"রোহিঙ্গা গণহত্যাঃ কাঠগড়ায় সুচি" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা জাতিসংঘের ভাষ্যমতে বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠির নাম হলো ‘রোহিঙ্গা’। মিয়ানমার নামক রাষ্ট্রীয় দানবের গণহত্যা ও নির্মূল অভিযানে রোহিঙ্গারা জন্মভূমি আরকান থেকে বিতাড়িত হলেও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, গোটাবিশ্ব তাদের রক্ষার্থে জোরালো কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর দ্বান্দিক অবস্থানের পেছনে জাতীয় স্বার্থ, ভূ-রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক স্বার্থের যেসব ইস্যু রয়েছে, তরুণ সাংবাদিক ইমরুল কায়েস তা এই বইতে বস্তুনিষ্ঠভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। শুধু ধর্মীয় কারণে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ বর্মি ও রাখাইন মগদের সমর্থন নিজের পক্ষে রাখার আশায় নোবেল বিজয়ী অং সান সু চি নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে কীভাবে আজ রোহিঙ্গা বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, তার স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে এই বই থেকে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও তথ্যের বিষয়ে লেখকের ফুটনোট ও রেফারেন্স ব্যবহার বইটিকে দালিলিক মর্যাদা দেবার পাশাপাশি পাঠকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে। সু চি ও সেনাপ্রধান জেনারেল হ্লাইং অসহায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ওপর কী নিষ্ঠুর নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছে, শত বছর পরেও বইটি তার একটি দলিল ও প্রমাণপত্র হয়ে থাকবে।
রোহিঙ্গা গণহত্যাঃ কাঠগড়ায় সুচি" এর বইয়ের সূচিপত্র আরাকানের অবস্থান ও প্রাথমিক ইতিহাস.....১১ আরাকানে মুসলমানদের আগমন ও রােহিঙ্গাদের উদ্ভব.....১৬ থাম্ভইক্যা বা থাম্ভইক্যা.....২১ জেরবাদী.....২১ কামানচি.....২১ রােহিঙ্গা.....২১ আরাকানের রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং সামাজিক জীবনে মুসলমান ও রােহিঙ্গারা.....২৪ মিয়ানমার ও আরাকানের রাজনীতিতে মুসলমান ও রােহিঙ্গা.....২৯ আরাকানে মগ বা রাখাইন ও বৌদ্ধবাদের আগমন.....৩১ রােহিঙ্গারা বহিরাগত হলে বর্মি-রাখাইন সবাই বহিরাগত.....৩৫ মগদের রােহিঙ্গা বিদ্বেষী হবার কারণ ও রােহিঙ্গা বঞ্চনার সূত্রপাত.....৪১ জান্তা সরকারের নির্যাতন ও গণহত্যা.....৪৪ ২০১২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও রােহিঙ্গাদের বিতাড়ন.....৪৭ সাম্প্রতিক রােহিঙ্গা গণহত্যা (২০১৬-১৭) : ক্লিয়ারেন্স অপারেশন (২০১৬).....৫০ ক্লিয়ারেন্স অপারেশন (২০১৭).....৫২ সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক ও ত্রাণকর্মী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা.....৫৫ গণমাধ্যম, নির্যাতিত ও প্রত্যক্ষদর্শীর মুখে বর্মী বাহিনীর নৃশংসতা (২০১৭).....৫৫ সীমান্তে স্থল মাইন পুঁতে রােহিঙ্গা হত্যা.....৬০ রােহিঙ্গা নির্যাতনে জঙ্গি ও উগ্র বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও জড়িত.....৬১ ‘গণহত্যা, জাতিগত নির্মূল’ গণধর্ষণসহ মানবতাবিরােধী অপরাধ.....৬২ জাতিগত নির্মূল.....৬৩ মিয়ানমার কেন রােহিঙ্গাদের তাড়াতে চায়.....৭১ রােহিঙ্গা সংকট ও সু চি.....৭৬ যে কারণে সু চি রােহিঙ্গা বিদ্বেষী.....৭৬ রােহিঙ্গা নিধন নিয়ে সু চির মিথ্যাচার.....৭৯ বিশ্বাসঘাতক সু চি.....৮২ বাংলাদেশের সাথে আলােচনার নামে সু চির ভাঁওতাবাজি.....৮৫ সু চির সমালােচনায় জীবনীকার, নােবেল বিজয়ী ও অন্যরা.....৮৮ সু চির নােবেল কেন প্রত্যাহার হবে না.....৯০ সু চির লােক দেখানাে তদন্ত কমিশন গঠন.....৯২ রােহিঙ্গা ইস্যু চাপা দিতে সু চি ও জেনারেল স্লাইং এর কূটকৌশল.....৯৪ কফি আনান কমিশন ও সু চির চাতুরিপনা.....৯৫ রােহিঙ্গা গণহত্যা : কাঠগড়ায় সুচি ও জেনারেল হ্রাইং.....৯৮ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবস্থান ও কূটনৈতিক তৎপরতা.....১০৭ জাতিসংঘের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা.....১০৭ জাতিসংঘের তদন্ত দল ও সু চির ভণ্ডামি.....১১৩ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরােপিয় ইউনিয়নের ভূমিকা.....১১৪ যুক্তরাষ্ট্রের ফাকা বুলি.....১১৬ যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নীতি.....১১৯ কানাডা.....১১৯ ইউরােপিয় ইউনিয়নের দুর্বল ভূমিকা.....১২২ পশ্চিমারা কেন কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে না.....১২১ ভারত, চীন ও রাশিয়ার অবস্থান.....১২২ ভারতের কৌশলী অবস্থান: পেছনে জাতীয় স্বার্থ.....১২২ চীন কেন মিয়ানমারের পক্ষে.....১২৬ রাশিয়ার বিতর্কিত ভূমিকা.....১২৭ অস্ত্র ব্যবসায় চাপা রােহিঙ্গা ইস্যু.....১২৮ ভূ-রাজনীতির কবলে রােহিঙ্গা ইস্যু.....১২৯ ওআইসি ও মুসলিম দেশগুলাের ভূমিকা.....১৩২ সােচ্চার মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া-তুরস্ক.....১৩৩ জাতিসংঘে ভােটদানে বিরত ইরান.....১৩৬ অন্যান্য মুসলিম দেশের ভূমিকা.....১৩৭ পাকিস্তান নিশ্ৰুপ কেন.....১৩৭ সমালােচিত পােপ.....১৩৯ বাংলাদেশ ও রােহিঙ্গা সংকট.....১৪৩ বাংলাদেশে রােহিঙ্গা উদ্বাস্তুর ঢল.....১৪৩ রােহিঙ্গা সংকটের প্রভাব.....১৪৭ স্থানীয় জনসাধারনের সমস্যা.....১৪৮ পরিবেশ ও পর্যটন সমস্যা.....১৪৮ ঠেঙ্গার চরে স্থানান্তর.....১৪৯ সংকট কাটাতে বাংলাদেশের পদক্ষেপ.....১৫০ রােহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে সমঝােতা : সম্ভাবনা নাকি অনিশ্চয়তা.....১৫১ সংকটের স্থায়ী সমাধানে আরও কিছু করণীয়.....১৫৫