বাংলাদেশের ছোট্ট সুন্দর প্রকৃতির রূপে ভরা একটি গ্রাম। সৃষ্টিকর্তা যেন সবুজ শস্য শ্যামলে ভরে দিয়েছেন গ্রামটিতে। দেখে মনে হয় রূপসী বাংলার আকর্ষণীয় একটি গ্রাম। গ্রামটির পাশ দিয়ে আকাঁবাঁকা পথ বেয়ে চলছে একটি নদী। বর্ষাকালে নদীটি পানিতে ভরে য়ায়। সাথে সাথে গ্রামের নিচু জায়গাগুলো পানিতে ভরে যায়। তখন দূর থেকে গ্রামটিকে দেখতে মনে হয় ভাসমান একটি দ্বীপ। গ্রামটির দিকে একবার চক্ষু তুলে তাকালে চক্ষুটা সুখের হাওয়ায় জুড়িয়ে যায়। গ্রামের সকল মানুষই একে অপরের সাথে মিলে মিশে থাকে। তারা মারামারি কাটাকাটিতে কখনোই লিপ্ত হয় না। তারা একে অপরের সুখে-দুঃখে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। গ্রামের সকল লোকই সহজ-সরল মনের মানুষ। নিজের কর্মের ফল নিজেই ভোগ করে। অন্যের প্রতি বিন্দুমাত্র লোভ করে না। তাদের মাঝে নেই কোনো হিংসা। নেই কোনো বিরোধীতা। সবাই মিলেমিশে শান্তিতে কাটায় তাদের নিত্যদিন। সবাই শান্তিতে বসবাস করে বলে লোকেরা গ্রামটির নাম দিয়েছে শান্তিমনি। গ্রামটিতে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত আছে একটি প্রাইমারী স্কুল। তারই পাশেই আছে একটি মসজিদ। গ্রামের লোকেরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে না পড়লেও শুক্রবারে কেউ মসজিদে আসতে ভুল করে না। সে মজিদে আবার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য মক্তবের ব্যবস্থা আছে। ভোরের হাওয়ায় গ্রামের ছেলেমেয়েরা চলে যায় মক্তবে দ্বীন শিক্ষার জন্য। মক্তব শেষে নাস্তার পর আবার দল বেধে চলে যায় স্কুলে।