প্রহসন বলতে এমন এক ধরনের নাট্যসৃষ্টি বোঝায় যাতে হাস্যরসময় জীবনালেখ্য রূপায়িত হয়ে ওঠে। নাট্যকার সামাজিক কুসংস্কার-অনাচার-পাপাচার ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ সহযোগে প্রহসনে প্রকাশ করে থাকেন। প্রহসন নাট্যসাহিত্যের একটি উপজাতি, কৌতুক নাটক বা ব্যঙ্গ নাটক হিসেবে এর যথার্থ পরিচয়। রসগাম্ভীর্যের দিক থেকে নাট্যসৃষ্টিকে নাটক ও প্রহসন-এ দু ভাগে ভাগ করা যায়। সংস্কৃত সাহিত্যাদর্শ অনুসারে নাটক দৃশ্যকাব্য, এতে ঘটনাবলি সংলাপ ও অভিনয়ের মাধ্যমে মঞ্চে প্রদর্শিত হয়ে থাকে। সংলাপ আর ক্রিয়াকলাপ থেকে নাটকে উল্লেখিত পাত্রপাত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্বসংঘাতের ফলে তাদের চরিত্রের পরিচয় প্রকাশ পায় এবং ঘটনার পরিণতি থেকে দর্শকদের মনে একটি বিশেষ রসের উদ্রেক হয়। সুসংবদ্ধ কাহিনী, রস- ঘনিষ্ঠতা, চিত্তাকর্ষক পরিণতি ইত্যাদি বিষয়ে নাট্যকারকে সঙ্গতি রক্ষা ও সামঞ্জস্য বিধান করে চলতে হয়। এসব বৈশিষ্ট্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রহসনের স্বরূপ-লক্ষণ ভিন্নতর। প্রহসন রচনার পশ্চাতে হাস্যরস সৃষ্টির মাধ্যমে দর্শকসমাজকে আনন্দ প্রদানের উদ্দেশ্য বিদ্যমান থাকে। সমাজের দোষত্রুটি অবলম্বনে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ হালকা বা তীক্ষ্ণ যাই হোক না কেন তাতে আবহাওয়া লঘু ও কৌতুকময় হয়ে ওঠে।
কবি-কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক মাহবুবুল আলম ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলাধীন। হাইধন কান্দি গ্রামের সম্ভ্রান্ত মােল্লা পরিবারে জন্মগ্রহণ। করেন। বাবা বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও স্বনামধন্য। শিক্ষক সাহেব আলী মাস্টার, মা বিদুষী গৃহিণী। রাবেয়া খাতুনের নয় সন্তানের মধ্যে মাহবুবুল আলম। তাদের ষষ্ঠ সন্তান এবং তিন ভাইয়ের মধ্যে মেঝ।। স্থানীয় ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, পাঁচ পুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় । থেকে এস.এস.সি, নিমসার জুনাব আলী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে তেজগাও কলেজ থেকে বি.এ ও এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। সত্তর দশকের গােড়ার দিক থেকে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। সিলেট সমাচার, যুগভেরী, বাংলার। বার্তাসহ সমসাময়িক বিভিন্ন পক্রিকায় লেখালেখির। মাধ্যমে সাহিত্যচর্চার বিকাশ ঘটে। একই সাথে। প্রসূন সাহিত্যাঙ্গনের সম্পাদক হিসাবে। মৌলভীবাজারের সমসাময়িক সাহিত্যানুরাগীদের। মুখপাত্র সাহিত্যের কাগজ প্রসূন সম্পাদনা করেন।। বর্তমানে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন পত্রিকা ও। সাময়িকীতে নিয়মিত কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ,। কলাম লিখছেন। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪২। সাহিত্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি কবিতাঙ্গন। এ্যাওয়ার্ড (২০০৭), পল্লীচিত্র এ্যাওয়ার্ড ২০০৭ এবং ড.মমিনুল হক একাডেমি ইউ.কে এ্যাওয়ার্ড (২০০৮), ভাষা প্রকাশ ও কাব্যমালঞ্জলি পুরস্কার। (২০১০) বিন্দুবিসর্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংসদ, গাইবান্ধা সম্মাননা-২০১১, জাতীয় কবিতা পরিষদ। বুর জেলা শাখা সম্মাননা-২০১১, সংশপ্তক বঙ্গবীর। ওসমানী পদক, অলইডিয়া চিলড্রেন লিটারারী। কষ্টতে উৎপল হােমরায় স্মৃতি পুরস্কার-২০১২। ও ভারতের পূর্ব মেদিনীপুরের কবি ও কবিতা পত্রিকা। সনা -২০১২, সাপ্তাহিক কালপুরুষ পত্রিকা। সমৰ২০১৩, ইংলা কবিতা উৎসব সম্মাননা২০১৩ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রজত ও বন গবেষণা গ্রহের জন্য।