"দুই তিন চার এক" বইয়ের কথা: বইটি ‘ইসলামে বহুবিবাহ’ বিষয়ে সম্পূর্ণ নিবেদিত একমাত্র বাংলা বই। এর মূল লেখক যখন বইটি ইংরেজিতে রচনা করেছিলেন তখন থেকে দীর্ঘ দিন যাবৎ ইংরেজিতেও এ বিষয়ে এটিই ছিল একমাত্র বই। লেখক তার রচনার স্বভাবসুলভ ঢং বজায় রেখে বিষয়টির প্রতি যথাযথ সুবিচার করেছেন। একান্তই একাডেমিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টির নির্মোহ পর্যালোচনা করেছেন। কেবল বহুবিবাহের প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা নিয়েই নয়,বরং বহুবিবাহভিত্তিক দাম্পত্য জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে ইসলামের খুঁটিনাটি নিয়ম-কানুন সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। আশা করছি পাশ্চাত্যের সকল প্রপাগাণ্ডাকে পর্যুদস্ত করে মুসলিম সমাজে ইসলামী পরিবার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে, নারীদের সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এ পুস্তক বাংলা ভাষাভাষী জাতির জীবনে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
"দুই তিন চার এক" বইয়ের সূচিপত্র: প্রকাশকের কথা.....9 তৃতীয় সংস্করণের ভূমিকা .....১৩ প্রথম সংস্করণের ভূমিকা..... ১৫ প্রথম অধ্যায় পূর্ব কথা .....১৭ একক বিবাহ পদ্ধতি .....১৮ খ্রিস্টধর্মে বহুবিবাহ .....১৯ জীবনযাত্রার ধরন—আত্মবিসর্জন .....২০ একক বিবাহ পুরুষদের বাড়তি সুযােগ করে দেয় .....২৩ দ্বিতীয় অধ্যায় ইসলামে বিবাহ .....২৫ ইসলামে বিবাহ .....২৬ অস্থায়ী সম্পর্কের চেয়ে বিয়ে উত্তম .....২৭ স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক অধিকার .....২৮ পুরুষের দায়-দায়িত্ব অধিক .....৩৪ স্ত্রীর কর্তব্য .....৩৬ স্বামীর প্রতি আনুগত্য .....৩৯ তৃতীয় অধ্যায় তাআদদুদ: বহুবিবাহ .....৪৫ তা‘আদদুদ: বহুবিবাহ..... ৪৬ পুরুষদের জন্য বহুবিবাহের বৈধতা .....৪৭ নারীদের সংখ্যাধিক্য .....৫০ পুরুষের জৈবিক তাড়না এবং পর্দার বিধান .....৫১ বহুবিবাহের শর্তসমূহ: ৫৭ চতুর্থ অধ্যায় বহুবিবাহের দাম্পত্য বিধান ৬১ স্ত্রীদের মধ্যে বণ্টন .....৬২ সমতা রক্ষার মূলনীতি .....৬৪ বণ্টনের শুরু .....৬৬ সময়ের বণ্টন .....৬৭ স্ত্রীদের সময় পাওয়ার অধিকার .....৭০ নববধূর সময় পাওয়ার অধিকার .....৭২ বৈবাহিক অধিকার .....৭৪ সময় পূরণ করে দেওয়া .....৭৬ অধিকার ছেড়ে দেওয়া .....৭৯ বাসস্থানের অধিকার .....৮১ ভ্রমণের অধিকার .....৮২ পােশাক ও অন্যান্য ব্যয়ভার বহন .....৮৪ স্ত্রীদেরকে উপহার দেওয়ার নিয়ম .....৮৫ উপসংহার .....৮৭ গ্রন্থতালিকা .....৯৬ শব্দকোষ .....৯৮ হাদীসের তালিকা .....১০০
ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস-এর জন্ম জ্যামাইকার কিংস্টনে। বেড়ে উঠেছেন কানাডার টরন্টোতে। সেখানেই ১৯৭২ সালে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। মাদীনাহ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে ইসলামিক অনুষদ থেকে বিএ ডিগ্রি (১৯৭৯) অর্জন করেন। এরপর বিয়াদের 'বাদশাহ সাউদ ইউনিভার্সিটি' থেকে আকীদাহর ওপর অর্জন করেন এমএ ডিগ্রি (১৯৮৫)। ১৯৯৪ সালে 'ওয়েলস ইউনিভার্সিটি' থেকে ইসলামি ধর্মতত্ত্বের ওপর পিএইচডি করেন। তার পিএইচডি'র বিষয় ছিল "The Exorcist Tradition in Islam"। সুদীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে আরবি ভাষা, দাওয়াহ ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ প্রতিষ্ঠা ও এগুলোর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে 'প্রেস্টন ইউনিভার্সিটি-আজমান, ইউএই', 'কাতার গেস্ট সেন্টার, দোহা, কাতার', 'নলেজ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রিয়াদ', 'অমদুরমান ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, সুদান', 'প্রেস্টন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কলেজ, চেন্নাই, ভারত', 'ইসলামিক স্টাডিজ অ্যাকাডেমি, দোহা, কাতার'। ইসলামিক অনলাইন ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার সুবাদে জর্দানিয়ান পাবলিকেশন কর্তৃপক্ষ ড. বিলাল ফিলিপসকে "The 500 most Influential Muslims"-এর তালিকাতে স্থান দেয়। এ ইউনিভার্সিটিতে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের যেকোনো মানুষ বিনামূল্যে ডিপ্লোমা এবং টিউশন ফি মুক্ত ব্যাচেলর অব আর্টস প্রোগ্রামে পড়াশোনা করতে পারে।