“মসলিনের গল্প শোনো" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ কেউ বলেছিলেন ভােরের কুয়াশা’। আবার কেউ তুলনা করেছিলেন মাকড়সার জালের সঙ্গে। মসলিন এতই সূক্ষ্ম ও মিহি ছিল যে, কেউ এ কাপড়কে বলেছেন ‘বােনা বাতাস। হাতে ধরলে বােঝা যেত না, কী ধরা হয়েছে। আর এই মসলিন তৈরি হতাে আমাদের ঢাকা ও তার চারপাশের এলাকাগুলােতেই- যা জয়। করেছিল পুরাে পৃথিবী। জানা মতে, মসলিনের ইতিহাস প্রায় দেড় হাজার বছরের । কিংবা তারও অনেক আগের? আরামদায়ক বলে গরমের দিনে এর কদর বেড়ে যেত। বাংলার তাঁতিরা কী করে এত সূক্ষ্ম। কাপড় তৈরি করতেন, তা আজও বিস্ময়ের। একটি আস্ত মসলিন শাড়ি নাকি এঁটে যেত ছােট্ট একটি দেশলাই বাক্সে বা চলে যেতে পারত একটি আংটির ভেতর দিয়ে। মসলিনের আরও কিংবদন্তি মানুষের মুখে মুখে ফেরে। তার কিছুটা হয়তাে সত্য, কিছুটা মানুষের কল্পনায় তৈরি। কোথায় কীভাবে তৈরি হতাে আমাদের মসলিন? বিশ্বের কোন কোন প্রান্তে গিয়ে মানুষের মন। জয় করেছিল এই মসলিন? ২০০ বছর আগে এটি হারিয়েই বা গেল কেন? এসব গল্পই বলা। আছে এই বইটিতে। মসলিনকে আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন আমাদের দেশেরই কিছু। মানুষ। সেখানে কিছু সফলতা এসেছে, সেই সাফল্যগাথাও থাকছে এখানে।