“পরিচিতি ও হিংসা” বইয়ের সূচি কথারম্ভ ভূমিকাপ্রথম পরিচ্ছেদ বিভ্রম থেকে হিংসা ১ দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ * পরিচয়ের অর্থোদ্ধার ১৮ তৃতীয় পরিচ্ছেদ * সভ্যতার ঘেরাটোপ ॥৪১ চতুর্থ পরিচ্ছেদ * ধর্মীয় সংঘভুক্তি ও মুসলমান ইতিহাস ৫৯ পঞ্চম পরিচ্ছেদ * পশ্চিম ও পশ্চিমবিরোধী ৮৫ ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ * সংস্কৃতি ও বন্দিদশা ১০৭ সপ্তম পরিচ্ছেদ * বিশ্বায়ন ও কণ্ঠস্বর ১২৫ অষ্টম পরিচ্ছেদ * বহুসংস্কৃতিবাদ ও স্বাধীনতা ১৫৬ নবম পরিচ্ছেদ * চিন্তার স্বাধীনতা ১৭৯ * নাম নির্দেশিকা ১৯৫ * বিষয় নির্দেশিকা ১৯৯ “পরিচিতি ও হিংসা” বইয়ের ফ্লাপ বিশ্বের মহান্তম চিন্তকদের অন্যতম অমর্ত্য সেন আমাদের দেখান কীভাবে আমরা এক অধিকতর শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়ে তোলার পথে এগোতে পারি। আমি আশা করি এ বই সর্বজনপাঠ্য হয়ে উঠবে। - টেড টার্নার “তাঁর অসামান্য গদ্য, সাবলীল বিদ্যাবত্তা ও শ্লেষাত্মক কৌতুকে দীপ্ত অমর্ত্য সেন বিশ্বের অল্প কয়েকজন মেধাচারীর একজন যার উপর আমরা আমাদের অস্তিত্বগত বিভ্রমের অর্থোদ্ধার করার জন্য নির্ভর করতে পারি - নাদিন গর্ডিমার, ১৯৯১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত “শান্তির এক নতুন ও আধুনিক ভবিষ্যৎ-দৃষ্টি আমাদের প্রজন্মের কাছে নিয়ে আসেন অমর্ত্য সেন । - জর্জ অ্যাকারলফ, ২০০১ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত অমর্ত্য সেনই হচ্ছেন পরিচিতির রাজনীতি ও তার বিপদ নিয়ে লেখার আসল লোক। পরিচিতি ও হিংসা ভুল ধারণার দুষ্টপ্রভাব নিয়ে লেখা এক জোরালো প্রবন্ধ । - ইকনমিস্ট। “জোরালো পরিচিতিকে একক, অনন্য ও হিংসার দ্বারা সুরক্ষিত হতেই হবে- এই দাবিটিকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় অর্থশাস্ত্রী অমর্ত্য সেনের পরিচিতি ও হিংসা নিয়ে লেখা বই আকারের প্রবন্ধে সম্পূৰ্ণ বিধ্বস্ত করা হয়েছে । - টিমোথি গর্ডন অ্যাশ, দ্য গার্ডিয়ান(লন্ডন)
“তর্কপ্রিয় ভারতীয়” বইয়ের ফ্ল্যাপের কথা: নানা অন্বেষণ, ব্যাপক বিবিধ বিশ্বাস, রীতি ও আচার এবং ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির প্রাচুর্য নিয়ে গড়ে ওঠা বিপুল বৈচিত্র্যের দেশ এই ভারত। অর্থশাস্ত্রী অমর্ত্য সেন-এর তর্কপ্রিয় ভারতীয় জ্ঞানদীপ্ত এমন কিছু নির্বাচিত রচনার সংকলন, যা এই ভারতের দীর্ঘ তার্কিক ঐতিহ্যের আলোকে দেশ ও তার ক্রমপরিপুষ্ট গণতন্ত্রকে অনুধাবন করবার প্রয়োজনীয়তাটিকে তুলে ধরে। এই ঐতিহ্যটি যে শুধুমাত্র তার সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক বিকাশের ইতিহাসটিকে প্রভাবিত করেছে তাই নয়, সেই সঙ্গে তার ধর্মীয় বিবিধতার ভিত্তি— মননগত বহুত্ববাদের ভাব-বিনিময়মূলক ও গতিবান ঐতিহ্যটিকে যথাযথ মূল্য দিতেই হবে। পশ্চিমি দুনিয়ার ধারণায় ভারত প্রায়শই এক অন্তহীন আধ্যাত্মিকতা ও অসংগত রহস্যবাদের দেশ। তা সত্ত্বেও ভারতের আছে। সংশয়বাদ ও যুক্তিপ্রয়োগের সুদীর্ঘ এক পরম্পরা। গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান, চিকিৎসাশাস্ত্র ও রাজনৈতিক অর্থনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষ অবদানগুলি ছাড়াও সব মহান সভ্যতার মতোই এর আছে। অজ্ঞেয়বাদী ও নাস্তিক্যবাদী সাহিত্যের বিপুলতম সম্ভার। লেখকের আলোচনায় উঠে আসে। ভারতের বুদ্ধিচর্চার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য যার মধ্যে পড়ে চতুর্থ ও তৃতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দে যথাক্রমে কৌটিল্য ও অশোক এবং খ্রিস্টােব্দ ১৫৯০-এর