কি পড়বেন? কেন পড়বেন ? সবচেয়ে বড় রহস্য কি? মানতেই হবে সবচেয়ে বড় আর জটিল রহস্য হল প্রাণের সৃষ্টি আর তার পরেই হল বাঁদর থেকে মানুষে উত্তরণ...মানুষের মত এত জটিল মস্তিষ্ক কি বিবর্তনের আইন মেনে হয়েছে? এই রহস্যের জট ছাড়াবার চেষ্টা করব না এখন। যথা সময়ে...হাজির করবো সেই যুক্তিতক্ক বুদ্ধি। তাই চলে যাই এর পরের রহস্যে...‘বারমুডা ট্র্যাঙ্গেল রহস্য'। পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত ত্রিভূজাকৃতি জলাঞ্চল...কোন পার্থক্য নেই সাগরের অন্য অঞ্চলের সঙ্গে। তবুও ওই অঞ্চলেই উধাও হয়ে গেছে শতখানেকের বেশী জাহাজ, এরোপ্লেন আর ছোট বড় অসংখ্য নৌকো। ত্রিভূজের তিনটে কোনের মধ্যে একমাথায় রয়েছে ফ্লোরিডা, দ্বিতীয় মাথায় বারমুডা আর তৃতীয় মাথায় পুয়ের্টোরিকো...প্রথম প্রথম এমন উধাও হওয়ার ঘটনাকে কাকতালীয় বলে ধরে নিলেও কালক্রমে নিরুদ্দেশ হওয়ার ঘটনা বেড়ে যায়। সকলের টনক নড়ে। অনুসন্ধানে দেখা যায় যাবতীয় নিরুদ্দেশের সিংহভাগের সামান্যতম কোন চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় নি। কোন যুক্তিবুদ্ধি বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারা দিয়েও এমন উধাও রহস্যের সমাধান মেলেনি। বিচিত্র এমন কর্মকাণ্ডের জন্য নানান মতবাদের সূচনা হয়েছে। কেউ কেউ বলেন অঞ্চলটিতেনাকি অধিক মাধ্যাকর্ষণ ও চুম্বকীয় আকর্ষণ বিদ্যমান। তাই ওই স্থানে পৌঁছালেই যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়...কম্পাস ভূল সংকেত দেয়। অনেকে বলেন আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে রয়েছে হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নের আটলান্টিস সভ্যতার যন্ত্রপাতি...আজোও যা কাজ করে যাচ্ছে। তারই প্রভাবে এত অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। আবার কারুর মতে ত্রিভূজাকৃতি অঞ্চলটি কার্যত অন্যগ্রহে বা অন্য ডায়মেনশানে যাবার অদৃশ্য সোপান বিশেষ । ১৯৬৪ সালে ভিনসেন্ট এইচ গ্যাডিস এই রহস্যের দ্বারোদঘাটন করেন আর্গোসী পত্রিকায়। তার পরে কে না লিখেছেন বারমুডার উপরে! ইভান টি স্যান্ডারসন ওই ত্রিভূজকে ভাইল ভোর্টেক্স বলে অবিহিত করেছেন। ১৯৭৩ সালে Encylopaedia of Britanica-ও বারমুডা ট্রাঙ্গেলকে সংকলিত জ্ঞানের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। এত অধিক সংখ্যক দুর্ঘটনা কেন একটি নির্দিষ্ট স্থানেই ঘটে? যতক্ষণ না পর্যন্ত এই প্রশ্নের কোনও সঠিক সমাধান বা উত্তর পাওয়া যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত বারমুডা রহস্য হাতছানি দিয়ে ডাকবে আপনাকে... তাই বই এর পাতা ওল্টান...ঢুকে পড়ুন বইয়ের মধ্যে ।
ভবেশ রায়ের জন্ম ১৯৪৭ সালের ৮ জুলাই ঢাকা জেলার ধামরাই থানার বাইশাকান্দা গ্রামে। শিক্ষাজীবন শুরু গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, তার পর কুত্তরা আব্বাস আলি হাইস্কুলে। ইন্টারমিডিয়েট করটিয়া সাদৎ কলেজে। স্নাতক ঢাকার জগন্নাথ কলেজে এবং স্নাতকোত্তর (বাংলা সাহিত্য) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু। অধুনালুপ্ত দৈনিক সমাজ পত্রিকার ফিচার এডিটর ছিলেন। তারপর সমবায় কর্মকর্তা (জনসংযোগ কর্মকর্তা) হিসেবে ১৯৯৬ সালে চাকরি থেকে স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণ। স্কুল জীবন থেকেই লেখালেখির শুরু। বর্তমানে সাৰ্বক্ষণিক লেখালেখি করেন। প্ৰকাশিত বইয়ের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। কিশোর বিজ্ঞানের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক ।