মোহাম্মদ রফিক জন্ম: ২৩ অক্টোবর ১৯৪৩, বাগেরহাটে। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা করেছেন পিরোজপুর, বরিশাল, খুলনা, বগুড়া, রাজশাহী ও ঢাকায়। ছাত্রজীবনে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকার দায়ে সামরিক আইনে তাঁকে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় সামরিক আদালত। এসময়ে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে ১ নম্বর সেক্টরে কাজ করেছেন, যুক্ত ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। ১৯৮৩ সালে খোলা কবিতা প্রকাশিত হলে তিনি সামরিক শাসকের রোষানলে পড়েন। ১৯৮৭-তে তিনি জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কর্মসূত্রে যুক্ত ছিলেন বাজিতপুর কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি মহসিন কলেজ, ঢাকা কলেজ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্য : কীর্তিনাশা (১৯৭৯), কপিলা (১৯৮৩), গাওদিয়া (১৯৮৬), স্বদেশী নিঃশ্বাস তুমিময় (১৯৮৮), মেঘ এবং কাদায় (১৯৯১), রূপকথা কিংবদন্তি (১৯৯৯), বিষখালি সন্ধ্যা (২০০৩), নোনাঝাউ (২০০৮), দোমাটির মুখ (২০০৯), কালের মান্দাস (২০১৩), বন্ধু তুমি প্রসন্ন অবলোয় (২০১৫), চিরহরিতের উপবাস (২০১৯) ইত্যাদি। এছাড়া অরুণ সেনের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে মোহাম্মদ রফিকের নির্বাচিত কবিতা (১৯৯৩)। গদ্যগ্রন্থ : আত্মরক্ষার প্রতিবেদন, দুই খণ্ড (২০০১ ও ২০১৫), আমার জীবনানন্দ (২০০৩), স্মৃতি বিস্মৃতি অন্তরাল (২০০২), দূরের দেশ নয় আয়ওয়া (২০০৩), খুচরো গদ্য ছেঁড়া কথা (২০০৭), গল্প সংগ্রহ (২০১০)। সাহিত্যকৃতির জন্য অর্জন করেন আলাওল পুরস্কার (১৯৮১), জেবুন্নেসা-মাহাবুবউল্লাহ ট্রাস্ট পদক (১৯৯১), আহসান হাবীব পুরস্কার (১৯৯৬), জেমকন সাহিত্য পুরস্কার (২০১৭), প্রথম আলো বর্ষসেরা সৃজনশীল বই পুরস্কার (২০১৮) এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮৬) ও একুশে পদক (২০১০)।