"বঙ্গীয় মুসলিম লীগ, পাকিস্তান আন্দোলন বাঙালির রাষ্ট্রভাবনা ও বঙ্গবন্ধু" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ বাংলায় মুসলিম লীগ/পাকিস্তান আন্দোলন কেন এত শক্তিশালী ছিল? দ্বি-জাতিতত্ত্বের স্বরূপ কী? ভারত বিভাগের পূর্বে বঙ্গবন্ধুর মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া কি তার পরবর্তী আদর্শের পরিপন্থী ছিল? পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে কী কারণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্বদানে এগিয়ে এলেন? পাকিস্তান আন্দোলন-পর্বে বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রভাবনা কী ছিল? দ্বি-জাতিতত্ত্বের নামে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের শুরুতেই বাঙালির ভাষা-আন্দোলন কেন? কী কারণে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ? ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধানে বর্তমান গ্রন্থটি পরিকল্পিত। ভারত বিভাগ-পূর্ব রাজনীতি ও এর গতি-প্রকৃতি বা ধারা সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা ব্যতীত '৪৭-পরবর্তী পাকিস্তান ও '৭১-এ বাংলাদেশ সৃষ্টি, এমনকি আজকের বাংলাদেশের রাজনীতি কিছুতেই সহজবােধ্য নয়। এখানেই বর্তমান গ্রন্থটির গুরুত্ব। গ্রন্থটির আলােচনা দুই ভাগে বিভক্ত, যথা ভারত বিভাগ-পূর্ব বাংলার রাজনীতি ও বঙ্গবন্ধু এবং পাকিস্তান-পর্বের রাজনীতি : বাঙালির জাতীয় মুক্তির স্বপ্নপূরণ। এ ছাড়া রয়েছে ৫টি পরিশিষ্ট। গ্রন্থটি আমাদের জাতীয় রাজনীতির ইতিহাসের অনেক বিভ্রান্তির অবসান ঘটাতে সহায়ক হবে আশা করা যায়।
Title
বঙ্গীয় মুসলিম লীগ, পাকিস্তান আন্দোলন বাঙালির রাষ্ট্রভাবনা ও বঙ্গবন্ধু
অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ (জন্ম: ২৭ অক্টোবর ১৯৫৪) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুইবারের উপাচার্য (২০১৩-২০২১)। এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে সিলেকশান গ্রেডের একজন অধ্যাপক ও উপ-উপাচার্য (২০০৯-২০০১২) নিযুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ‘বাংলাদেশ স্কাউটস, রোভার অঞ্চল’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। জন্ম পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার আইরন গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার বি.এ. (অনার্স) এবং মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। পরে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডব্লিউ এইচ মরিস-জোনস-এর তত্ত্বাবধানে ১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি সুইডেনের উপসালা (শান্তি ও সংঘাতের উপর) ও জাপানের রিউকোকু (কিওটো) বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করেন। ১৯৪৭-পূর্ব ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাধীন অবিভক্ত বাংলা, পাকিস্তানি শাসনকাল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, সমসাময়িক ভারত ও বাংলাদেশের রাজনীতি, এর গতিধারা ও রাজনৈতিক উন্নয়ন’ তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র। বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র গঠন সব সময় তাঁর গবেষণার কেন্দ্রীয় বিষয়। তাঁর গবেষণা-গ্রন্থের মধ্যে The Foreshadowing of Bangladesh 1906-1947 (fourth edition, UPL 2015), Inside Bengal Politics 1936-1947 : Unpublished Correspondence of Partition Leaders (second edition, UPL 2012), বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুনর্পাঠ (ইউপিএল ২০১৩), বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন বাংলাদেশের . অভ্যুদয় (আগামী প্রকাশনী ২০০৩), বাংলাদেশ : রাজনীতি সরকার ও শাসনতান্ত্রিক উন্নয়ন ১৭৫৭-২০০০ (নিউ এজ পাবলিকেশন্স ২০০১), “আমাদের বাঁচার দাবী’ : ৬ দফার ৫০ বছর (বাংলা একাডেমি ২০১৬), মূলধারার রাজনীতি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কাউন্সিল ১৯৪৯-২০১৬ (বাংলা একাডেমি ২০১৬), ৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব ঐতিহ্য-সম্পদ : বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ, (বাংলা একাডেমি ও অন্যপ্রকাশ ২০১৮) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রফেসর হারুন-অর-রশিদ বর্তমানে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এনসাইক্লোপিডিয়া’ (২০ খণ্ড) রচনা প্রকল্পের প্রধান হিসেবে গবেষণাকর্মে নিয়োজিত। বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য ২০২১ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন।