“নেভার স্টপ লার্নিং” বই এর ফ্ল্যাপ: আমাদের অধিকাংশই বই বলতে মূলত দুরকমের বইকে বুঝি! একটা পাঠ্যবই অন্যটা গল্পের বই। হাজারো ফিকশনের ভীড়ে আমরা আজকাল অন্য কোনও বিষয় নিয়েও যে লেখা যেতে পারে তা ভুলতেই বসেছি। বই পড়ে আমরা আমাদের কল্পনাশক্তি সৃজনশীলতা ইত্যাদি গুণাবলির বিকাশ ঘটাতে পারি। কেমন হতো যদি বই পড়ে বদলে ফেলা যেত নিজেকে? শেখা যেতো হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার, অপরিচিত কারও সাথে প্রথমবারের মতো ফোনে কথা বলার কিংবা সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর মতো দারুণ এবং বাস্তব জীবনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু কৌশল। 'Never Stop Learning' বইটিতে সংক্ষেপে বর্ণিত আছে তেমনি কিছু আইডিয়া যেগুলো বর্তমান প্রজন্মের পাঠকদের কল্পনা আর সৃজনীশক্তির বিকাশের পাশাপাশি ব্যক্তিত্বের বিকাশ ও উন্নয়নে সহায়ত করবে!
“নেভার স্টপ লার্নিং” বই এর ভূমিকা: শেখার কোনো নির্দিষ্ট সময়, স্থান কিংবা সীমা-পরিসীমা নেই। আমরা প্রত্যেকেই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানছি ও শিখছি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তব জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষাও সমভাবে প্রয়োজনীয়। আর তাই, সমাজে ও কর্মক্ষেত্রে নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করতে আমাদেরকে বেশিকিছু কৌশল রপ্ত করতে হবে। এ কৌশল বা আইডিয়াগুলোই আমাদের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এ বইটিতে এমনই কিছু ছোট্ট ছোট্ট আইডিয়া, কৌশল, হ্যাক সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে যাতে করে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়াকে প্রাধান্য দেয়ার পাশাপাশি নিজেদেরকে দক্ষ, অভিজ্ঞ, যোগ্য, কুশলী এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাটাকেও প্রাধান্য দেয় এবং প্রিয় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকা পালন করতে পারে।
“নেভার স্টপ লার্নিং” বই এর সূচি: * ০১ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও কিছু স্বপ্নের কথা-১১ * ০২ দৃষ্টিভঙ্গী বদলালেই বদলে যাবে জীবন-১৪ * ০৩ চীনা বাঁশের গল্প -১৭ * ০৪ মাদিবা থেকে আমাদের অনুপ্রেরণা।- ২০ * ০৫ আমার ভর্তি যুদ্ধের গল্প।- ২৩ * ০৬ এবার মানসিক অশান্তিকে জানাও বিদায়- ২৬ * ০৭ একটি ভিডিও বাঁচাতে পারে লক্ষ প্ৰাণ।-২৯ * ০৮ দোষটা কি আসলে তেলাপোকার?- ৩২ * ০৯ গোলাপি হাতি থেকে রক্ষা পাওয়ার রহস্য- ৩৫ * ১০ পৃথিবীর সবথেকে ভালো আইডিয়াগুলো কোথায় পাওয়া যায়?-৩৮ * ১১ সুন্দর মানসিকতা গড়ে তোলার ৬টি উপায়।-৪০ * ১২ সিজিপিএ আসলে কতটা প্রয়োজন?- ৪৩ * ১৩ মন ভালো করার টোটকা -৪৬ * ১৪ একজন বৃক্ষমানবের গল্প। -৪৯ * ১৫ সময় বাঁচানোর শতভাগ কার্যকর কৌশল।-৫২ * ১৬ ফেসবুক সদ্ব্যবহারের ৩টি কার্যকরী আইডিয়া- ৫৫ * ১৭ ছাত্রজীবনে অর্থ উপার্জনের ১০টি উপায়।- ৫৮ * ১৮ ডিজিটাল ওরিয়েন্টেশন ও একটি স্বপ্নের কথকতা -৬২ * ১৯ শিক্ষাজীবনে যে ১০টি কাজ না করলেই নয়-৬৫ * ২০ প্রতিনিয়ত করে চলেছি যে ৪টি ভুল!- ৬৯ * ২১ বিনোদনের ফাঁকে ফোকাস করো নিজের উন্নতি- ৭২ * ২২ ভোকাবুলারি জয়ের ৫টি কৌশল- ৭৫ * ২৩ অপরিচিতের সাথে কিভাবে ফোনে কথা বলবে-৭৭ *২৪ সালাম দেয়া এবং ভালা গুণের প্রশংসা করা।-৮০ * ২৫ “তোকে দিয়ে কিছু হবে না” থেকে আত্মরক্ষার কৌশল -৮৩ * ২৬ একটি কমন অভ্যাস -৮৬ * ২৭ পরিশ্রমকে হ্যা বললা। -৮৯ * ২৮ প্ৰতিযোগিতায় যে গুণ গুলো থাকা প্রয়োজন। -৯১ * ২৯ আইডিয়াকে কাজে লাগাও, সাফল্যের পথে পা বাড়াও -৯৪ * ৩০ মার্শমেলো টেষ্ট ও দুরদর্শীতা -৯৬ * ৩১ নিজেকে জানো। -৯৮ * ৩২ কিন্তু সিজিপিএ? -১০০ * ৩৩ নিয়ন্ত্রণে রাখো নিজের সুখ -১০১ * ৩৪ হয়ে ওঠো পাওয়ার পয়েন্টের জাদুকর -১০৪ * ৩৫ টলারেন্স নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা। -১০৭ * ৩৬ চ্যাটিং করা থেকে যদি দারুণ কিছু হয়, চ্যাটিং করা ভালো! -১০৮ * ৩৭ রাজার অসুখ আর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। -১১১ * ৩৮ আমার প্রথম পাবলিক পরীক্ষা আর ডোপামিন ইফেক্টের গল্প -১১৩ * ৩৯ বিশ্ববিদ্যালয় জীবন গড়ে তোলে এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম দিয়ে -১১৬ * ৪০ Sunk Cost-কে ‘না’ বলো, সাফল্যের পথে এগিয়ে চলো!- ১১৯ * ৪১ ইন্টারভিউয়ের কথকতা -১২১ * ৪২ এখনই লিখে ফেললা তোমার সিভি! -১২৪ * ৪৩ ফেসবুকের সঠিক ব্যবহার করে হয়ে ওঠো আদর্শ নাগরিক। -১২৭ * ৪৪ সময় নষ্টের মূলে যে ৮টি কারণ -১৩০ * ৪৫ সময় ব্যবস্থাপনার ৫টি কার্যকর কৌশল। -১৩৪ * ৪৬ সমালোচনা -১৩৭ * ৪৭ নিজেকে জানা, Elevator Pitch এবং আমাদের অবস্থান। -১৩৯
