"তাজা ইমানের ৫০০ গল্প" বইয়ের পিছনের কভারের লেখা কথা: ইমাম আবু ইউসুফ রহ.-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘পৃথিবীতে যখন। আল্লাহওয়ালা বুযুর্গ কেউ থাকবে না, তখন আমাদের কী করা উচিত? যেন আমরা অসৎকর্ম থেকে বিরত থাকতে পারি। উত্তরে বলেছিলেন, প্রতিদিন আল্লাহ তাআলার নৈকট্যপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জীবনী, তাদের কর্ম এবং তাঁদের জীবনে ঘটমান ইমানদীপ্ত ঘটনা আলােচনা করবে। মানুষকে শােনাবে তাদের ইমানদীপ্ত ঘটনাসমূহ।' (কারণ, তাদের ইমানদীপ্ত ঘটনাসমূহ মানুষের ইমানকে সুসংহত করবে।) । আদিকাল থেকেই গল্প-উপন্যাসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ। এ আকর্ষণ সৃষ্টিগত। আজকাল নাটক-সিনেমার প্রতি মানুষের এত ঝোক কেন? অথচ সবাই জানে এসব মিথ্যে অভিনয়। কৃত্রিম বানানাে। একমাত্র কারণ, এগুলাে গল্প। গল্প মানবহৃদয়ে ভিন্নরকম প্রভাব বিস্তার করে। গল্পের মতােই নিজেকে গড়তে চায় মানুষ। তাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা পবিত্র কুরআনে বিভিন্ন সময়ের অসংখ্য ঘটনা-উপাখ্যান তুলে ধরেছেন। বলেছেন, হে জ্ঞানী সম্প্রদায়! তােমরা এ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করাে। ‘তাজা ইমানের ৫০০ গল্প’ গ্রন্থটি একটি অসাধারণ বিষয়ভিত্তিক গল্প সঙ্কলন। বর্তমান পৃথিবীর বিখ্যাত দায়ি পির যুলফিকার আহমদ নকশবন্দি হাফিযাহুল্লাহ-এর হৃদয়ছোঁয়া বয়ানে উঠে এসেছে ইমানদীপ্ত এসব ঘটনাসমূহ। হযরতের বয়ান অনন্য বাংলায় তার বয়ান প্রচুর পরিমাণে অনুবাদ হচ্ছে। যেমন হয়েছে পৃথিবীর অন্যান্য ভাষায়। অনুবাদক মাওলানা আবদুল্লাহ খান এ অনবদ্য সঙ্কলনটি বাংলায় অনুবাদ করে বাংলাভাষী মুসলিম ভাইবােনদের হাতে তুলে দিয়েছেন। বইটির গদ্যশৈলী চমৎকার, বানানও আধুনিক উপস্থাপন-শক্তি চিত্তাকর্ষক অনুবাদকের এ বইটিও তাঁর অন্য বইগুলাের মতাে পাঠকপ্রিয়তা পাবে বলে আশা করি। পরিশুদ্ধতার গল্পের মতােই আমাদের জীবন হােক স্বচ্ছ, নির্মল ও পবিত্র।
জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি (জন্ম: ১ এপ্রিল ১৯৫৩) একজন পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত এবং নকশবন্দি তরিকার সুফি। তিনি পাঞ্জাব প্রদেশের ‘ঝং’ জেলায় অবস্থিত মাহদুল ফাকির আল ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১১ সালে ভারত ভ্রমণ করেন ভারতের হায়দরাবাদের ঈদগাহ বিলালী মনসাব ট্যাঙ্ক ও চঞ্চলগুদা জুনিয়র কলেজে কয়েকটি সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছিলেন। তারপরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। দারুল উলুম দেওবন্দের মসজিদে রশিদ এবং দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দের অনুষ্ঠানেও বক্তব্য রাখেন।