"মহাপ্রলয়ের পদধ্বনি" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: এ পৃথিবীর সবকিছুই জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্ট। এখানে যেমন জীবন আছে তেমনি আছে মৃত্যু। দিনের পরে রাত আসে আর শীতের পরে আগমন ঘটে গ্রীষ্মের। এখানে আলোর বিপরীতে আছে অন্ধকার, ভালোর সঙ্গে মন্দের দ্বন্দ্ব এবং সত্যের সঙ্গে মিথ্যার সংঘাত। এককথায়, পৃথিবীর সবকিছুই এভাবে জোড়ায় জোড়ায় আবর্তিত। ঠিক তেমনি ইহকালেরও পরকাল নামে একটি জোড়া আছে। যদি ইহকালের বিপরীতে পরকাল এবং ভালো ও মন্দের পরিবর্তে শান্তি ও শাস্তি না-থাকত, তা হলে পৃথিবীর জীবনটাই অনর্থক খেল-তামাশায় পরিণত হতো।
কিয়ামতের প্রতি ঈমানই দুনিয়ার জীবনকে সার্থক করে তুলতে পারে। কুরআন-হাদিসের পাতায় পাতায় কিয়ামতের নিদর্শনাবলির বিবরণ বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে। এগুলোর জ্ঞান থাকলে মানুষের জীবনে বহুবিধ কল্যাণ অর্জিত হবে। অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস দৃঢ় হবে এবং মানুষ নিজেকে আল্লাহর ইবাদতে নিমগ্ন করতে উৎসাহী হবে। কিয়ামতের নিদর্শনসমূহের সঙ্গে অনেক শরয়ী বিধান বর্ণিত হয়েছে, এসব বিধান সম্পর্কে জানা যাবে এবং কিয়ামতপূর্ব বিভিন্ন পরিস্থিতির শরয়ী মোকাবেলা সম্পর্কে অবগতি লাভ হবে। কিয়ামতের নিদর্শনের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস মুসলিমদের জন্য প্রত্যাশার দ্বার উন্মোচিত করবে এবং প্রতিনিয়ত মুসলিমদের ঈমান বৃদ্ধি করবে।
জন্ম ১৯৭০ সালের ১৬ জুলাই। ইসলামের বিখ্যাত সেনাপতি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা) এর বংশধর তিনি। মাত্র ৫০ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছেন আরব জাহানের বিশিষ্ট বক্তা এবং লেখক। তিনি তার বক্তৃতা এবং লেখনীর মাধ্যমে আরবসহ পশ্চিমা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। হ্যাঁ! আমরা আর কারো কথা বলছি না, বলছি ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফীর কথা। দাম্মামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন তিনি এবং রিয়াদের বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। বিখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল, শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে কুউদ, শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে নাসের আল-বাররাক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন মুহাম্মদ আরিফী। প্রায় পনেরো-ষোলো বছর ইবনে বায রহ. এর সাথে থাকার সৌভাগ্য হয় তার। তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর দাওয়াত দেওয়া। তাকে অনেক সময় ""দাওয়াত ইল্লাল্লাহ"" বলেও সম্বোধন করা হয়। তার বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা করার মূল কারণও এটি। বাজারে তার বক্তৃতায় অডিও-ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যায় যার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে পুরো মুসলিম বিশ্ব। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী বই রচনা করে চলেছেন মানবজাতির কল্যাণার্থে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমূহ প্রত্যেকটি বিক্রির সময় একটি আরেকটিকে ছাড়িয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমগ্র হলো ভার্সিটির ক্যান্টিনে, সুখময় জীবন উপভোগ করুন, তুমি সেই নারী, নবী-চরিত্রের আলোকে: জীবন উপভোগ করুন, রাগ করবেন না: হাত বাড়ালেই জান্নাত, কিতাবুল ফিতান, রোজা ও হজ্জের পয়গাম, নারী যখন রানী, তোমাকে বলছি হে বোন, আপনার যা জানতে হবে, রামাদান আল্লাহ’র সাথে সম্পর্ক করুন, যেভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকবেন ইত্যাদি।