"মন প্রকৌশল স্বপ্ন অনুপ্রেরণা আর জীবন গড়ার ফরমুলা " ফ্ল্যাপের কথাঃ আমি আমার জীবন দেখেছি একজন মানুষকে দিয়ে সত্যিকারের কোনো কাজ করিয়ে নিতে হলে তাকে কিন্তু টাকা পয়সা বা সম্মানী দিতে হয় না। তাকে উৎসাহ দিতে হয় (এ জন্যে যখন কোনো বড় কাজ করতে হয় আমি ভলান্টিয়ার খুঁজি)। কিন্তু উৎসাহ দেয়ার জন্যে মানুষটাকে খুঁজে পেতে হয়। যার সাথে আমার দেখাই হয়নি তাকে আমি উৎসাহ দেব কেমন করে? তখন দরকার রাগিব হাসানের “মন প্রকৌশল” ধরনের বই। পৃথিবীর সব দেশেই এ ধরনের বই আছে আমাদের দেশে সেভাবে আমার চোখে পড়েনি। এর অভাব খানিকটা দূর হল। বইটা পড়ে এক ধরনের অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। মন প্রকৌশল শব্দটা কটমটে মনে হতে পারে কিন্তু বইটা মোটেই কটমটে নয়, খুব গুছিয়ে লেখা হয়েছে। স্বপ্নের কথা বলা হয়েছে, ঘুরে দাঁড়ানো মানুষদের কথা বলা হয়েছে। অসংখ্য উদাহরণ দেয়া হয়েছে, অসংখ্য গল্প বলা হয়েছে। আমি নিজে এই বয়সে অনেকগুলো গল্প বা ঘটনার কথা পড়ে নিজের ভেতর এক ধরনের উত্তেজনা অনুভর করছি, সাহস পেয়েছি কাজেই ধরে নিচ্ছি অন্যেরাও পাবে। বইটির নামে যেহেতু প্রকৌশল বা ইঞ্জিনিয়ারিং শব্দটা আছে তাই রাগির হাসান সত্যিকারভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্যে ছোট ছোট ধাপগুলো পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে। আমাদের তরুণদের কিছু বাঁধাধরা সমস্যা আছে সেই সমস্যাগুলোর কথা বলা আছে। হতাশ হয়ে যাওয়া সেই তরুণদের কেউ না কেউ নিশ্চয়ই এই বইটা পড়ে এক ধরনের শক্তি পাবে, এক ধরনের সাহস পাবে, নিজের ভেতর অনুপ্রেরণা খুঁজেপাবে। সূচি এই বইটা যেভাবে পড়বেন * স্বপ্ন ও আমরা * স্বপ্ন বনাম বাস্তবতা * সফল ব্যর্থতা * ভয় * মেধা * মেধার মাপামাপি বকের কলসি আর শিয়ালের গামলা * সাফল্য * আত্মবিশ্বাস * প্রথম পদক্ষেপ * নিজেরাই পারি * পাছে লোকে কিছু বলে, তাতে কী আসে যায় * খাইট্টা খা!! * শব্দটা ব্যান করে দিন জীবন থেকে * আত্মোপলব্ধি— আয়নায় নিজের মুখ * বুঝে নিন জীবনের সহজ ফরমুলা * থাকুন কৌতূহলী হয়ে, সব সময়ই * শান্তির খোজ * চিন্তার অপার শক্তি * কেন? * শেখার বয়স, বয়সের শেখা * সেকেন্ড চান্স * অসম্ভবকে সম্ভব করাই... * এক টিকিটে দুটি ছবি? সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার * মন-প্রকৌশল : স্বপ্ন অনুপ্রেরণা আর জীবন গড়ার ফরমুলা * পোমোডরো টেকনিক- মন ভোলানোর, মন বসানোর কার্যকরী কায়দা * গুগলের KISS সহজে করুন পরিকল্পনা * একলা নয়, একসাথে চলা রে * রোবটিক কাজ আর কাব্যময় জীবন কীভাবে হবে ভারসাম্য * (Work-life * Balance)? * মুস্তাফিজের বল, সাকিবের ব্যাট, আর স্বপ্নপূরণের ১০,০০০ ঘণ্টা * ঠিক আছে এবং আবেগের বল আনুন নিয়ন্ত্রণে * আস্থার দৃঢ়তা প্রমাণের জয় নিজেকে বিশ্বাস করুন, সবসময় * নোয়াখালীর রবীন্দ্রনাথ, আপেক্ষিক ভাললা লাগা, আর suum * cuique pulchrum est * সাধারণের অসাধারণত্ব ৭৩ * কথা নয়, কাজ * নিয়ম-বেনিয়ম * ব্র্যান্ড কিংবা তকমা নয়, নজর দিন জ্ঞান, দক্ষতার ওপর কপি বর্জন * চোর, বাংলা সিনেমা ও ইনভেস্টমেন্ট * মন ইঞ্জিনিয়ারিং? * মনের রিমোট কন্ট্রোল আর মেন্টাল পজ বোতাম * কল্পনার অবারিত প্রান্তর * কানা মামা ও কাজের ছু-মন্তর * ভয় জয় ফরমুলা থাকুন নিশ্চিন্ত, নার্ভাস নাইন্টিজে * পয়েন্ট এ টু পয়েন্ট বি— স্বপ্নের মানচিত্র * কী আছে, আপনার কাছে? * স্বপ্ন দেখার অনুশীলন * অনুপ্রেরণা অন্ধকারে আমাদের আলোর দিশা * ভাগ্যের চাকা, দেয়ালে ঠেকা পিঠ, বনাম একাদশে বৃহস্পতি * পুনর্জন্ম * দশরথের তাজমহল কিংবা শাহজাহানের রাস্তা * আঁধারের আলো– আপনি কি পাচ্ছেন দেখতে? * মন প্রকৌশলের জন্য বাড়ির কাজের তালিকা
"রিচার্জ ইয়োর ডাউন ব্যাটারি" বইটি কাদের জন্য দিনে কয়বার মোবাইলের চার্জ চেক করো? চার্জের লাল বাত্তি জ্বলার আগেই লাফাইতে লাফাইতে চার্জার নিয়ে বসে পড়ো! অথচ কখনো কি চেক করেছো তোমার লাইফের চার্জ কতটুকু আছে? যারা লাইফের চার্জ কতটুকু আছে চেক করতে চায়। দরকার হলে নিজেকে রিচার্জ করে নিতে চায়। মরা ইঞ্জিন নিয়েও কেরামতি দেখাতে চায়। বন্ধুত্বের ভাইরাস, ছুতার জং, ভালো না লাগার রোগ সেরে ফেলতে চায়। তাদের জন্য এই বই। যাতে তারা সময়মতো কনফিডেন্সের বড়ি গিলতে পারে, কোপা শামসু স্টাইলে ফাইট দিয়ে জীবন ঝাক্কাস বানাতে পারে।
এই বইটির উদ্দেশ্য এই বইটির উদ্দেশ্য হচ্ছে তোমাকে লাইফের জন্য, স্বপ্নের জন্য, অর্জনের জন্য একটা চার্জার দেয়া। যাতে যখনই দরকার পড়বে তখনই রিচার্জ your ডাউন ব্যাটারি বই নিয়ে নিজেই নিজেকে রিচার্জ করে নিতে পারো।
এটা কি ধরনের বই এইটা জীবনের বিভিন্ন সিচুয়েশনে হাল কিভাবে ধরবে সেই গাইডলাইনের বই। একটু পিছিয়ে পড়ার পর, লাইফে কামব্যাক করার বই। স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে গিয়ে কিছু ভুল করে ফেলার পর আবারো লাইনে ফেরত আসার উপায় নিয়ে আলোচনা করা বই।
