কে এই শ্যামাচরণ দিয়ে? যোগ এবং যোগী কি আলাদা? সাধারণ অর্থে যিনি যোগ অভ্যাস করেন তিনি যোগী এবং যে কর্মটা করেন সেটা যোগ। ‘যোগ’ শব্দের সাধারণ অর্থ দু'য়ের মিলন, কিন্তু আধ্যাত্মিক অর্থে চিন্তাশূণ্য অবস্থাকেই যোগ বলে। যোগ যদি একপ্রকার কর্ম হয় তাহলে কোন মানুষই কর্মবিহীন নয়। প্রাণের চঞ্চলতা থেকেই কর্মের উৎপত্তি হয়। তাই কর্ম এবং দেহ কি আলাদা থাকতে পারে? মিলন তো হয়েই আছে। এই মিলনকে যিনি জানেন তিনিই যোগী, তিনি তখন নিশ্চিন্ত। যদি এভাবে শ্যামাচরণকে জানবার চেষ্টা করা হয় তাহলে এসব প্রশ্নের মীমাংসা পাওয়া যাবে। তখন জানতে পারা যাবে শ্যামাচরণ কত আপন। তাঁকে শুধু আপন বললেই কি সব বলা হবে? তিনি কি আমি নই? আবার আমি কি তিনি নন? এই বইটির মাধ্যমে সুধী পাঠক যদি শ্যামাচরণকে এ ভাবে নিতে পারেন তাহলে শ্রম সার্থক হবে। ভক্তিমান মানুষ যে নেবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু তার্কিক, সমালোচকা, গোঁড়া, নাস্তিক ও সম্প্রদায়গত মানুষরাও যদি সহজে গ্রহণ করেন তাহলে নিশ্চয় শ্রম সার্থক হবে। তাই মান-হুঁশের উদ্দেশ্যে এই বইটি নিবেদন করা হ'ল। বইটির মধ্যে অনেক কথা একাধিকবার উল্লেখ করা হয়েছে। পাঠক ক্ষমা করবেন । কারণ, যোগের কথা বলতে গেলে পুনরুল্লেখ ছাড়া উপায় নেই। এ কারণে গীতার মধ্যেও পুনরুল্লেখ দেখা যায় । অমিত দেওয়ানজী, নিত্যানন্দ মন্ডল, রতন সরকার, অরুন গণ, অলক চট্টোপাধ্যায়, মৌমিতা চট্টোপাধ্যায়, পার্থ সেন, মানসী দাস, জয়তি কাপুর, বিজন সরকার, স্নিগ্ধা গাংগুলী, অনিমা বন্দোপাধ্যায় এই বইটির জন্যে প্রভূত সাহায্য করেছে। বইটির শেষে পরিশিষ্ট অংশে ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণ এবং ভগবান্ শ্রীশ্যামাচরণ উভয়ের জন্মকুণ্ডলী বিচার করেছে লক্ষ্মীনারায়ণ সিন্হা, সুবোধ গোপাল ধর চক্রবর্তী, মণিকান্ত দে। এদের সাহায্য করেছে মঞ্জুলা দে ও মৌমিতা দে। এদের সবার মঙ্গল কামনা করি।