“উচ্চারণের ক্লাসরুম" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ মাতৃভাষা বাংলা রাষ্ট্রভাষা' মর্যাদালাভের এত বছর পরও আজ আমাদেরকে এ প্রশ্নের মুখােমুখি হতে হচ্ছে। এর প্রধান কারণ সময়ের সাথে সাথে বাংলা শব্দের বিকৃত উচ্চারণের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া। ইংরেজি শব্দ উচ্চারণের মতাে বাংলা শব্দ উচ্চারণ বা কথা বলা, যেটা ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে একটা বিশেষ গােষ্ঠীর কাছে। বর্তমানে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলা ভাষাকে সঠিকভাবে রপ্ত করা ও শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলা। বি এম হারিস বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সাথে অনুধাবন করেছেন এবং তার বহিঃপ্রকাশ ‘উচ্চারণের ক্লাসরুম' গ্রন্থটি। এ গ্রন্থটির প্রারম্ভ থেকেই হারিস স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর অপারগতাগুলােকে, সেটাকে আমি বিনয় বলতে বাধ্য। কারণ পুরাে পাণ্ডুলিপিটি পাঠ করে আমার মনে হয়েছে এটি অত্যন্ত সময়ােপযােগী একটি গ্রন্থ, যা সকল বাংলা ভাষাভাষী মানুষ এবং যারা বাংলা ভাষাকে সহজে আয়ত্ত করতে চান, তাঁদের জন্য এটি একটি অতীব-প্রয়ােজনীয় অনুশীলন গ্রন্থ হয়ে উঠতে পারে। আলােচ্য বিষয়ে আরাে কিছু গ্রন্থ পড়ার অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে, কারণ যেহেতু নাটক' বিষয়ে আমি শিক্ষকতা করে থাকি। তার সকলগুলাের মধ্যে এটিকে আলাদা করতে চাই এই কারণে যে, এর উপস্থাপন-রীতি এবং বর্ণনা খুবই সরলভাবে লেখা হয়েছে। প্রথমতঃ এ গ্রন্থের অধ্যায় বা পর্বগুলােকে অভিহিত করেছেন ক্লাস-১,২, ৩, ৪ ক্রমানুসারে। এবং এভাবে মােট ৩৮টি ক্লাসে পুরাে বিষয়টি সাজিয়েছেন, এর সাথে রয়েছে ৫৬টি অনুশীলন বক্স। প্রতিটি ক্লাস ও অনুশীলন বক্সে পর্যায়ক্রমে তিনি বােঝাতে সামর্থ্য হয়েছেন যে, যে। কোনাে ভাষা'তেই শব্দ উচ্চারণের নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি রয়েছে, যা অবশ্যই অনুশীলন আবশ্যক। এর অবতারনা করতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন কবিতা, প্রবন্ধ এবং ইংরেজির বিভিন্ন পংক্তিমালাসহ নানাবিধ-ভাবে বর্ণনা করেছেন, যা সঠিক অনুশীলনে যে কোনাে ভাষার একজন মানুষ বাংলা ভাষা সহজেই রপ্ত করতে সামর্থ্য হবেন।