"বিপজ্জনক বারো" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় নচিকেতা যেমন গায়ক তেমনি লেখক, একদম অন্যরকম। এর আগেও তার। লেখা পড়েছি, আমার তাে বেশ ভালােই লেগেছে। এই গল্পগ্রন্থটিতেও পাঠক এই অন্যরকম নচিকেতাকে খুঁজে পাবেন। একটু ঘনাদা আছে, রহস্য আছে, জীবনের নানা অনুভূতি আছে। কোনাে একঘেয়েমি নেই। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় একেবারে নতুন ধরন, নতুন আঙ্গিক, যা নচিকেতার পক্ষেই লেখা সম্ভব। একটা শীত শীত জড়সড় পরিবেশ। পিছনে মৃত্যু, সামনে শীতল অন্ধকার। অতীত বর্তমানকে টপকে ভবিষ্যতের রেলগাড়ি। হাতলে আটকে ঝুলছে একফালি মানুষ, একটুকরাে সময়।...পৃথিবী থেকে মৃত্যু বিতাড়িত। তাই জীবন ভয় পেয়ে নিরুদ্দেশ। শাবাশ! নচিকেতা দ্য গ্রেট! অনীশ দেব নচিকেতার গল্প পড়ে মনে প্রশ্ন জাগে, ও আগে গায়ক পরে লেখক, নাকি আগে লেখক পরে গায়ক। ওর গল্পের জাদুতে আমার প্রাণে নেশা ধরে যায়। প্রচেত গুপ্ত নচিকেতা চিরকালই ভয়ংকর একজন লেখক। তার লেখা গান শুনে আঁতকে ওঠেনি এবং তার ভক্ত হয়ে ওঠেনি এমন বাঙালি কমই আছে। কয়েক বছর হল সে গদ্যে হাত দিয়েছে। এই লেখক অতি বিপজ্জনক। একবার পড়া শুরু করলে পালানাের পথ নেই। ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রথম প্রথম অনেকে সন্দিগ্ধ হতেন, গল্পকার কি সত্যিই গানজগতের নচিকেতা? এখন সবাই বুঝে গেছেন, বাংলায় এইরকম বিপজ্জনক গল্প বা ডার্ক ফ্যান্টাসি লিখতে পারে একজনই, সে নচিকেতা।
"নচিকেতা চক্রবর্তী নচিকেতা প্রাথমিক তথ্য জন্মনাম নচিকেতা চক্রবর্তী উপনাম নচি জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ (বয়স ৫৮) কলকাতা, ভারত উদ্ভব কলকাতা, ভারত ধরন জীবনমুখী পেশা গায়ক, নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী, সংগীতকার, সংগীত পরিচালক বাদ্যযন্ত্র কণ্ঠ, গিটার,হারমোনিয়াম কার্যকাল ১৯৯০–বর্তমান লেবেল এইচএমভি, সারেগামা ইন্ডিয়া লিমিটেড ওয়েবসাইট নচিকেতা চক্রবর্তী হলেন একজন ভারতীয় বাঙালি কণ্ঠশিল্পী ও সংগীতকার। তিনি আধুনিক বাংলা গানের জীবনমুখী ধারার এক অগ্রগণ্য শিল্পী। ১৯৯০-এর দশকের প্রথম ভাগে এই বেশ ভাল আছি অ্যালবাম প্রকাশের পর তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। নচিকেতার গানের মধ্যে বাস্তবতা খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠে তাই সচেতন শ্রোতা মহলে অনেক জনপ্রিয়। নচিকেতার সকল একক অ্যালবাম ও যৌথ অ্যালবাম ও সিনেমার গান সমূহ। প্রাথমিক জীবন জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৪, কলকাতায়। (বি.দ্র.তার সার্টিফিকেট অনুযায়ী ১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ কেই তার জন্ম তারিখ হিসেবে গনণা করা হয়ে থাকে)। তার পৈতৃক বাড়ি বাংলাদেশের বরিশালের ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার চেচরীরামপুর গ্রামে , পড়াশোনা করেছেন উত্তর কলকাতার মণীন্দ্র কলেজে। ছোটবেলা থেকেই গান লেখা শুরু, সেই সঙ্গে নিজের মতো করে গান চর্চা। প্রথম অ্যালবাম ‘এই বেশ ভালো আছি’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে এবং প্রকাশ পাওয়া মাত্র অভাবনীয় সাড়া পড়ে যায়। নচিকেতা চক্রবর্তী মুহুর্তে হয়ে যান নচিকেতা। এরপর শুধু সাফল্যের ইতিহাস। পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি কখনও। তার সবচেয়ে প্রিয় গান (নীজের লেখা গানের মধ্যে) ‘নীলাঞ্জনা ৩য় খন্ড’। এ পর্যন্ত তিনি তিনশতরও বেশি গান রচনা করেছেন এবং সুর দিয়েছেন। লেখা-লেখির ক্ষেত্রে জ্যাক লন্ডন এর লেখা পড়ে তিনি প্রথম অনুপ্রাণিত হয়েছেন। এ ছাড়া মহাভারতের কৃষ্ণ চরিত্র তাকে প্রভাবিত করে। গল্প লেখার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি ও শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। ‘লেখক’ নচিকেতার গল্পের বৈশিষ্ট্য, তিনি গল্পে পারতপক্ষে নারী চরিত্র রাখতে চান না। (১৯৯২) সালে তার প্রথম অ্যালবাম “এই বেশ ভালো আছি” মুক্তি পায়; এটি একটি তাৎক্ষণিক হিট অ্যালবাম ছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি সব বয়সের শ্রোতাকে স্পর্শ করতে পেরেছিলেন। চলিত ভাষার ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে তিনি নব্বইয়ের দশকের দিকে বাংলা সঙ্গীতের নিশ্চল অবস্থায় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। কবীর সুমন (সুমন চট্টোপাধ্যায়) এবং নচিকেতা বাংলা গানের এর প্রাচীন ধারণাকে পরিবর্তন করেছেন। কর্মজীবন এই অনুচ্ছেদটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। দয়া করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্যসূত্র প্রদান করে এই অনুচ্ছেদটির মানোন্নয়নে সাহায্য করুন। তথ্যসূত্রবিহীন বিষয়বস্তুসমূহ পরিবর্তন করা হতে পারে এবং অপসারণ করাও হতে পারে।উৎস খুঁজুন: ""নচিকেতা চক্রবর্তী"" – সংবাদ · সংবাদপত্র · বই · স্কলার · জেস্টোর ‘নচিকেতা চক্রবর্তী’ একটি আদর্শের নাম। যে আদর্শ সততা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বিপ্লবের সমন্বয়ে গড়া। সংগীত জীবনে নচিকেতার রয়েছে বেশ জনপ্রিয়তা। জীবনমুখী বাংলা গানে তিনি বিশ্বসেরা। এছাড়াও তিনি হিন্দি ও অন্যান্য ভাষায়ও বেশ কয়েকটি গান গেয়েছেন। একক অ্যালবাম ছাড়াও তিনি যৌথ অ্যালবাম এবং সিনেমার গান গেয়ে থাকেন এবং বেশ খ্যাতিও অর্জন করেছেন। যেমনঃ “হঠাৎ বৃষ্টি” (১৯৯৮) ছবিটিতে তিনি সংগীত পরিচালক হিসেবে এবং সংগীত শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। আর এই ছবির প্রতিটি গানই বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল এমনকি আজও আছে। তিনি বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনেতা হিসেবেও কাজ করেছেন। যেমনঃ কাটাকুটি, খেলাঘর, এই বেশ ভালো আছি, কে যায় ও কোয়াশা যখন ইত্যাদি। সংগীত জীবন এই অনুচ্ছেদটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। দয়া করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্যসূত্র প্রদান করে এই অনুচ্ছেদটির মানোন্নয়নে সাহায্য করুন। তথ্যসূত্রবিহীন বিষয়বস্তুসমূহ পরিবর্তন করা হতে পারে এবং অপসারণ করাও হতে পারে।উৎস খুঁজুন: ""নচিকেতা চক্রবর্তী"" – সংবাদ · সংবাদপত্র · বই · স্কলার · জেস্টোর নব্বই দশকের গোড়ার দিকের কথা- ঐ দিন তিনি দীর্ঘদিনের না ছাঁটা চুল, মুখ ভর্তি দাড়ি, ধনুকের ছিলার মত ছিপছিপে গড়ন আর আশ্চর্য তীক্ষ্ণ কিন্তু মায়াময় একজোড়া চোখ। পরনে ঢিলেঢালা শার্ট আর স্কিন টাইট জিন্স আর বেপরোয়া চালচলন যুবকটির। বুকের মাঝে তাজা বারুদ নিয়ে সে গাইছে 'এই বেশ ভাল আছি'! পুরো দেশ যেন কেঁপে উঠলো এটমিক বোমার তান্ডবে ! তার মুখনি:সৃত প্রত্যেকটি শব্দ যেন একেকটি মিসাইল হয়ে উঠলো অন্যায় অবিচার ও শাসনের নামে শোষণের বিরুদ্ধে। খেটে খাওয়া, বঞ্চিত জনতা তাদের মেরুদন্ডে পেল শক্তি ! বেকার যুবকের হতাশা তার গানে পেল নতুন ভাষা, সভ্যতার ফাঁপা বেলুন ফাটিয়ে 'স্বপ্নের ফেরিওয়ালা' হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলো সে। সৃষ্টি হল নতুন একটি যুগের। 'নচিকেতা চক্রবর্তী' একটি আদর্শের নাম। যে আদর্শ সততা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বিপ্লবের সমন্বয়ে গড়া। সংগীত জীবনে নচিকেতার রয়েছে বেশ জনপ্রিয়তা। জীবনমুখী বাংলা গানে তিনি বিশ্বসেরা। এছাড়াও তিনি হিন্দি ও অন্যান্য ভাষায়ও বেশ কয়েকটি গান গেয়েছেন। একক অ্যালবাম ছাড়াও তিনি যৌথ অ্যালবাম এবং সিনেমার গান গেয়ে থাকেন এবং বেশ খ্যাতিও অর্জন করেছেন। যেমনঃ “হঠাৎ বৃষ্টি” (১৯৯৮) ছবিটিতে তিনি সংগীত পরিচালক হিসেবে এবং সংগীত শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। আর এই ছবির প্রতিটি গানই বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল এমনকি আজও আছে। তিনি বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনেতা হিসেবেও কাজ করেছেন। যেমনঃ কাটাকুটি, খেলাঘর, এই বেশ ভালো আছি, কে যায় ও কোয়াশা যখন ইত্যাদি।"