বইয়ের ভূমিকায় লেখক লিখেছেন প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে, প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুটের এই আমার; টুক টুক করে এই বই লিখতে মাথার ঘাম পায়ে পড়েছে। কারণ বেশিরভাগ সময় ফ্যান চালানোর জন্য কারেন্ট থাকতো না। তার উপরে আমি যে মোবাইলে লিখতাম সেটার প্রসেসর, মেমোরি, সিমকার্ডসহ সবকিছু ঠিক থাকলেও, কিছুদিন পর পর সেটা আর চলতে চাইতো না। কারণ চার্জ শেষ হয়ে যেতো। তাই সেই মোবাইল রিচার্জ করতে করতেই আমি আমার চিন্তাভাবনা, কাজের স্পৃহা আর চেষ্টার আগ্রহকেও রিচার্জ করার ট্রাই করতাম। আর তাতেই পয়দা হয়ে গেছে প্রায় চল্লিশখানা লেখা। এই লেখাগুলাতে একজন ঘনিষ্ঠ বড় ভাই তার ছোট ভাইকে বিভিন্ন সিচুয়েশনে গাইডলাইন দিচ্ছে। যেমনটা হয়ে থাকে চায়ের দোকানে, মেসের আড্ডাতে, পিকনিকের বাসে কিংবা ক্যাম্পাসের করিডোরে। -ঝংকার মাহবুব, মরা ইঞ্জিনের হেলপার www.JhankarMahbub.com
সূচি/বইতে যেসব গাইডলাইন দেয়া তার কয়েকটা আয়েশ আর অর্জন এক পথে চলে না শান্টিং না দিলে পানি উপরে উঠে না দু-একটা ল্যাং খাইলে ফিউচার ডাউন খায় না সাবজেক্ট ক্যারিয়ারের জন্য বেরিয়ার হয় না
লেগে থাকাই অর্জন অর্জনই গর্জন ছেড়ে দিলে হেরে যাবে কন্ট্রোল না করলে, কন্ট্রোলিত হবে
কনফিডেন্সের বড়ি গিলো অপেক্ষা না করে অপশন ধরো ভালো না লাগা- একটা জাতীয় সমস্যা রিস্ক নেয়াটা সফলদের তপস্যা
বন্ধুত্বের ভাইরাসে কামড়ালে জান হবে কয়লা বেশি ছুতা ধরলে ইঞ্জিনে ধরবে জং আর ময়লা পারফেক্ট টাইম, পারফেক্ট কন্ডিশন দিবে মুলা জীবন ঝাক্কাস বানাতে ফলো করো ৫স ফর্মূলা
বারে বারে লাথি দিলে তালা ঠিকই ভাঙ্গবে আত্মদিবসের ডোজ খেলে স্বপ্নগুলো জাগবে ভাইবো না, চাকরি করলেই হয়ে যাবে ধনী বিজনেস করতে নামলে খাইতে হবে কনি
মন খারাপ করা মরণ ব্যাধি রিচার্জ your ডাউন ব্যাটারি হীনমন্যতা নামের টাল্টিবাল্টি ছাড়ো লম্বা প্ল্যান ছেড়ে, ছোট প্ল্যানের তাবিজ ধরো
মরা ইঞ্জিনের কেরামতি লোনলিনেসে তেলেসমাতি কপি ইজ দ্য সিক্রেট অফ সাকসেস টার্গেট এচিভ করার মিশনে হইওনা মোখলেস
আগে পারতাম, এখন হালুয়া টাইট কাটপিস স্টাইলে কোপা শামসু দেয় ফাইট শুধু স্ট্রাগলে ভরবে না স্বপ্নের ট্যাঙ্কি ট্যালেন্ট দিয়ে মাইরো না হাঙ্কি-পাঙ্কি
"দ্য পাওয়ার অব ইউর সাবকনশাস মাইন্ড" -বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা কথা আপনার অবচেতন মনের মিরাকল ঘটানো শক্তি আপনার আমার সামনেই রয়েছে এবং সেটা বহু বহু আগে থেকেই । চিরন্তন সত্য এবং জীবনের নিয়মনীতি সকল ধর্মের আগেই ঘটেছে। এ ভাবনা মাথায় রেখে আপনাকে এ বইটি পড়তে বলবো । কারণ বইয়ের সামনের অধ্যায়গুলোতে রয়েছে মনের অসাধারণ শক্তির এক আধারের কথা । এটি মানসিক এবং শারীরিক ক্ষত সারিয়ে তুলবে, ভীত মনকে স্বাধীন করে তুলবে এবং দারিদ্র্য, ব্যর্থতা, দুঃখ, হতাশা ইত্যাদি সবকিছু থেকে আপনাকে মুক্ত করবে। শুধু আপনাকে যা করতে হবে তা হলো মানসিক এবং আবেগী ইচ্ছেগুলোর বাস্তবরূপ প্ৰকাশ । আপনার অবচেতন মনের সৃজনশীল শক্তি নিজ থেকেই সাড়া দেবে। আর কাজটা আজ থেকে, এখন থেকেই শুরু করে দিন । আপনার জীবনে দারুণ দারুণ সব ব্যাপার ঘটতে দিন! এ অভ্যাস বজায় রাখুন। সেদিন পর্যন্ত, যতদিন পর্যন্ত না আঁধার কেটে আপনার জীবনে ঝলমল করে ওঠে আলো ।
ভূমিকা সেবা প্রকাশনী থেকে একদা প্রকাশিত আত্মউন্নয়নমূলক বইগুলো একসময় বেশ পড়তাম। গল্পের ঢঙে লেখা বলে পড়তে ভালোই লাগত। তবে কখনও চিন্তা করিনি এ ধরনের বই আমাকে অনুবাদ করতে হবে। মুক্তদেশের তরুণ প্ৰকাশক জাবেদ ইমন একদিন যখন ড. জোসেফ মারফির “The Power of Your Subconscious Mind” বইটি নিয়ে এসে অনুরোধ করতে লাগলেন, ‘দাদা, বইটি পড়ে দেখুন। আপনার ভাল লাগবে।” ভাল না লাগলে অনুবাদ করবেন না।’ আমি জাবেদ ইমনের চাপাচাপিতে অনিচ্ছাসত্ত্বেও বইটি নিয়ে বসলাম। দুটাে অধ্যায় পড়ার পরে আবিষ্কার করলাম, সত্যি তো! বেশ ভাল লাগছে। অবচেতন মনের এত ক্ষমতা আমি জানতামই না! এবং অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম অবচেতন মনকে অজান্তেই নানান কমান্ড দিয়ে চলেছি, এবং তার ফলও পাচ্ছি। একটা উদাহরণ দিই তাহলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে । সবাই জানে আমি সারারাত জেগে লিখি এবং দিনের বেলায় ঘুমাই। এ অভ্যাসটি কিন্তু ভাল নয়। কারণ বেলা দুটা-তিনটার সময় ঘুম থেকে ওঠার পরে দিনের বেলা এক ঘণ্টা লেখার সময় পাওয়া যায় না। আমি ড. জোসেফ মারফির এ বইটি পড়ে জানলাম অবচেতন মনকে যদি হুকুম দেয়া যায় আমি অমুক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে চাই, তাহলে ঠিক সেই সময়েই ঘুম ভেঙে যাবে। আমি তা-ই করলাম। অবচেতন মনকে নির্দেশ দিলাম। আমি এখন থেকে দুপুর বারোটার মধ্যে ঘুম থেকে জাগতে চাই যাতে দিনের বেলা অন্তত: ঘণ্টা দুই লিখতে পারি। বিশ্বাস করুন, এখন ঠিক বারেটার সময় আমার ঘুম ভেঙে যাচ্ছে এবং আমি দিব্যি দিনের কিছুটা সময় লেখালেখিতে ব্যয় করতে পারছি। আমাকে শুধু ঘুমের অভ্যাসই বদলে দিতে সাহায্য করেনি, আরও কিছু অভ্যাস ত্যাগ করতে সহায়ক হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আপনারাও এ বইটি পড়ে, অবচেতন মনের অত্যাশ্চাৰ্য ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে নানান উপকার পাবেন। মুক্তদেশের প্রকাশক জাবেদ ইমন চাইছেন এ ধরনের আরও বই আমাকে দিয়ে অনুবাদ করাতে । আমি তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাব ভাবছিা! অনীশ দাস অপু
