"সাত সূর্যের আলো" বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া বাঙালির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা। ১৯৪৭-এর ভারত বিভাগের পর থেকেই ভাষা নিয়ে কথা উঠে। আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ জিয়াউদ্দিন। আহম্মদ উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা করার প্রস্তাব রাখে । তাৎক্ষণিকভাবে ডঃ মােহাম্মদ শহিদুল্লাহ এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। সােচ্চার হয়ে উঠে বাঙ্গালীরা। নানা চড়াই উত্রাই পেরিয়ে ১৯৫২ সালে একুশে ফেব্রুয়ারি বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাঙ্গালী অর্জন করে মাতৃভাষা ও মহান একুশ। অতঃপর এই মহান একুশ ১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সাড়া বিশ্বে পালিত হচ্ছে। এই একুশ বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম সােপান। একুশের হাত ধরে আসে ৫৪-এর নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৭০-এর নির্বাচনে সংখ্যা গরিষ্ঠতা, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয়। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সমগ্র দেশকে এগারটি সেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্ব দেয়া হয় এক একজন সেক্টর কমান্ডারের উপর। প্রতিটি সেক্টরের অধীনে আবার লক্ষ-কোটি মুক্তিযােদ্ধা মুক্তিযুদ্ধ করে। তাঁদের মহান ত্যাগ, যুদ্ধ কৌশল, সঠিক দিক নিদের্শনা ও নিরলস শ্রমে বিজয় তরান্বিত হয় । রক্ত সাগর সাঁতরে যারা আমাদের এই বিজয় এনে দিয়েছেন, তাঁরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান। এদের গৌরব গাঁথা, শৌর্য-বীর্য নতুন প্রজন্মের জানা অত্যাবশ্যক । এই মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই সাত সূর্যের আলাে লেখা হয়েছে।