"দ্য ক্রসিং" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: সিরিয়ার ২০১১ সাল থেকে শরণার্থীদের ঢল নামার কারণ ও করুন কাহীনি লেখক খুব ভলো ভাবেই তুলে ধরেছেন। সাংবাদিক ইয়াজবেক সিরিয়ার বিভিন্ন যায়গায় ঘুরে ঘুরে তুলে এনেছেন বাস্তবতারই পূর্ন রুপ। লেখন তাদের কথা শুনেছেন যারা যুদ্ধের ভিতরই বেচে আছেন, এবং সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। শুরুর দিকে এই সংগ্রাম কারিরাই ছিল গ্রণতন্ত্র প্রত্যাশি। কিন্তু অর্থশক্তি এবং উগ্রপন্থি দলের কাছেই তারা আজপরাজিত। তাদের নিজ দেশের সরকারই অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। এই অত্যাচারের উদ্দেশ্য এবং অত্যাচারের বিষদ বর্ণনা রয়েছে এই বইটাতে। স্বার্থ অন্বেষি দেশ গুলো কি ভাবে এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে তারও কিছু রুপ রেখা মিলেছে, এই বইটাতে। গত সাত বছরে সিরিয়াতে প্রায় ৪ লাখের অধিক মানুষ মারা গেছন এবং দিন দিন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই প্রথম বাংলাভাষায় প্রকাশিত হলো বিধ্বস্ত সিরিয়ার মৃত্যু-উপত্যকার সরেজমিন ধারাবর্ণনা! ৭ বছরে খুন হয়েছে চার লাখ মানুষ! কাউকে গুলি করে, কাউকে বোমা মেরে, কাউকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে পৃথিবীর চোখের সামনে। রাসায়নিক বোমায় খুন হওয়া শত শত শিশুর নীল হওয়া মৃত মুখ আমরা দেখেছি খবরের কাগজ কিংবা টিভি-ইন্টারনেটে। মৃত্যু থেকে বাঁচতে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে আয়লানের মতো আরও শত শিশু। পৃথিবী তবু নীরব। বলছি পৃথিবীর প্রাচীন পুণ্যভূমি সিরিয়ার কথা। যেখানে প্রতিদিন বাশার আল-আসাদের খুনী বাহিনী ঠা-া মাথায় খুন করে নিরীহ সিরিয়ানকে। যেখানে আমেরিকা আর রাশিয়া নিজেদের জঙ্গিবিমান থেকে টার্গেট প্র্যাকটিস করার জন্য বোমা ফেলে মানুষ মারে। মুসলিমদের জীবন সেখানে এতই সস্তা! সিরিয়ার বিধ্বস্ত মৃত্যু-উপত্যকার শহরে শহরে ঘুরে এক নারীসাংবাদিক তুলে এনেছেন সেখানকার অনিঃশেষ মৃত্যুর ধারাবর্ণনা। সামার ইয়াজবেক নামের সেই সাংবাদিকের মৃত্যু-যাত্রা গ্রন্থের নাম দ্য ক্রসিং। দ্য ক্রসিং বর্তমান সিরিয়ার সেই জলজ্যান্ত ছবি আমাদের সামনে তুলে ধরেছে, যে সিরিয়াকে আমরা এতদিন স্থিরচিত্র কিংবা কিছু ভিডিওক্লিপ আকারে দেখে এসেছি। বোমায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া শহরের পর শহর, যুদ্ধবিমান থেকে নেমে আসা অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুদানব, উদ্বাস্তু মানুষের গ্লানিময় জীবন-সবকিছু লেখক তুলে এনেছেন পরম মমতায়। একই সঙ্গে সেখানে যুদ্ধরত এবং বিবদমান প্রত্যেকটি সশস্ত্র দল সম্পর্কে তাঁর প্রত্যক্ষ বর্ণনা পাঠককে নতুন করে ভাবিয়ে তুলবে।