"মেঠো পথের বাঁকে (হারানো পথ)" ফ্ল্যাপে লেখা কথা: ব্যতিক্রমী বইয়ের প্রতি মননশীল পাঠকের ঝোঁক সার্বজনীন। বাস্তবচিত্র নির্ভর তথ্যবহুল এ উপন্যাসটি আমাদের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত বিল বিধৌত জনপদের নিজস্ব সংস্কৃতি পরিচায়ক এক সৃজনশীল অবন্তীয় সাহিত্যকর্ম। তবে বইটি সমসাময়িক পাঠকদের জন্য রচিত নয়, বরং ভবিষ্যত প্রজন্মের পাঠকদের উদ্দেশ্যে প্রনীত। সংগত কারণে দৃষ্টির অন্তরালে থাকা এ বইটি বর্তমান কালের পাঠকদের চোখে খুব সহজেই পড়ার কথা নয়। সৃষ্টিশীল এ সাহিত্য ভান্ডারটিতে এরূপ বহু বিষয় নিবন্ধিত হয়েছে যা ইতিপূর্বে সাহিত্যের আর কোথায়ও কোন আকারে প্রকাশিত বা সন্নিবদ্ধ হয় নি। নিখোজ প্রায় গ্রামবাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি সম্ভার নিপুণভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকীর্তিতে স্থায়ীভাবে সংযােজিত হয়েছে। বইটির রচনা যুগে আমাদের ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি ভবিষ্যতে যখন পুনঃরুদ্ধার করা অসম্ভব হয়ে পড়বে তখন এইপ্রানবন্ত উপন্যাসটি ভবিষ্যত প্রজন্মদের জন্য হয়ে উঠবে একটি হারানাে দ্বিগন্ত। একাধারে জ্ঞানচর্চা ও নতুন চিন্তার ক্ষেত্র বিস্তারণে অনুরাগী যে কোন অধ্যেতা ও জ্ঞান অন্বেষক এইবাঙালি গৗরবগাথা সংস্কৃতির বস্তুনিষ্ঠ উপন্যাসটি পাঠ করতে পারেন। আমাদের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বসাহিত্য অঙ্গনে পৌঁছানাের জন্য বইটি কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে সে সম্বন্ধে আপনাদের কোন অভিব্যক্তি, মতামত বা মূল্যবান পরামর্শ অবশ্যই জানাবেন I