"৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব-ঐতিহ্য সম্পদ : বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হওয়ার পর সম্প্রতি (৩০শে অক্টোবর ২০১৭) জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কো কতৃক এটি ‘বিশ্ব-ঐতিহ্য সম্পদ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে ইন্টারন্যাশনাল মেমােরি অব ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রার-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ ভাষণই যে বাঙালির জাতীয় মুক্তি বা স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রামাণ্য দলিল এবং বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও আমাদের স্বাধীনতা যে এক ও অবিচ্ছেদ্য সত্তা, ইউনেস্কোর এ স্বীকতিতে তা-ই পুনর্ব্যক্ত হয়। এই মার্চের ভাষণ এখন আর শুধু বাঙালির জাতীয় সম্পদ নয়, বিশ্ব মানবতারও সম্পদ। যেসব বিষয়ের ওপর এ গ্রন্থে আলােকপাত করা হয়েছে। সংক্ষেপে তা হচ্ছে—৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ, কেন এটি ইউনেস্কো কর্তৃক “বিশ্বঐতিহ্য সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত এবং এ স্বীকৃতির গুরুত্ব ও তাৎপর্য কী, ইউনেস্কোর এ স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত অজানা তথ্য, বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্রচিন্তার উৎস-সন্ধান, বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রচিন্তা ও রাজনৈতিক, দর্শন, মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক পটভূমি, বিজয় ও এর তাৎপর্য, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব কী, বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রােজনামচা' গ্রন্থদ্বয়ের মূল বিষয়বস্তু ও তাতে তার নিজ সম্বন্ধে বর্ণনা, বঙ্গবন্ধুর জীবনে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রভাব, বাংলাদেশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূমিকা, বিশ্ব-নেতত্বের আসনে শেখ হাসিনা ইত্যাদি। গ্রন্থটি মুখ্যত সাধারণ পাঠকদের উদ্দেশে নিবেদিত। তবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, রাজনীতি বিশ্লেষকদেরও অনেকটা প্রয়ােজন মেটাবে।
Title
৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব-ঐতিহ্য সম্পদ : বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ
অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ (জন্ম: ২৭ অক্টোবর ১৯৫৪) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুইবারের উপাচার্য (২০১৩-২০২১)। এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে সিলেকশান গ্রেডের একজন অধ্যাপক ও উপ-উপাচার্য (২০০৯-২০০১২) নিযুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ‘বাংলাদেশ স্কাউটস, রোভার অঞ্চল’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। জন্ম পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার আইরন গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার বি.এ. (অনার্স) এবং মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। পরে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডব্লিউ এইচ মরিস-জোনস-এর তত্ত্বাবধানে ১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি সুইডেনের উপসালা (শান্তি ও সংঘাতের উপর) ও জাপানের রিউকোকু (কিওটো) বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করেন। ১৯৪৭-পূর্ব ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাধীন অবিভক্ত বাংলা, পাকিস্তানি শাসনকাল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, সমসাময়িক ভারত ও বাংলাদেশের রাজনীতি, এর গতিধারা ও রাজনৈতিক উন্নয়ন’ তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র। বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র গঠন সব সময় তাঁর গবেষণার কেন্দ্রীয় বিষয়। তাঁর গবেষণা-গ্রন্থের মধ্যে The Foreshadowing of Bangladesh 1906-1947 (fourth edition, UPL 2015), Inside Bengal Politics 1936-1947 : Unpublished Correspondence of Partition Leaders (second edition, UPL 2012), বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুনর্পাঠ (ইউপিএল ২০১৩), বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন বাংলাদেশের . অভ্যুদয় (আগামী প্রকাশনী ২০০৩), বাংলাদেশ : রাজনীতি সরকার ও শাসনতান্ত্রিক উন্নয়ন ১৭৫৭-২০০০ (নিউ এজ পাবলিকেশন্স ২০০১), “আমাদের বাঁচার দাবী’ : ৬ দফার ৫০ বছর (বাংলা একাডেমি ২০১৬), মূলধারার রাজনীতি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কাউন্সিল ১৯৪৯-২০১৬ (বাংলা একাডেমি ২০১৬), ৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব ঐতিহ্য-সম্পদ : বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ, (বাংলা একাডেমি ও অন্যপ্রকাশ ২০১৮) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রফেসর হারুন-অর-রশিদ বর্তমানে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এনসাইক্লোপিডিয়া’ (২০ খণ্ড) রচনা প্রকল্পের প্রধান হিসেবে গবেষণাকর্মে নিয়োজিত। বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য ২০২১ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন।