এখন সকালের খবর, দুপুরে বাসি; দুপুরের কথা বিকেলে বাতিল । এখন সেই সময় : নাস্তিমান মার্কিন শিল্পী অ্যান্ডি ওয়রহল যার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘এমন সময় আসছে যে প্রত্যেকে পনেরো মিনিটের জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হয়ে উঠবেন।' আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ ও আচার্য সুনীতি কুমারের এ সমস্যা ছিল না। প্রচার মাধ্যমের সাহায্য ছাড়াই আমরা জানতাম তাঁরা বিদ্বজ্জন। সে যুগে লোকে সতীনাথ ভাদুড়ির লেখা ভালো লাগলে পূর্ণিয়ায় গিয়ে জানিয়ে আসত। ‘ঢোঁড়াই চরিত মানস'-এর লেখককে বর্ষায় পয়ঃপ্রণালী পরিচ্ছন্ন রাখার উপায় বাতলাতে টেলিভিশনের নটীর সঙ্গে আলোচনা করতে হত না। সাংবাদিকও জানতেন ইডেন গার্ডেন্সে ঘাস কাটার সমস্যা হলে অর্থনীতিবিদ ও শল্যচিকিৎসকের মতামত জরুরি নয়। কিন্তু আজ মিডিয়া নিজেও জানে না সে কত নিষ্ঠুর! ভোপাল গ্যাস কাণ্ডের রায়কে ছেদচিহ্নের মতো ব্যবহার করে ছাপতে হয় নৈশভোজনে পরিহাসরত পেশাদার অভিনেতার মুখ; একদিকে ছাব্বিশ হাজারের গণহত্যা, আবার ক্ষণিকের বিরতিতে অন্যদিকে সাবান সুন্দরীরা স্নানঘরে দরজা হাট খুলে আমাদের দিকে তাকায় ৷ আজ সংবাদ তার তথ্যগত গুরুত্ব হারিয়ে ফেলার পথে। তার লক্ষ্য অভিনবত্ব।