"তালীমুল কুরআন" বইটির ভুমিকা থেকে নেয়াঃ বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম (আল্লাহুম্মা সল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদ ওয়াআলা আলিহী ওয়াসাল্লিম) আল-কুরআন বিশ্বমানবতার একমাত্র মুক্তি সনদ। বিশ্বনবী আদর্শ নেতা মুহাম্মাদ (সা) এর মাধ্যমে আল্লাহ তা'য়ালা কর্তৃক প্রেরিত এই পবিত্র মহাগ্রন্থ আমাদের জন্য সর্বোত্তম নেয়ামত। এই কুরআন অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা যেমন ফরজ তেমনি এই কুরআনকে শুদ্ধ করিয়া পড়া প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর জন্য অবশ্য কর্তব্য। হযরত মুহাম্মদ (সা) বলিয়াছেন, “তােমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই সর্বোত্তম, যে কুরআন (শুদ্ধভাবে) শিক্ষা করে এবং অন্যকে (শুদ্ধভাবে) শিক্ষা দেয়। কিন্তু সহজ ও আধুনিক পদ্ধতিতে সহীহ-শুদ্ধভাবে কুরআন পড়িবার এবং পড়াইবার তেমন কোনাে কলা-কৌশল সম্বলিত ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা নাই বলিলেই চলে। তাই সহীহ-শুদ্ধভাবে কুরআন পড়িবার এবং পড়াইবার জন্য তাজবীদের বিভিন্ন কিতাব-পত্র ও দক্ষ কৃারীগণ হইতে সহযােগিতা নিয়া 'তালীমুল কুরআন’ নামক কিতাবখানা লেখা হইয়াছে। এই কিতাবখানাতে শিশুদের জন্য হাতে কলমে তথা চক-শ্লেট-বাের্ডে শিক্ষার পদ্ধতি সুন্দরভাবে লিখিত হইয়াছে। শিশু শিক্ষার জন্য ৩ বছরের একটি কোর্সও সংযােজন করা হইয়াছে। তাহা ছাড়াও ইহাতে আরও সংযুক্ত হইয়াছে : যাহারা কুরআন শরীফ সহীহ করিয়া পড়িতে পারেন না, তাহাদের কুরআন তিলাওয়াত শিখিবার জন্য সহজ পদ্ধতি, নিরক্ষর বয়স্ক লােকদের সহীহভাবে নামায শিক্ষা পদ্ধতি, সহজ-সহীহভাবে কায়দা ও আমপারা পড়া এবং পড়াইবার পদ্ধতি, দৈনন্দিন ব্যবহৃত বহু দুয়া-কালাম, কুরআনে কারীম হইতে বাছাইকৃত প্রয়ােজনীয় কিছু আয়াত এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু হাদীস। নামাযের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসাইল, তাশাহুদ, দুয়ায়ে কুনুত, দুয়ায়ে মাসুরা ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে। মূলত: মুয়াল্লিম (শিক্ষক) প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে এই কিতাবখানা লিখিত হইয়াছে।