"সফলতার দ্বিতীয় পাঠ চাবুক" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: কোন মানুষ যখন ভিতরের শক্তিটাকে চিনতে পারে। তখন সে হয় উদ্যমী, সে হয় সফল। ব্যর্থ যারা তারা ব্যর্থ হওয়ার কারণ না খুঁজে হতাশায় ভােগে, হতোদ্দম হয়ে কর্ম করা ছেড়ে দেয়। জীবনের খেই হারিয়ে ফেলে। কিন্তু একটু সচেতনভাবে যদি কেউ নিজেকে নিয়ে ভাবে, নতুনভাবে শুরু করে তার গন্তব্যের পথে। যাত্রা একটু দেরিতে হলেও সে হয় সফল। চাবুক বইটি পড়াশুনায় অমনােযােগী, জীবন সম্পর্কে হতাশ ফেসবুক, মােবাইল গেমস, নেশা বা অন্যান্য বিষয়ে আসক্ত যে কোন শিক্ষার্থীকে নতুন পথের সন্ধান দিবে। আশা জাগাবে নতুনভাবে। জাগিয়ে তুলবে তার ভিতরের শক্তিকে । মনযােগী হবে তার কর্তব্য ও কর্মে। যে কোন শিক্ষার্থীকে সে যতই পিছিয়ে পড়া হােক মাত্র একবার এই বইটি ধরিয়ে দিতে পারলে তার নিজের সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে শুরু করবে এবং সে হাঁটবে সফলতার দিকে। এ বই যে কোন বয়সী পাঠককে বর্তমান শিক্ষার্থীদের অবস্থা এবং তাদের পড়াশুনার অমনযােগীতা সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে। অভিভাবকদের সচেতন করবে মারাত্মকভাবে। দীর্ঘ সময়ের গবেষণায় লেখা। এই বই পাঠকের জীবনবােধকে জাগ্রত করবে এবং একজন সফল মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করবে।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় লেখক ড. মোহাম্মদ জুলফিকার আলী, ড. জে. আলী নামে পাঠক মহলে সমধিক পরিচিত। হুমায়ুন পরবর্তী বাংলা সাহিত্যে যে কয়জন লেখক পাঠক মহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছেন ড. জে. আলী তাদের মধ্যে অন্যতম। তার লেখায় টান আছে, আছে পাঠককে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখার চমৎকার কৌশল। পুরুষ্কার প্রাপ্ত এই লেখককে আত্ব-উন্নয়নমূলক বই লেখার জন্যে বলা হয়-বাংলাদেশের ডেল কার্নেগী। টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব পাশে পয়লা গ্রামে ১৯৭৯ সালে জন্ম নেয়া এই লেখক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পূর্ণ করেন। এরপর ঢাকায় এসে ইংরেজী সাহিত্যে এম.এ এবং এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন ভেতরের তাগিদ থেকে। পি.এইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দেড়যুগ সময় ধরে অধ্যাপনা করছেন। শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা জীবন শুরু। এরপর দেশের বৃহত্তম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে শিক্ষকতা করেন দশ বছরেরও অধিক সময়। এছাড়াও খন্ড কালীন শিক্ষক হিসেবে পড়িয়েছেন-ড্যাফোডিল, গ্ৰীন, পিপলস্, ইউনিভার্সিটিতে। বর্তমানে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসাবে কর্মরত আছেন-ইউনিভার্সিটি অফ স্কলার্স (আই ইউ এস) বনানীতে । মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ২০২২ সালে। দেশে ও বিদেশের বিখ্যাত জার্নালে তার ২৩টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে তার। ”আপনি খুঁজছেন চাকরী কিন্তু নিয়োগকর্তা খুঁজছেন কী?” এই নামে ২০০৮ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম বই। ছাত্রছাত্রী ও চাকরী প্রার্থীদের জন্য লেখা - ”সফলতার প্রথম পাঠ” পাঠক মহলে সমাধৃত হয় ব্যাপক ভাবে। তার লেখা সেলস এন্ড মার্কেটিং নিয়ে "ইঁদুরের পকেট মানি", পিছিয়ে পড়া ও হতাশাগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রী জন্য লেখা "সফলতার দ্বিতীয় পাঠ- চাবুক", এবং একুশে গ্রন্থমেলা- ২০২০ এ প্রকাশিত আত্ম-উন্নয়ন মুলক বই-"কিংবদন্তীর নীরব ধন" পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। তাঁর লেখা "লাবনী পয়েন্ট" ও "উপেক্ষা" ছোট গল্পগ্রন্থ দুইটিও নজর কেড়েছে সুধী মহলের। তাঁর লেখা উপন্যাস "অভিশাপের" জন্য পেয়েছেন মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড ২০২০ এবং সাহিত্য বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন "মিডিয়া জার্নালিস্ট ফোরাম অ্যাওয়ার্ড ২০১৯"। ২০২৩ বই মেলায় প্রকাশিত হয় গল্প সংকলন "লোভ"। তিনি একজন সফট স্কিল এবং সেলস ট্রেইনার হিসেবে দেশ এবং দেশের বাইরে পরিচিতি পেয়েছেন ব্যাপকভাবে। শিক্ষকতার পাশাপাশি আত্ম-উন্নয়ন মূলক বই লিখে অল্প সময়ে খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান করছেন লেখক ড. জে আলী।