সূচিপত্র এ বইটি কীভাবে আপনার জীবনে মিরাকল ঘটাতে পারে
অধ্যায়-১ * আপনার ভেতরকার কোষাগার * আপনার অবচেতন মনের দুর্দান্ত শক্তি * কর্মপদ্ধতির ভিত্তির প্রয়োজনীয়তা * মনের দ্বৈততা * সচেতন এবং অবচেতন মন * অপূর্ব পার্থক্য এবং কার্যক্রমের ধরন বা পদ্ধতি * কীভাবে তার অবচেতন মন সাড়া দিয়েছিল * যে কথাগুলো মনে রাখবেন
অধ্যায়-২ * আপনার মন কীভাবে কাজ করে * সচেতন ও অবচেতন মনের পার্থক্য * মনোবিজ্ঞানীদের গবেষণা * অবজেকটিভ এবং সাবজেকটিভ মাইন্ড * অবচেতন মন আপনার সচেতন মনের মতো ব্যাখ্যা দিতে পারে না * পরামর্শের দারুণ ক্ষমতা * একই সাজেশনের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া * কীভাবে সে তার হাত বাড়িয়েছিল। * অটো সাজেশন কীভাবে ভয় দূর করে * কীভাবে তিনি তাঁর হারানো স্মৃতি ফিরে পেলেন * কীভাবে সে নিজের বদমেজাজ নিয়ন্ত্রণ করেছিল * হেটেরোসাজেশন * আপনি কি এসবের কোনোটি মেনে নিয়েছেন? * আপনি নেতিবাচক সাজেশন ঠেকাতে পারবেন। * কীভাবে সাজেশন একটি মানুষকে হত্যা করেছিল * অনুমিত প্ৰধান প্রতিজ্ঞার শক্তি * অবচেতন মন বিতর্ক করে না * হাইলাইটের রিভিউসমূহ
অধ্যায়-৩ * আপনার অবচেতন মনের মিরাকল ঘটানোর ক্ষমতা * অবচেতন মন আপনার জীবনের বই * অবচেতনে যা ছাপ পড়ে তা-ই প্ৰকাশিত হয় * অবচেতন মন কীভাবে আপনার দেহের সমস্ত কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে * কীভাবে অবচেতন মনকে দিয়ে কাজ করবেন * আপনার অবচেতন মনের কাছে কীভাবে সুস্বাস্থ্যের চিন্তাটি পাঠাবেন * যে কথাগুলো মনে রাখবেন
অধ্যায়-8 * প্রাচীন সময়ে মানসিক নিরাময় * বাইবেলে অবচেতন মনের ক্ষমতার ব্যবহার * বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন মন্দিরের অলৌকিক ঘটনা * একটি সার্বজনীন নিরাময় নীতি * বিস্তৃত বিভিন্ন তত্ত্ব * বার্নহাইমের এক্সপেরিমেন্ট * রোগ নিরাময়ের রিভিউ
অধ্যায়-৫ * আধুনিককালে মানসিক নিরাময় * বিশ্বাসের আইন * প্ৰেয়ার থেরাপি হলো বৈজ্ঞানিকভাবে পরিচালিত সচেতন ও অবচেতন * মনের একত্ৰিত ফাংশন * বিশ্বাসে নিরাময় কথার অর্থ কী এবং অন্ধ বিশ্বাস কীভাবে কাজ করে * অ্যাবসেন্ট ট্রিটমেন্টের অর্থ * অবচেতন মনের কাইনেটিক অ্যাকশন * স্বাস্থ্য ফিরে পেতে এ অধ্যায়ের সারমর্ম
অধ্যায়-৬ মানসিক নিরাময়ে প্রাকটিকাল টেকনিক * অবচেতনে নিষিক্ত করার জন্য পাসিং ওভার টেকনিক * অবচেতন আপনার নকশা গ্ৰহণ করবে * সত্যিকারের প্রার্থনার বিজ্ঞান ও কলা * প্ৰত্যক্ষ করার কৌশল * মেন্টাল মুভি মেথড * বুদইন টেকনিক * স্লিপিং টেকনিক * “ধন্যবাদ’ টেকনিক * ইতিবাচক পদ্ধতি * তর্কপ্ৰবণ পদ্ধতি * চূড়ান্ত মেথড আধুনিক আলট্রাসাউন্ড থেরাপির মতো * একজন পঙ্গু মানুষ যখন হাঁটতে লাগলেন * ডিক্রি মেথড * বৈজ্ঞানিক শক্তি দিয়ে নিজেই নিজের সেবা করুন
অধ্যায়-৭ * অবচেতন মনের প্রবণতা জীবনমুখী * শরীর কীভাবে মনের কথাগুলো ফুটিয়ে তোলে * আপনার শরীরকে গ্রাহ্য করে যে বুদ্ধিমত্তা * স্বাস্থ্যবান ও সবল থাকাই স্বাভাবিক, অসুস্থ থাকা অস্বাভাবিক * অবচেতন মনের শক্তির ওপর বিশ্বাস কীভাবে আপনাকে সুস্থ করে তুলতে পারে * যে কথাগুলো মনে রাখা প্রয়োজন
অধ্যায়-৮ * আপনি যা চান তা কীভাবে পাবেন * কল্পনা ব্যবহার করুন, ইচ্ছাশক্তি নয় * প্রার্থনায় সাফল্য পাবার তিনটি পদক্ষেপ * আপনি যা প্রার্থনা করছেন তার বিপরীতটি কেন পাচ্ছেন * আকাজক্ষা এবং কল্পনার দ্বন্দ্ব অবশ্যই মেটাতে হবে * যে কথাগুলো মনে রাখা প্রয়োজন
অধ্যায়-৯ * ধন-সম্পদের জন্য আপনার অবচেতন মনের ক্ষমতা কীভাবে ব্যবহার করবেন * মনের সম্পদ * অদৃশ্য সমর্থন * সম্পদ সচেতনতা গড়ে তোলার যথার্থ মেথড * সম্পদের জন্য আপনার দৃঢ় ঘোষণা কেন ব্যর্থ হয় * মানসিক দ্বন্দ্ব কীভাবে এড়াবেন * ব্ল্যাংক চেকে সই করবেন না * কেন কিছু ঘটে না * সম্পদের উৎস * সম্পদ আহরণে প্ৰধান বাধা * সম্পদ নিয়ে একটি মেন্টাল ব্লক দূর করুন * ঘুমান এবং সম্পদশালী হন * মনের শক্তি দিয়ে নিজেই নিজের সেবা করুন
অধ্যায়-১০ * ধনী হওয়ার অধিকার * টাকা একটি প্রতীক * ধনী হওয়ার রাজকীয় রাস্তায় কীভাবে হাঁটবেন * টাকা এবং একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবন * দারিদ্র একটি মানসিক অসুখ * টাকা নিয়ে কখনো সমালোচনা করবেন না * বিজ্ঞানমনস্করা কীভাবে টাকাকে দেখেন * আপনার যে টাকার প্রয়োজন তা কীভাবে আয় করবেন * আপনার বিনিয়োগ রক্ষা করুন * অহেতুক আপনি কিছুই পাবেন না * ধনী হওয়ার পথে এগোবার পদক্ষেপগুলো
অধ্যায়-১১ * সাফল্যের অংশীদার হিসেবে অবচেতন মন * সাফল্যের পথে তিন ধাপ * প্রকৃত সাফল্যের পরিমাণ * ষোল বছরের ব্যর্থ কিশোর যেভাবে সফল হলো * কেনা বেচায় কীভাবে সফল হবেন * মনে রাখুন
দ্য পাওয়ার অব্ পজিটিভ থিংকিং - বইয়ে ফ্ল্যাপে লিখা কথা দিকভ্ৰান্ত পথিকের সঠিক এবং আলোকিত পথের দিকদ্রষ্টা ’নরম্যান ভিনসেন্ট পিল’ আমেরিকার ওহিও রাজ্যের বোয়ার্সভাইলে ১৮৯৮ সালের ৩১ মে এক খ্রিস্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । লেখাপড়া শেষে তিনি একজন লেখক, পেশাদার বক্তা এবং ধর্মযাজক হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন । জীবনের কর্মদক্ষতা যতদিন বজায় থাকে ততদিন মানবকল্যাণমূলক কাজেই আজীবন ব্ৰতী থাকেন । জাতিগতভাবে তিনি একজন আমেরিকান | সাধারণ জীবনযাত্রার ধারক মি. নরম্যান ভিনসেন্ট পিল আজীবন ইতিবাচক এবং মানব হিতকর চিন্তার বিষয়বস্তু নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা ও গবেষণা করেছেন । তাঁর লিখিত বেশকিছু আত্মকল্যাণমূলক গ্রন্থের মধ্যে দ্য পাওয়ার অব পজিটিভ থিংকিং বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । বরেণ্য এই চিন্তাবিদ ও লেখক ১৯৯৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ৯৫ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন ।
দ্য পাওয়ার অব্ পজিটিভ থিংকিং - বইয়ে ভূমিকা বইটি যখন লিখেছিলাম, তখন কোনো ভাবে এবং কখনও ভাবিনি যে বইটির দু'মিলিয়ন কপি ছাপার বার্ষিকী পালন করার সৌভাগ্য হবে। এ তো অপ্রত্যাশিত অচিন্তিতপূর্ব। যাহােক বইটি এত সংখ্যক বিক্রি হবার দৃষ্টিকোন থেকে নয়, আন্তরিকভাবে আমি সেই সব ব্যক্তিবর্গের কাছে কৃতজ্ঞ যাদেরকে আমি ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য একটি সক্রিয় জীবন দর্শন পেতে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে অগ্ৰাধিকার দিয়েছিলাম। যে সক্রিয় নিয়ামাবলীসমূহ এই বইটিতে সন্নিবেশিত হয়েছে এবং যা এ বইটি সবাইকে শেখাতে সাহায্য করে তা কিন্তু এমনি এমনি হয়নি, তার জন্য অনেক কষ্ট একটি যথাযথ পথ খুঁজে বের করতে হয়েছে আর এসবের মাঝেই আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনের কঠিন সমস্যাগুলোর উত্তর খুঁজে পেয়েছি, কারণ আমি এমন এক ব্যক্তি যাকে অনেক জটিলতর মানুষের সাথে কাজ করতে হয়েছে। এ বইটি আমার এমন এক প্রয়াস যা নিবেদিত হয়েছিল আমার আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা লাভে, আর এভাবে তা আমাকে বিশ্বস্তভাবে সাহায্য করেছে। আমার আন্তরিক উপলব্ধি ও বিশ্বাস তা একইভাবে অন্যদেরও সাহায্যে আসবে। সহজ সরল এই জীবন দর্শন বিধিবদ্ধ করণের কাজে আমি আমার নিজের জীবন জিজ্ঞাসার উত্তর খুঁজে পেয়েছি যীশু খ্রিস্টের শিক্ষা থেকে। আমি কেবল মাত্ৰ এ সব সত্যকে ভাষায় এবং সুচিন্তিত আকারে ভোধগম্যভাবে আজকের মানুষের কাছে বর্ণনা করেছি। জীবনের যে যথাযথ পথ এ বইটি নির্দেশ করে এবং সাক্ষ্য বহন করে তা খুবই অদ্ভূত। এটা সহজ সাধ্যও নয়। আসলে তা প্রায়ই কঠিন কাজ, তা সত্যেও এ আনন্দে পূর্ণ, পূর্ণ আশায় এবং জয়লাভে। আমার সুন্দর মনে পড়ছে সেদিনের কথা, যেদিন আমি বইটি লিখা শুরু করার জন্য কিভাবে বসেছিলাম। আমি জানতাম যে সেরা কাজটি করার জন্য আমার যে সামর্থ ছিল তার থেকেও অধিক সামর্থ আমার প্রয়োজন ছিল, তাই তার জন্য আমার যে সাহায্যের প্রয়োজন ছিল আর আমি বুঝেছিলাম তা আসতে পারে শুধু বিধাতার কাছ থেকে। আমার এবং আমার স্ত্রী দুজনেরই একটি সুচিন্তিত পরিকল্পনা ছিল যে, আমাদের সকল কাজে এবং সমস্যায় আমরা বিধাতাকে আমাদের সার্বিক সাথী রূপে গ্রহণ করবো। তাই আমরা আন্তরিকভাবে তার সাহায্য এবং সঠিক দিক নির্দেশনা চেয়ে প্রার্থনা করতাম এবং আমাদের পরিকল্পনা বিধাতার হাতে ন্যস্ত করতাম। আর যখন পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত হত প্ৰকাশকের কাছে তা তুলে দেবার জন্য তখন আমি আর আমার সহধর্মিনী আবার তা প্রার্থনা সহযোগে বিধাতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতাম । আমাদের প্রার্থনা ছিল এই বইটির বিষয়বস্তু যেনো মানুষের আরও ফলপ্রসু, আরও স্বার্থক জীবন যাপনের সহায়ক হয়। যখন প্রথম দু’লাখ মিলিয়ন কপি ছাপাখানা থেকে ছাপা হয়ে আমাদের কাছে এল ঐ মুহূর্তটি আবার আমাদের কাছে একটি অনুপম আধ্যাত্মিক মুহূর্ত বলে প্রতিভাত হল। বিধাতাকে পরম ভক্তি ভরে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলাম। তার সাহায্যের জন্য এবং বইটি আবার তাকে উৎসর্গ করলাম। বইটি লিখা হয়েছিল এ দুনিয়ার সাধারণ মানুষদের জন্য, নিশ্চিত যে আমিও তাদের একজন। আমি জন্মেছিলাম এবং লালিত পালিত হয়েছিলাম মধ্যপাশ্চাত্যের নিবেদিত প্ৰাণ এক খ্রিস্টান পরিবারের বিনয়ী পারিপার্শ্বিকতার মধ্যে। এখানকার সবাই ছিল আমার মনের মত যাদেরকে আমি জানতাম এবং ভালোবাসতাম পরম বিশ্বাসে। যখন পরম বিশ্বাসে তাদের কেউ বিধাতার হাতে নিজেকে সঁপে দিত, বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে দেখল, কিভাবে ঐশীশক্তি ও গরিমা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হচ্ছে তাদের জীবন রনের উত্তরণে। গভীর উদ্বেগের সাথে বইটি লিখেছিলাম মানুষের দুঃখ বেদনা, কষ্ট ও অস্তিত্বের সংগ্রামের উপর। বইটি আমাদের শেখায়, কিভাবে মনের শান্তির আবাদ করতে হয়, এবং তা বৈরী জীবন থেকে পালিয়ে সুরক্ষিত, নিশ্চল বন্দীত্ব স্বীকার করে নয়, বরঞ্চ তা কাজ করে একটি শক্তি কেন্দ্র রূপে, যা থেকে উদ্ভূত হয় গঠনমূলক ব্যক্তিবর্গের ও সমাজ জীবনের চালিকা শক্তির। এটি শিক্ষা দেয় সঠিক চিন্তার যতাৰ্থতা, খ্যাতি সুখ্যাতির উপায় বের করার জন্য নয়, ধনসম্পত্তি ও শক্তিধর হবার জন্য নয়। কিন্তু শিক্ষা দেয় কিভাবে বিশ্বাসের বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমে জীবনের পরাজয়কে পরাভূত করে জীবনের গঠনমূলক ও মূল্যবান মূল্যবোধকে সুসম্পন্ন করতে হয়। এক কঠিন ও সুশৃঙ্খল জীবন পথের দিশারী এ বই, আবার এ ও সত্যি যে বা যারাই তার বা তাদের জীবনে জয় লাভ করেছে, জয় লাভ করেছে। এ বৈরী দুনিয়ার নানা বিরূপ ও প্রতিকুল অবস্থার উপর, এ বই নিঃসন্দেহে তাদের জন্যে নিয়ে আসে। জয়ের অনাবিল মহানন্দ । যারা এ বইটির প্রদত্ত ও প্রানবন্ত আধ্যাতিক কলা কৌশলগুলো প্রয়োগ ও চর্চা করে বাস্তব জীবনে জয় লাভ করেন তাদের আনন্দঘন বিজয়ানুভূতির কথা আমাকে লিখে জানিয়েছেন এবং যারা এখনও সেই ক্রমন্বিত অভিজ্ঞতা লাভ করছেন আমি কি তাদের জানাতে পারি যে আমি কত না খুশি! অটুট ও অবিরাম সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য, বন্ধুসুলব বিশ্বস্ততার জন্য। মহানুভব ঈশ্বর মানুষের কল্যানে ও সাহায্যার্থে এ বইটি ব্যবহারে অবারিত আশীষ দান করুন। Norman Vincent Peale নরম্যান ভিনসেন্ট পিল
সূচিপত্র * নিজের উপর আস্থা রাখুন * শান্তিপূর্ণ মন শক্তি উৎপাদন করে * কিভাবে নিয়মিত শক্তি পাওয়া যায় * প্রার্থনার শক্তি পরীক্ষা করে দেখুন * কিভাবে নিজের সুখ নিজেই থৈরি করতে হয় * আকস্মিক ক্ৰোধ এবং বিরক্তি থেকে বিরত হােন * আমি পরাজয়ে বিশ্বাসী নই * কিভাবে উদ্বিগ্ন হওয়ার অভ্যাস থেকে মুক্ত হবেন * ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানের শক্তি * জীবনীশক্তি যখন অবসন্ন হয়ে পড়ে * অন্তঃপ্রবাহী নতুন চিন্তা * সহজ শক্তির লাভের জন্য শিখীল হােন * কিভাবে মানুষের ভালোবাসা আপনি পাবেন * হৃদ-শুলের ব্যবস্থা পত্ৰ * কিভাবে সেই উচ্চতর শক্তিকে জাগিয়ে তুলবেন * পাঠকদের জন্য কিছু কথা
`থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ’ বইয়ের সূচিঃ* লেখকের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি- ১৭ * এক—সূচনা: চিন্তার শক্তি- ১৯ * দুই-সোনা থেকে তিন হাত দূরে- ২২ * তিন-আকাক্ষা: সকল অর্জনের সূচনা বিন্দু- ২৮ * চার-প্রতিটি ব্যর্থতার মাঝে লুকিয়ে থাকে সাফল্যের বীজ- ৩৩ * পাঁচ-বিশ্বাস: আকাক্ষা সিদ্ধি ও দর্শনের জন্য বিশ্বাস- ৪০ * কীভাবে বিশ্বাস গড়ে তুলবেন- ৪১ * আত্মবিশ্বাসের ফর্মুলা- ৪৩ * ছয়-অটো সাজেশন: অবচেতন মনকে প্রভাবিত করার মাধ্যম- ৪৮ * নির্দেশনাবলীর সারাংশ- ৫১ * সাত-ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা কিংবা পর্যবেক্ষণ- ৫৩ * আট—কল্পনা শক্তি: মনের কর্মশালা- ৫৬ * কল্পনার দুটি রূপ- ৫৭ * কিভাবে কল্পনার বাস্তব ব্যবহার করবেন- ৫৯ * নয়—সংগঠিত পরিকল্পনা: আকাঙ্ক্ষাকে স্ফটিকস্বচ্ছ করে তোলা- ৬২ * নেতৃত্বের প্রধান গুণ- ৬৫ * দশ—চাকরি: চাকরির আবেদনপত্রে যেসব তথ্য থাকা প্রয়োজন- ৬৯ * আপনার আকাক্ষিত পজিশনটি কীভাবে পাবেন?- ৭১ * আপনার QQs রেটিং কেমন?- ৭২ * ব্যর্থতার ৩০টি কারণ- ৭৩ * নিজেকে জানার জন্য আত্মবিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন- ৭৮ * এগার—সিদ্ধান্ত: ধনী হওয়ার সপ্তম পদক্ষেপ- ৮০ * স্বাধীনতা অথবা মৃত্যুতে সিদ্ধান্ত- ৮২ * বার—ধৈর্য: বিশ্বাস উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টা- ৮৪ * ধৈর্য নিয়ে আসবে সাফল্য- ৮৬ * ধৈর্যের অভাবের লক্ষণসমূহ- ৮৮ * ধৈর্যের উন্নতি ঘটাবেন কীভাবে- ৯২ * শেষ মহানবী: টমাস সার্জের রিভিউ- ৯৩ * তের-মাস্টার মাইন্ডের ক্ষমতা: চালিকা শক্তি- ৯৫ * ‘মাস্টার মাইন্ড' এর মাধ্যমে শক্তি অর্জন- ৯৭ * চৌদ্দ-সেক্স ট্রান্সমিউটেশনের রহস্য- ১০১ * দশটি মানসিক উদ্দীপক- ১০৩ * জিনিয়াস তৈরি হয় ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দ্বারা- ১০৪ * পুরুষরা কেন কদাচিৎ চল্লিশের আগে সফল হয়?- ১০৫ * পনের-অবচেতন মন: সংযোগ স্থাপনের লিংক- ১১৩ * দিনরাত কাজ করে অবচেতন মন- ১১৩ * সাতটি প্রধান ইতিবাচক আবেগ- ১১৭ * সাতটি প্রধান নেতিবাচক আবেগ- ১১৭ * ষোল—মস্তিষ্ক: চিন্তা গ্রহণ এবং প্রেরণের স্টেশন- ১২০ * টেলিপ্যাথি- ১২২ * সতের-ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়: জ্ঞানের মন্দিরের দরজা- ১২৪ * অটো-সাজেশনের মাধ্যমে চরিত্র গঠন- ১২৬ * বিশ্বাস বনাম ভয়- ১৩২ * আঠার-ভয়ের ছয়টি ভূতকে কীভাবে তাড়াবেন?