"১২ মাসের ৩৬৫ দিনের ডায়েরী : কুরআন, হাদিস ও দু’আ" বইটির 'সংকলকের কথা' অংশ থেকে নেয়াঃ প্রতি নিয়ত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া মানুষের খুবই প্রয়ােজন, বিশেষ করে পাপাচার ও দুস্কৃতিতে হয়ে যাওয়া বর্তমান সময়টায় যেন আল্লাহর দয়ায় তার ইহ-পরজাগতিক অবস্থা সংশােধন হতে পারে। দোআ প্রভূত কল্যাণ দ্বারা তা যাবতীয় অনিষ্ট ও শাস্তি লােপকারী মুসলিম উম্মাহর জন্য সব সময় ইস্তেগফার দু’আ খুবই জরুরী। যাতে আল্লাহ্ উম্মতের ওপর আপতিত শাস্তি তুলে নেন এবং আগত শাস্তি প্রতিহত করেন। শয়তান যাকে বিভ্রান্ত করেছে, সে কল্যাণ থেকে বিমুখ হয়েছে এবং দোআর উপকারিতা ও বরকত যার জমা নেই সেই শুধু দু’আ ইস্তিগফার থেকে দূরে থাকে। অতএব কেউ যদি এ গ্রন্থ থেকে আমলগুলাে করার ব্যাপারে উদ্যোগী হন তাহলে কল্যাণের উপযােগিতা হবেন। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আজ আকাশ সংস্কৃতির কবলে পড়ে অনেকেই সে পথ থেকে বঞ্চিত রয়েছে এবং পরিবার পরিজনকেও আয় কল্যাণের পথে পরিচালনা করার অবকাশ পাচ্ছে না। তাই বলছি সময় থাকতেই এসব অকল্যাণকর পথ পরিহার করে আল্লাহ্ রাসূলের নির্দেশিত পথ অবলম্বন করুন। আর এ ব্যাপারে অধিক অগ্রসর না হয়ে সর্বশেষ কথা এটাই মৃত্যু অলিখিতভাবে হঠাৎ একদিন এ সংসার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাবে আর যে ব্যক্তি বুদ্ধিমান সে ইহকালেই পরকালের পথের সংগ্রহে ব্যস্ত থাকে। কেননা মৃত্যুর পর আর সৎকাজ করার জন্য ফিরে আসার কোন সম্ভাবনা নেই। বুদ্ধিমানেরাই উপদেশ গ্রহণ করে। অতএব আপনিও এ কথার তাৎপর্য অনুধাবন করুন।-আমীন।