"হিরোশিমা নাগাসাকির কথা" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: একাত্তরে আমাদের মুক্তিযােদ্ধারা যেমন দেশের ভেতরে সাহসের সঙ্গে শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, তেমনি এ যুদ্ধের আরেকটি ফ্রন্ট ছিল বিদেশে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলােতে। যেখানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এক কূটনৈতিক লড়াই লড়তে হয়েছিল আমাদের। সে লড়াইয়ের একজন অগ্রসেনানী ছিলেন বর্তমান গ্রন্থের লেখক আবুল মাল আবদুল মুহিত। যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত অবস্থায় পক্ষত্যাগ করে তিনি ও তাঁর বাঙালি সহকর্মীরা এই লড়াইয়ে শরিক হন। লড়াই হিসেবে সেটাও কম কঠিন বা ঝুঁকিহীন ছিল না। এর জন্য দরকার হয়েছিল রাজনৈতিক সচেতনতা, বুদ্ধিমত্তা, দৃঢ় মনোবল ও অসম সাহসিকতার। পাকিস্তান ও তাদের পৃষ্ঠপোেষক দেশ এবং গােষ্ঠীগুলাের অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের মােকাবিলা করে সেদিন তাদের বাংলাদেশে পাকিস্তানি জান্তার গণহত্যা ও বর্বরতার চিত্র তুলে ধরতে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায়ে কাজ করতে হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসে তাঁদের দিনযাপন ও। কর্মকাণ্ডের সে অভিজ্ঞতাই অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সঙ্গে, অন্তরঙ্গ ভঙ্গিতে ও প্রচুর তথ্যসহযােগে স্মৃতি অম্লান: ১৯৭১-এ তুলে ধরা হয়েছে। বইয়ের এ বর্ধিত ও পরিমার্জিত সংস্করণে যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠন সম্পর্কেও লেখকের কিছু চিন্তা ও অভিজ্ঞতার কথা বর্ণিত হয়েছে।
জন্ম ডিসেম্বর ১৯৫২, ঢাকায় । মস্কো রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করার পর লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান। স্টাডিজে জাপানের রাজনীতি ও ইতিহাস। নিয়ে লেখাপড়া করেছেন। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে জাপানে। বে বসবাসের আগে কাজ করেছেন। ঢাকার জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্রে ও লন্ডনে বিবিসি বেতারে। জাপানে বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষকতার পাশাপাশি করছেন। সাংবাদিকতা। প্রকাশিত অনুবাদগ্রন্থ : পূর্ব ইউরােপের কাব্যসংকলন প্রতারিত পৃথিবীর দিকে মেলে ধরা গােলাপ, সপ্তদশ শতকের জাপানি কবি মাৎসুও বাশাের ভ্রমণকাহিনী ওকুর সরু পথ এবং ফরাসি কবি গিয়ােম আপােলিনেরের কাব্যসংকলন অশ্রুভেজা চোখে করাঘাত। শেষের দুটি অনুবাদগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। হায়দার আলী খানের সঙ্গে যৌথভাবে । মতিউর রহমানের সঙ্গে যৌথভাবে প্রকাশিত হয়েছে চে গুয়েভারাকে নিয়ে বিভিন্ন দেশের কবিদের রচিত কবিতার অনুবাদ ও অন্যান্য লেখা নিয়ে বই চে: বন্দুকের পাশে কবিতা।