- ১৩৩ * ছয়টি মূল ভয়- ১৩৪ * দারিদ্র্যের ভয়- ১৩৫ * দারিদ্র্যের ভয়ের লক্ষণসমূহ- ১৩৭ * টাকা কথা বলে- ১৩৯ * মহিলারা হতাশা লুকিয়ে রাখে- ১৩৯ * সমালোচনার ভয়- ১৪০ * সমালোচনার ভয়ের লক্ষণ- ১৪১ * রুগ্ন বা ভগ্ন স্বাস্থ্যের ভয়- ১৪২ * রুগ্ন বা ভগ্ন স্বাস্থ্যের লক্ষণসমূহ- ১৪৪ * প্রেম-ভালোবাসা হারানোর ভয়- ১৪৬ * বুড়িয়ে যাওয়ার ভয়- ১৪৭ * মৃত্যু ভয়- ১৪৮ * মৃত্যু ভয়ের লক্ষণ- ১৫০ * বুড়ো মানুষদের দুঃশ্চিন্তা- ১৫১ * শয়তানের কর্মশালা- ১৫৪ * নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে কীভাবে রক্ষা করবেন নিজেকে?- ১৫৫ * আত্মবিশ্লেষণ পরীক্ষার প্রশ্ন- ১৫৬ * বাহানা- ১৬১ * যা কিছু অভিজ্ঞতার গল্প: কংগ্রেস সদস্যের চিঠি- ১৬৪ * স্বাধীনতা অথবা সিদ্ধান্ত গ্রহণে মৃত্যু- ১৭১
সূচনা চিন্তার শক্তি ত্রিশ বছর আগে এডুইন সি. বার্নেস আবিষ্কার করেন মানুষ যে সত্যি ভাবে এবং সমৃদ্ধি লাভ করে, কথাটি কতটা সত্যি। তবে তাঁর এ আবিষ্কার এক বসাতে আসেনি। অল্প অল্প করে তিনি বিষয়টি উপলব্ধি করেছিলেন, শুরু করেছিলেন। বিখ্যাত এডিসনের ব্যবসায়ী সহযোগী হওয়ার তীব্র বাসনা নিয়ে। বার্নেসের আকাঙ্ক্ষা বা বাসনার একটি বৈশিষ্ট্য ছিল সুনির্দিষ্ট। তিনি এডিসনের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলেন, তাঁর জন্য নয়। যখন এই আকাঙ্ক্ষা বা ইমপালস (তাড়না) তাঁর মনের মধ্যে প্রথম খেলে যায়, এটিকে নিয়ে কাজ করার মতো অবস্থানে তিনি ছিলেন না। তাঁর সামনে দু’টি কঠিন সমস্যা ছিল। প্রথমত মি. এডিসনের সঙ্গে তাঁর কোনো জানাশোনা ছিল না, দ্বিতীয়ত নিউজার্সির অরেঞ্জে যাওয়ার ট্রেন ভাড়া তাঁর কাছে ছিল না। এসব সমস্যা এরকম বাসনা চরিতার্থ করার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষকেই নিরুৎসাহিত করে তুলত কিন্তু বার্নেস ছিলেন ভিন্ন ধাতুতে গড়া….
"টাইম ম্যানেজমেন্ট" ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-এর ডিপার্টমেন্ট অব অন্ট্রপ্রনারশিপের বিভাগীয় প্রধানের কথা: সময় একটি মূল্যবান সম্পদ। একজন নিম্নবিত্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর কাছে যে পরিমাণ সময় আছে, একজন কোটিপতি ব্যবসায়ীর কাছেও সমান পরিমাণে সময় আছে। পার্থক্য শুধু সময়ের ব্যবস্থাপনায়। যে যতবেশি কার্যকরীভাবে সময়ের ব্যবস্থাপনা করতে পারে সে ততবেশি সফল। আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ। এক মিনিট সময়ও হেলায় পার করা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করা সময় ব্যবস্থাপনার মুখ্য উপাদান। কাজ ও পরিবারকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি নিজের জন্যও কিছু সময় বরাদ্দ রাখতে হয়। সকল দিক বিবেচনা করে সঠিকভাবে সময় ব্যবস্থাপনা খুব কম মানুষই করতে পারে। কিন্তু যারা করতে পারে তারাই সফলতার মুখ দেখতে পায়। সঠিকভাবে সময় ব্যবস্থাপনা করা হলে দুশ্চিন্তা কিংবা মানসিক চাপ দূর হয়ে যায়। এই বইটি পড়ার পর আমার সময় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা হয়েছে। আমি মনে করি এটি একটি সময়োপযোগী বই। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী কিংবা ছাত্র-ছাত্রী সবারই এই বইটি কাজে লাগবে বলে আমি মনে করি।
মোহাম্মদ শিবলী শাহরিয়ার বিভাগীয় প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব অন্ট্রপ্রনারশিপ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
সূচি ০১.সময় ব্যবস্থাপনার মনোবিজ্ঞান-১৫ ০২.আপনার মূল্যবোধ নিশ্চিত করুন-২১ ০৩.আপনার রূপকল্প ও সংকল্পের ব্যাপারে চিন্তা করুন-২৫ ০৪.প্রকল্প হবে ভবিষ্যৎমুখী, তবে নজর রাখবেন পিছন থেকে-৩১ ০৫.লিখিত পরিকল্পনা তৈরি করুন-৩৫ ০৬.আপনার প্রকল্পগুলোকে তালিকাবদ্ধ করুন-৩৯ ০৭.প্রতিদিনকার অনুসূচি তৈরি করুন-৪৩ ০৮.গুরুত্ব অনুযায়ী কাজ করুন-৫১ ০৯.আপন পথে থাকুন- ৫৭ ১০.আপনার মূল দক্ষতার জায়গাগুলো খুঁজে বের করুন-৬৩ ১১.অন্যের হাতে কাজ দিন-৬৯ ১২.কায়মনোবাক্যে মনোযোগ দিন-৭১ ১৩.দীর্ঘসূত্র দূরীকরণ-৭৫ ১৪.সময়কে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিন-৭৯ ১৫.বাধাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করুন-৮৩ ১৬. একই ধরনের কাজগুলো সব একত্রে করুন-৮৭ ১৭.মোবাইলে ফোন আসাটা নিয়ন্ত্রণ করুন-৯১ ১৮.কার্যকর মিটিং পরিচালনা করুন-৯৫ ১৯.দ্রুত পড়ুন এবং বেশি বেশি স্মরণ রাখুন-৯৯ ২০.ব্যক্তিগত উন্নয়নে বিনিয়োগ করুন-১০৩ ২১.ব্যক্তিগত উন্নয়নে বইয়ের তালিকা ১০৬ ২২. আপনার কাজের ক্ষেত্রেটিকে গুছিয়ে রাখুন-১০৭ * উপসংহার-১০৯
‘উপস্থাপনা ও কথা বলার কলাকৌশল’ বইয়ের সূচিপত্র অধ্যায় : এক * উপস্থাপনা কি এবং কেন ? * নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে * উপস্থাপনা কীভাবে শুরু করবেন ? * কি ধরনের উপস্থাপক হতে চান ? * মঞ্চে বক্তৃতা বিবৃতি * যন্ত্রপাতি সম্পর্কে জ্ঞান * মনের জড়তা দূর করুন * অন্যদের কাছে টানার বিশেষ জ্ঞান * শ্ৰোতাদের আকর্ষণ করার কৌশল * আঁধার পেরিয়ে আলো আসে * অস্থির হবেন না * আত্মবিশ্বাসের উপরই সাফল্য নির্ভর করে * কিছু ভয় আর জড়তা জনপ্রিয়তা অর্জনের অন্তরায়
অধ্যায় ; দুই * একজন সফল উপস্থাপকরে গুণাবলি * নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন * রোমাঞ্চ সৃষ্টিকারী ভাব * ইতিবাচক চিন্তা * প্রভাব বিস্তার করা * সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের কথা বলা * সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত * শ্রোতা দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করা অ * পূর্ণ তথ্য * ভাষণ বা বক্তব্যের প্রস্তুতি * তথ্য সংগ্ৰহ করা জরুরি কেন ? * অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য কি ? * অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় * অনুষ্ঠানের স্থান * অনুষ্ঠানে আপনি আমন্ত্রিত কেন ? * অনুষ্ঠানের শ্রোতা দর্শক কারা * আপনার জন্য বরাদ্ধকৃত সময় * আপনি ছাড়া অন্যান্য বক্তা আছে কিনা * বক্তব্য বা ভাষণ তৈরি করার প্রয়োজনীয় বিষয় * কীভাবে ভাষণ তৈরি করা যায় ? * বক্তব্য শুরু করা * আমাদের দেশের প্ৰেক্ষাপটে বক্তব্য শুরু * তথ্য উপস্থাপন করা * বক্তব্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে কলাকৌশল * বক্তব্যের বা উপস্থাপনার মধ্যবর্তী অংশ * বক্তব্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে কতিপয় সতর্কতা * বক্তব্য বা ভাষণের উপসংহার
অধ্যায় : তিন * শ্ৰোতা বা দর্শকের মন জয় করার কৌশল * স্রোতাদের প্রাণের কথা বলুন * ভালো কাজের প্রশংসা করুন * শ্ৰোতাদের আপনজন হয়ে উঠুন * নিন্দা বাক্য উচ্চারণ করবেন না * বেশি বেশি উৎসাহ আর প্রেরণা দিন * নিজের দিকে দেখুন * সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের উদাহরণ দিন * নিজেকে ছোট করে উপস্থাপন করবেন না * সমালোচনাকে এড়িয়ে যাবেন না * হুবহু নকল করবেন না * নিজেকে মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ করুন * মন জয় করবার জন্য দরকার চরিত্রবান ও পরিপূণু মানুষ * মানুষকে আপন করার জন্য সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন * কথা বলার সময় মনোযোগী হোন * যথাযথ সম্মান প্ৰদৰ্শন করুন * সবকথা শুনে সিদ্ধান্ত নিন * অন্যকে কথা বলার সুযোগ দিন * অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে সময় নস্ট করা * সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিন ও প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করুন * দূর্বল জায়গায় আঘাত করবেন না * অতিরিক্তি ঠাট্রা তামাশা করবেন না * নিজেকে বড় করার চেষ্টা করবেন না।
অধ্যায় : সাত * মন জয় করার জন্য সামনের কাতারে থাকুন * মন জয় করার পদ্ধতি * মানুষকে খুশি করার পদ্ধতি * হৃদয় ছয়ে যায় এমন কিছু করুন * অন্যদের গুরুত্ব দিন * একজন ভালো শ্রোতা হোন * আন্তরিকতার সাথে প্রভাবিত করার চেষ্টা করুন * অন্যদের বিশ্বাসভাজন হতে হবে
প্রখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক মোঃ জাকির হোসেনের জন্ম ১৯৬৭ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি। পিরোজপুর জেলার অন্তর্গত ভাণ্ডারিয়া থানার এক ছোট্ট গ্রাম তেলিখালীতে আবদুল এবং সুফিয়া বেগমের ঘরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা খরস্রোতা কচা নদী কতবার যে তেলিখালীর উপর ভাঙনের থাবা বসিয়েছে তার হিসাব নেই। কিন্তু গ্রামের মানুষ কচা নদীর এই ভাঙন ভাঙন খেলার সাথে যুদ্ধ করেই বেঁচে আছে। আর শৈশব থেকেই মানুষের এই জীবনযুদ্ধের সাক্ষী মোঃ জাকির হোসেন। একদিকে গ্রামের সবুজ শ্যামল প্রাকৃতিক রূপ, অন্যদিকে নদী ভাঙনের ভয়াবহতা, দুয়ে মিলে তার মনের মধ্যে আলোড়ন তুলেছিল, যা তার লেখক সত্ত্বাকে জাগিয়ে তোলে। মোঃ জাকির হোসেনের বইগুলোতেও তাই পাওয়া যাবে তার গ্রামীণ জীবনের ছাপ। কিশোর বয়স থেকেই সাংবাদিকতা, লেখালেখি আর ফটোগ্রাফির প্রতি ঝোঁক তৈরি হয় তার, প্রচণ্ডরকম ভ্রমণপ্রিয়ও ছিলেন। ভ্রমণরত অবস্থায় প্রকৃতির সাথে সাথে লেখক মনের সংযোগ ঘটতো, যা তাকে সাহিত্য রচনায় উদ্বুদ্ধ করে। ১৯৯০ সালে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় চাকরি শুরু করবার মাধ্যমে সাংবাদিকতা জীবনের সূচনা করেন তিনি। এরপর থেকেই নিরন্তর লিখে চলেছেন এই লেখক। কিশোর উপযোগী গল্প, সায়েন্স ফিকশন, নাটক, থ্রিলার, অ্যাডভেঞ্চার, আত্মোন্নয়নমূলক গ্রন্থ- এগুলোই মূলত প্রাধান্য পেয়েছে মোঃ জাকির হোসেন এর বই সমূহতে। তবে উপন্যাস লেখাতেও তিনি সিদ্ধহস্ত এবং বেশ কিছু কিশোর উপন্যাসও রয়েছে মোঃ জাকির হোসেন এর বই সমগ্রতে। ‘ইংলিশ বিচিত্র’, ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’, ‘ড্রাকুলা’, ‘এক্সট্রা টিকেট’, ‘গ্রহান্তরি কিশোর’, ‘ভয়ঙ্কর প্রেতাত্মা’, ‘মুক্ত মনের কথা’ ইত্যাদি তার জনপ্রিয় রচনা।