“আকাশলীনা ডায়াসপোরা সংখ্যা” বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা: কামরুন জিনিয়া ‘আকাশলীনা' নামে সংগঠনের প্রতিষ্ঠা করেছে। নীড় ছােট ক্ষতি নেই, আকাশ তাে বড়’- এমন একটি ধারণা ওর মাঝে বিরাজ করে বলে আমার বিশ্বাস। মনােজগতের এই চেতনা ওকে সুদুরপ্রসারী কাজ করতে অনুপ্রাণিত করছে। জীবিকার প্রয়ােজনে মানুষ কাজের ক্ষেত্র খোঁজে - এই খোজা বেঁচে থাকার শর্ত। পাশাপাশি মানুষ তার সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটায় শিল্পমাধ্যমে। যে দেশেই অবস্থান করুন না কেন মানুষ তার সৃজনশীলতার চর্চা করেন। এই চর্চা মানুষের বেঁচে থাকার দিনকে বড় করেন। প্রত্যেক মানুষই শিল্পমাধ্যমে নিজের প্রাণের টান অনুভব করেন। কারাে কাছে এই টান সাহিত্যে, কারাে কাছে সংগীতে। কারাে কাছে চিত্রকলায়, কারাে কাছে চলচ্চিত্রে। এবং এমন আরাে অনেক কিছুতে। প্রত্যেক জনগােষ্ঠীর জীবনকে ধারণ করে শিল্পমাধ্যমে। এই মাধ্যমের চর্চা ছাড়া জনগােষ্ঠীর আত্মবিকাশ ঘটে না। কামরুন জিনিয়া বিদেশে বাস করে এই শিল্পমাধ্যমের উজ্জ্বল বিকাশ ঘটায় ‘আকাশলীনার মাধ্যমে। এই অসাধ্য কাজটি সাধন করার জন্য জিনিয়াকে অভিনন্দন জানাই। জিনিয়ার নিজের শিল্পমাধ্যম ‘আকাশলীনা’-এর মাধ্যমেও মানুষকে দেয় স্বস্তি ও আনন্দ। ‘আকাশলীনা’র এ বছরের সংকলনে যুক্ত হয়েছে। ডায়াসপােরা সাহিত্য। ডায়াসপােরা সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের ভিন্ন মাত্রা। ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের মাঝে বাস করে লেখকরা সাহিত্য রচনা করেন আপন আলাের দ্যোতনায়। ডায়াসপােরা সাহিত্যের সংকলন প্রকাশ করে জিনিয়া আমাদের কৃতজ্ঞভাজন হয়েছে। আগামীতেও এই কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে এই প্রত্যাশা করি। ডায়াসপােরা সাহিত্যের সঙ্গে নিজের দেশের পাঠকের যােগাযােগ ঘটাবে ‘আকাশলীনা”। পাঠক খুঁজে পাবে সাহিত্যের আর এক পৃথিবী।
কবিতা ও ছােটগল্প লেখেন। লেখার চেয়ে পড়তে ভালােবাসেন বেশী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন ১৯৯৬ সালে। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-৮৯'তে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হয়ে আবৃত্তিতে স্বর্ণপদক পান। লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে লােক প্রশাসনে মাস্টার্স করেন, বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে Public Policy & Urban Affaris-এ পি.এইচ.ডি করছেন। লুইজিয়ানা থেকে প্রকাশিত ‘আকাশলীনা’--ডায়াসপােরা বাংলা সাহিত্য সংকলনের সম্পাদক এবং লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের একমাত্র বাংলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন “Akashleena Literary & Cultural Organization, (ALCO)”-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট। লুইজিয়ানা, আমেরিকা প্রবাসী।