গত বছর একুশের বইমেলায়। প্রকাশিত তাঁর “উন্নয়ন যােগাযােগ” গ্রন্থখানি নন্দিত হয় এবং পাঠক মহলে তাকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। লেখক ১৯৮৬ সালে সাংবাদিকতা পেশায় যােগদান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে পড়াশুনা করেন লেখক। ইত্তেফাক গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স-এ সাংবাদিকতা পেশায় কর্মজীবন শুরু করেন। লেখক বৃহত্তর ফরিদপুরের শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ থানার আলালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালে লেখক তথ্যমন্ত্রণালয়ের অধীন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরে বার্তা সম্পাদক হিসেবে কাজে যােগদান করেন। “রােহিঙ্গা, কূটনীতি ও প্রতিবেশি” বইটি প্রতিবেদন ও গবেষণাধর্মী। বইটি লেখার জন্য সম্প্রতি এই লেখক কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইখ্যাংছড়ির রােহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরির জন্য তিনি খুব কাছ থেকে রােহিঙ্গাদের ক্যাম্প-জীবন পর্যবেক্ষণ করেন।