"এখনই ফিরে এসো" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: আমি গাড়িতে করে মক্কায় যাচ্ছিলাম। হঠাৎ রাস্তায় ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা ঘটল। আমি আমার গাড়ি থামিয়ে দ্রুত দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটির কাছে গেলাম। উঁকি দিয়ে ভিতরে দেখলাম। আমার হার্টবিট দ্রুত বাড়তে থাকল। ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম। ভিতরের দৃশ্য ভয়াবহ। গাড়ির ড্রাইভার স্টিয়ারিংয়ের সাথে লেগে আছে। শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে আকাশের দিকে ইশারা করে আছে। তার চেহারা ছিল আলোকদীপ্ত। যেন এক টুকরো পূর্ণিমার চাঁদ। ছোট্ট মেয়েটি তার পিঠের সঙ্গে লেপ্টে আছে। দু’ হাতে বাবার গলা জড়িয়ে রেখেছে। বাবা-মেয়ে উভয়েই এই পৃথিবীকে ‘আল বিদা’ জানিয়ে ঊর্ধ্বজগতে চলে গেছে। হঠাৎ কেউ চিৎকার করে উঠল- পিছনের সিটে নারী ও শিশু আছে!…’ এভাবেই ঊর্ধ্বজগতে চলে গেল আহমাদ ও তার ছোট্ট মেয়ে। আমরাও সবাই চলে যাব একদিন। চলে যেতেই হবে। উলটে দেখুন এ বইয়ের ভিতরের পাতাগুলো। জানতে পারবেন ঊর্ধ্বজগতের যাত্রীদের বিভিন্ন শিক্ষণীয় ঘটনা ও সংবাদ। হতে পারে আকস্মিক যাত্রার পূর্বেই কিছুটা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন।
"এখনই ফিরে এসো" বইয়ের সূচিপত্র: আমাদের কথা.....৬ এক মিলিয়নিয়রের ঘটনা.....৮ সে জান্নাতের ফল খাচ্ছে!.....১৩ মৃত্যুর বিছানায়.....১৬ আমি চার হাজার বার কুরআন খতম করেছি.....১৬ তবুও সালাত ছাড়েননি!.....১৬ শেষ আশা.....১৭ যেমন কর্ম তেমন ফল.....১৮ জানাযার সালাতের ফযীলত.....১৮ আশ্চর্য স্বপ্ন.....১৯ কবরের নিঃশব্দ আহ্বান.....২৩ আমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী.....২৬ মৃত্যু কারও উপর দয়া করে না.....৩১ লােকজন কি সালাত পড়েছে?.....৩২ উমরের প্রশংসায় ইবনে আব্বাস.....৩৪ মৃত্যুশয্যায় উপদেশ.....৩৫ নবীজীর নাতি.....৩৭ মুআবিয়া রা.-এর ইন্তেকাল.....৩৮ আবদুল্লাহ ইবনে মােবারক রা.-এর ইন্তেকাল.....৩৮ বেলাল রা.-এর ইন্তেকাল.....৩৯ শিক্ষণীয় উপমা.....৩৯ মৃত্যুর উপর ঈমান.....৪০ মৃত্যু কী?.....৪০ মালাকুল মউত কে?.....৪০ মৃত্যুত্থান কোথায়, তা কেউ জানে না.....৪৩ মৃত্যুর স্মরণ.....৪৩ বাস্তবতা.....৪৪ মৃত্যুর প্রস্তুতি.....৪৫ মৃত্যুর পর উপকার দেয়, এমন কিছু আমল.....৪৬ ওসিয়ত লিখন.....৪৭ রুহের সাথে মৃত্যুর সম্পর্ক.....৪৭ হাকীকত.....৪৮ উর্ধ্ব জগতে.....৪৯ সম্পদ আমার কোনাে কাজে আসেনি.....৫৫ খলীফা হারুনুর রশীদ.....৫৫ খলীফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান.....৫৭ স্বীকারােক্তি.....৫৯ আবু মুসা আ......৫৯ উবাদা ইবনে সামেত রা......৬০ উপদেশ.....৬১ গুনাহের রাজ্যে.....৬২ এক মদ্যপের ঘটনা.....৬২ আরেক মদ্যপের ঘটনা.....৬২ মদ্যশালা পর্যন্ত যেতে পারব!.....৬৩ কালিমা নসীব হল না তার!.....৬৪ মৃত্যুর স্থান-কাল একটুও এদিক-সেদিক হয় না.....৬৫ কেমন ছিলেন তাঁরা.....৬৭ আবু বাকরাহ রা. .....৬৭ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ আ. .....৬৭ আমের ইবনে যােবায়ের.....৬৮ আবদুর রহমান ইবনে আসওয়াদ.....৬৮ ইয়াযীদ রাকাশী.....৬৯ আমর ইবনুল আস রা. .....৬৯ উমর ইবনে আবদুল আযীয আ. .....৭০ ইবনে আসাকির আ. .....৭১ উপদেশ.....৭২ আমি তােমার প্রেমে গান গাই.....৭৩
জন্ম ১৯৭০ সালের ১৬ জুলাই। ইসলামের বিখ্যাত সেনাপতি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা) এর বংশধর তিনি। মাত্র ৫০ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছেন আরব জাহানের বিশিষ্ট বক্তা এবং লেখক। তিনি তার বক্তৃতা এবং লেখনীর মাধ্যমে আরবসহ পশ্চিমা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। হ্যাঁ! আমরা আর কারো কথা বলছি না, বলছি ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফীর কথা। দাম্মামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন তিনি এবং রিয়াদের বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। বিখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল, শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে কুউদ, শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে নাসের আল-বাররাক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন মুহাম্মদ আরিফী। প্রায় পনেরো-ষোলো বছর ইবনে বায রহ. এর সাথে থাকার সৌভাগ্য হয় তার। তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর দাওয়াত দেওয়া। তাকে অনেক সময় ""দাওয়াত ইল্লাল্লাহ"" বলেও সম্বোধন করা হয়। তার বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা করার মূল কারণও এটি। বাজারে তার বক্তৃতায় অডিও-ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যায় যার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে পুরো মুসলিম বিশ্ব। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী বই রচনা করে চলেছেন মানবজাতির কল্যাণার্থে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমূহ প্রত্যেকটি বিক্রির সময় একটি আরেকটিকে ছাড়িয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমগ্র হলো ভার্সিটির ক্যান্টিনে, সুখময় জীবন উপভোগ করুন, তুমি সেই নারী, নবী-চরিত্রের আলোকে: জীবন উপভোগ করুন, রাগ করবেন না: হাত বাড়ালেই জান্নাত, কিতাবুল ফিতান, রোজা ও হজ্জের পয়গাম, নারী যখন রানী, তোমাকে বলছি হে বোন, আপনার যা জানতে হবে, রামাদান আল্লাহ’র সাথে সম্পর্ক করুন, যেভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকবেন ইত্যাদি।