"এ পি জে আবদুল কালাম" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ জীবনানন্দ-কথিত এই আঁধার আক্ষরিক অর্থে সত্য নয়। তবে মানুষের অন্তর্গত যেসব প্রবণতা সমাজে আঁধারের শক্তিকে প্রবল করে, সেগুলাে আজ ভীষণভাবে সক্রিয়। জাতীয় বিপর্যয়ের এই দিনে আমরা সমস্ত সত্তা দিয়ে উপলব্ধি করি যে, আজকের দিনে নতুন প্রজন্মের প্রতি, বিশেষ করে শিশুদের প্রতি বেশি মনােযােগী হওয়া উচিত। কারণ আগামী দিনে তারাই জাতীয় উন্নয়নের অগ্রদূত। জাতি শুধু বাইরের ঐশ্বর্যসম্ভার, দালান-কোঠার সংখ্যা বৃদ্ধি করে বড় হয় না, বড় হয় অন্তরের শক্তিতে, নৈতিক চেতনায় আর জীবনপণ করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানাের ক্ষমতায়। আত্মিক মূল্যবােধ ছাড়া জাতীয় সত্তার ভিত কখনাে মজবুত হয় না। নৈতিক চেতনা ও মূল্যবােধ জীবনাশ্রয়ী হয়ে জাতির সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়লে তবেই জাতি অর্জন করে মহত্ত্ব আর মহৎ কাজের যােগ্যতা। তাই আমরা চাচ্ছি এ সময়ের লেখকদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে মানবজাতির আলােকিত সন্তানদের জীবনকথা অবলম্বন করে তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি গ্রন্থমালা প্রকাশ করতে। এ গ্রন্থমালার মাধ্যমে আমরা তাদের জানাতে চাই- মানুষ সবসময় এতটা অপরাধী ছিল না, এতটা অনৈতিক ও মূল্যবােধহীন ছিল না, এতটা দুর্বল ও নির্জীব ছিল না, যেমন আজকে আমরা আছি। এই গ্রন্থমালার মাধ্যমে আমরা তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বড় মাপের মানুষ, মহৎপ্রাণের মানুষ আমাদের জাতীয় জীবনে অতীতেও ছিলেন এবং বর্তমানেও আছেন। যারা চিন্তা ও কর্মের মাধ্যমে সমগ্র মানবজাতির জন্য সুসংবাদ বয়ে এনেছেন। সমগ্র জাতি যখন অন্ধকারে গা ভাসিয়ে নিরুদ্দেশ গন্তব্যের দিকে ধাবিত ঠিক তখন এই গ্রন্থমালা প্রকাশের প্রয়ােজন অনুভব করছি। আলােকিত মানুষের জীবনী পড়ে আগামী প্রজন্ম আলােকিত হয়ে উঠুক। এই স্বপ্ন নিয়ে ভাষাপ্রকাশ প্রকাশ করছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সৃষ্টিশীল ও আলােকিত মানুষের জীবনী গ্রন্থমালা।
আল মামুন মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী গ্রামে ১৯৯১ সালের ১৫ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মাতা আনোয়ারা বেগম। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। সরকারি বাংলা কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা শেষ করেছেন। পেশাগত জীবনে তিনি কর্মরত আছেন একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে। প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ ডুবোপাহাড়ের শীতল হাত (কাব্যগ্রন্থ, ২০১৯) পরিত্যক্ত রানওয়ে (উপন্যাস, ২০২০) নক্ষত্রডোবা রাত (উপন্যাস, ২০২১) জীবন পোহানো মাঠ (কাব্যগ্রন্থ, ২০২২)