"শায়খ আব্দুল কাদির জিলানি (রহ.) প্রণীত ফুতুহুল গায়ব-এর ব্যাখ্যা": শায়খ আব্দুল কাদির জিলানি (রহ.) বলেন, তুমি যদি তাকওয়ার অবস্থায় থাকো, তাহলে তােমার উপর যাই আপতিত হােক না কেন, শরিয়তের পরিপূর্ণ অনুসরণ করবে। এটা প্রথম পদক্ষেপ। অনুরূপ বিলায়েতের অবস্থায় এবং প্রবৃত্তিপরায়ণতা নিশ্চিহ্ন হওয়ার পরও যথাযথভাবে শরিয়তের আদেশ পালন কোরাে, এর সীমারেখা লঙ্ঘন করাে না। এটা হলাে দ্বিতীয় পদক্ষেপ। আল্লাহর কর্মে সন্তুষ্টি ও সহমত পােষণ করাে এবং আবদাল, গাউস, কুতুব ও সিদ্দিকের আধ্যাত্মিক অবস্থায় ফানা হয়ে যাও। এগুলাে হলাে সর্বশেষ আধ্যাত্মিক অবস্থা। ভাগ্যের পথে বাধা না দিয়ে পথ ছেড়ে সরে দাঁড়াও, দমন করাে মন। আর প্রবৃত্তিকে, জিহ্বাকে বিরত রাখাে অভিযােগ-অনুযােগ থেকে। এমন করলে ভাগ্য ভালাে হলে আল্লাহ তােমার কল্যাণ, সুখ-সমৃদ্ধি আরও বাড়িয়ে দেবেন। ভাগ্য খারাপ হলে এক্ষেত্রে তার আনুগত্যের মাধ্যমে তােমাকে রক্ষা করবেন, তােমার উপর থেকে যাবতীয় নিন্দা-ভৎসনা দূর করবেন এবং এ সময়টুকু অতিক্রান্ত হওয়া ও মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এটা দূরীভূত হওয়া পর্যন্ত তােমাকে এর মধ্যেই নিমগ্ন রাখবেন। যেমন রাত চলে গেলে ফোটে দিনের আলাে, শীতের ঠান্ডার পর আসে গ্রীষ্মকাল। তােমার জন্য এগুলাে শিক্ষণীয় উপমা, তাই উপদেশ গ্রহণ করাে। শায়খ আব্দুল কাদির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এখানে পরিষ্কারভাবে প্রতিটি আধ্যাত্মিক অবস্থানে শরিয়তের আদেশ ও নিষেধ পালন করার বাধ্যবাধকতার কথা বলেছেন।
Title
শায়খ আব্দুল কাদির জিলানি (রহ.) প্রণীত ফুতুহুল গায়ব-এর ব্যাখ্যা
ইবন তাইমিয়া ছিলেন মধ্যযুগের একজন বিশিষ্ট হাম্বলী ফকিহ, মুহাদ্দিস, ধর্মতাত্ত্বিক ও যুক্তিবিদ। তাঁর পুরো নাম তকিউদ্দিন আবুল আব্বাস আহমদ ইবন আব্দুল হালিম ইবন মাজদুদ্দিন আব্দুস সালাম ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আবুল কাসিম আল খিদর ইবন মুহাম্মদ ইবন আল খিদর ইবন আলি ইবন আব্দুল্লাহ ইবন তাইমিয়া আন নুমায়রী আল হাররানি আদ দিমাশকি।তিনি দামেস্কের নিকটবর্তী হাররান শহরে সোমবার ১০ রবিউল আউয়াল ৬৬১ হি:/ ২৩ জানুয়ারি, ১২৬৩ খ্রি. ধর্মীয় জ্ঞানচর্চার ঐতিহ্যবাহী এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর দাদা মাজদুদ্দীন আব্দুস সালাম ও বাবা শিহাবুদ্দীন আব্দুল হালিম উভয়েই হাম্বলী মাজহাবের বিশিষ্ট ফকীহ ছিলেন। তাঁর পূর্বপুরুষ মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ একজন বিশিষ্ট বুযুর্গ ও যাহিদ ছিলেন। ইবন খাল্লিকানের মতে তিনি ছিলেন বিশিষ্ট আবদাল ও যাহিদদের অন্যতম। ইমাম যাহাবির মতে, তিনি পরিণত বয়সে আসার আগেই ফাতওয়া দান, ধর্মীয় বিতর্ক ইত্যাদিতে অসাধারণ পারদর্শিতা অর্জন করেছিলেন। ইবন কাসিরের মতে তিনি সতেরো বছর বয়সে গ্রন্থ রচনা শুরু করেছিলেন।