সম্পাদকীয় পৃথিবীতে মাঝে মধ্যে এমন কিছু লোকের আগমন ঘটে যারা শুধুমাত্র সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাজ করে যান। তাঁদের কাজের পিছনে না থাকে কোন হেতু, না থাকে কোন উদ্দেশ্য। তাঁদের কাজের পিছনে থাকে কর্মের প্রতি গভীর প্রেম, আত্মীক ভালবাসা। যে কাজ করে তাঁদের চিত্ত প্রফুল্ল হয়, হৃদয় আনন্দে ভরে উঠে সে কাজটিই তাঁরা করে থাকেন নিবিষ্ট চিত্তে। জাগতিক কোন বাঁধাই তাঁদেরকে সে কাজ থেকে বিরত রাখতে পারে না। কারণ, প্রেম অবিনম্বর। তার ক্ষমতা অসীম। প্রেম হেতুই সকল সৃষ্টি। এই যে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড তা’ও প্রেমরই ফসল। সেই আনন্দলোকে যাঁর একবার অনুপ্রবেশ ঘটে অমরত্ব তাঁর ভাগ্যেই জোটে। স্মরণীয় ও বরণীয় হবার অভিপ্রায়ে কাজ না করলেও কর্মগুণেই তিনি বেঁচে থাকেন মানবাত্মার সশ্রদ্ধ আসনে। আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন তেমনি একজন ব্যক্তিত্ব। তাঁর জন্ম হয়েছিল আজ থেকে দেড়শত বছর আগে (৩রা নভেম্বর, ১৮৬৬ সালে) পূণ্যভূমি মানিকগঞ্জের বগজুরি গ্রামের পবিত্র মাটিতে। বৃটিশ শাসনামলের সূচনা লগ্ন থেকেই বগজুরী গ্রাম ছিল উন্নত, বর্ধিষ্ণু ও ঐতিহ্যমণ্ডিত। এখানে অনেক শিক্ষিত সম্পদশালী ও অভিজাত পরিবারের বসতি ছিল। এ কারণে গ্রামের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল ছিল বেশ উন্নত। এ পরিবেশের মধ্যেই বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের দিকপাল আচার্য দীনেশচন্দ্র সেনের মাইনর স্কুল জীবন কেটেছে। একই বৎসর অর্থাৎ ১৮৬৮ সনে দীনেশচন্দ্র সেনের মামাতো ভাই উপমহাদেশের চলচিত্রের জনক হীরালাল সেন জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সম্পাদকীয় পৃথিবীতে মাঝে মধ্যে এমন কিছু লোকের আগমন ঘটে যারা শুধুমাত্র সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাজ করে যান। তাঁদের কাজের পিছনে না থাকে কোন হেতু, না থাকে কোন উদ্দেশ্য। তাঁদের কাজের পিছনে থাকে কর্মের প্রতি গভীর প্রেম, আত্মীক ভালবাসা। যে কাজ করে তাঁদের চিত্ত প্রফুল্ল হয়, হৃদয় আনন্দে ভরে উঠে সে কাজটিই তাঁরা করে থাকেন নিবিষ্ট চিত্তে। জাগতিক কোন বাঁধাই তাঁদেরকে সে কাজ থেকে বিরত রাখতে পারে না। কারণ, প্রেম অবিনম্বর। তার ক্ষমতা অসীম। প্রেম হেতুই সকল সৃষ্টি। এই যে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড তা’ও প্রেমরই ফসল। সেই আনন্দলোকে যাঁর একবার অনুপ্রবেশ ঘটে অমরত্ব তাঁর ভাগ্যেই জোটে। স্মরণীয় ও বরণীয় হবার অভিপ্রায়ে কাজ না করলেও কর্মগুণেই তিনি বেঁচে থাকেন মানবাত্মার সশ্রদ্ধ আসনে। আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন তেমনি একজন ব্যক্তিত্ব। তাঁর জন্ম হয়েছিল আজ থেকে দেড়শত বছর আগে (৩রা নভেম্বর, ১৮৬৬ সালে) পূণ্যভূমি মানিকগঞ্জের বগজুরি গ্রামের পবিত্র মাটিতে। বৃটিশ শাসনামলের সূচনা লগ্ন থেকেই বগজুরী গ্রাম ছিল উন্নত, বর্ধিষ্ণু ও ঐতিহ্যমণ্ডিত। এখানে অনেক শিক্ষিত সম্পদশালী ও অভিজাত পরিবারের বসতি ছিল। এ কারণে গ্রামের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল ছিল বেশ উন্নত। এ পরিবেশের মধ্যেই বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের দিকপাল আচার্য দীনেশচন্দ্র সেনের মাইনর স্কুল জীবন কেটেছে। একই বৎসর অর্থাৎ ১৮৬৮ সনে দীনেশচন্দ্র সেনের মামাতো ভাই উপমহাদেশের চলচিত্রের জনক হীরালাল সেন জন্মগ্রহণ করেছিলেন।