দশকে আকবরের রেখাঙ্কিত রাষ্ট্র সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইতিহাস ও প্রাসঙ্গিকতা; ভারতের প্রাচীন ও সুসম্বদ্ধ বর্ষপঞ্জি; সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা; এবং ভারতের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে স্ৰষ্টা কবি রবীন্দ্রনাথ ও মহাত্মা গাঁধীর বিতর্ক। অমর্ত্যুর জোরালো যুক্তিতে উঠে আসে। ভারতের “তর্কপ্রিয় ভারতীয়” বইয়ের সূচীপত্র: প্রথম খণ্ড: মতপ্রকাশ ও মতভিন্নতা * তর্কপ্রিয় ভারতীয় * অসাম্য, অস্থিতি ও কণ্ঠস্বর * ভারত; বৃহৎ ও ক্ষুদ্র * বিশ্ববাসী ভারতীয় * দ্বিতীয় খণ্ড: সংস্কৃতি ও ভাববিনিময় * রবীন্দ্রনাথ ও তার ভারতবর্ষ * আমাদের সংস্কৃতি, ওদের সংস্কৃতি * ভারতীয় পরম্পরা ও পাশ্চাত্য কল্পনা * চিন ও ভারত * তৃতীয় খণ্ড: রাজনীতি ও প্রতিবাদ * নিয়তির অভিসারে * ভারতের শ্রেণিবিভাগের তাৎপৰ্য * নারী ও পুরুষ * ভারত ও পরমাণু বোমা * চতুর্থ খণ্ড; যুক্তি বিচার ও পরিচিতি * যুক্তির বিস্তুতি। * ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কিত অসন্তোষ * ভারতবীক্ষায় তার বর্ষপঞ্জির ভূমিকা * ভারতীয় পরিচিতি * নামসূচক নির্দেশিকা * বিষয়সূচক নির্দেশিকা
"জীবনযাত্রা ও অর্থনীতি" ফ্ল্যাপে লেখা কথা: অর্থনীতির নানা শাখায় লিখেছেন অমর্ত্য সেন। তাঁর বিশাল জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্র থেকে এই গ্রন্থের জন্য সেই বিশেষ ক্ষেত্রটিকে বেছে নিয়েছেন, যার কেন্দ্রে রয়েছে গরিব দেশের গরিব মানুষের ভাল থাকা মন্দ থাকার বিভিন্ন দিক নিয়ে ভাবনাচিন্তা। এর মধ্যে পড়েছে দারিদ্র্য, দুর্ভিক্ষ, অপুষ্টি ও লিঙ্গভিত্তিক পক্ষপাতের (Sex Bias) মতো অতি বাস্তব ও জীবন্ত সমস্যা, মানুষের ভাল থাকার নানান অর্থের মধ্যে চুলচেরা তাত্ত্বিক প্রকারভেদ। জীবনযাত্রার অর্থনৈতিক বিচারই প্রবন্ধগুলির প্রধান লক্ষ্য। লেখকের ভাষায়, ‘জীবনযাত্রার অর্থনৈতিক বিচারই প্রবন্ধগুলির প্রধান লক্ষ্য। লেখকের ভাষায়, ‘জীবনযাত্রার অর্থনৈতিক নিরীক্ষা অর্থবিদ্যার একটি বড় কর্তব্য।’ দশটি প্রবন্ধ নিয়ে এই গ্রন্থ। তার চারটি ভারতকেন্দ্রিক, ছ’টি কোনও বিশেষ অঞ্চল নিয়ে নয়, বলা যায় সার্বত্রিক। অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর লেখার নমুনা হিসেবে এ-প্রবন্ধগুলি বাছা হয়নি, জীবনযাত্রার অর্থনৈতিক নিরীক্ষার সূত্রেই এগুলি গ্রথিত। সূচিপত্র * গোড়ার কথা * পরিভাষা পরিচয়
সমালোচনা ও সিদ্ধান্ত * কল্যাণবিষয়ক অর্থনীতি ও বাস্তব জগৎ * জীবনযাত্রার মান- প্রথম ভাগ * জীবনযাত্রার মান- দ্বিতীয় ভাগ * অর্থনৈতিক উন্নয়ন এখন কোন পথে? * পণ্য ও মানুষ * খাদ্য, অর্থনীতি ও স্বত্বাধিকার
ভারতকেন্দ্রিক আলোচনা * দেশের অবস্থা কেমন? * খাদ্যের লড়াই : অন্নসংস্থানের সংঘাত * কিছু আন্তর্জাতিক তুলনা * জীবনকুশলতা, করণ-ভবন ও লিঙ্গভিত্তিক * পক্ষপাত * উল্লেখপঞ্জী : প্রবন্ধ ও পুস্তক * নির্ঘন্ট
"উন্নয়ন ও স্ব-ক্ষমতা" বইয়ের কথাঃ ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরষ্কার বিজেতা অমর্ত্য সেন দেখাচ্ছেন, কিভাবে অভুতপূর্ব প্রাচুর্য-সমন্বিত এই পৃথিবীতে ধনী ও দরিদ্র দেশ গুলির কোটি কোটি মানুষ এখনও পর্যন্ত অ-স্বাধীনতার শিকার। এই বইটি অমর্ত্য সেন এর স্ব-ক্ষমতা তত্ত্বের একটি সহজবোধ্য ও প্রচন্ড মনোযোগ আকর্ষণকারী ভূমিকা। “পৃথিবীর দরিদ্র ও সম্পদহীন মানুষের জন্য অমর্ত্য সেন এর চেয়ে অধিক ঋদ্ধ ও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ আর কেউ নেই।আমাদের জীবনযাত্রার মানের পরিমাপ যে সম্পত্তির দ্বারা নয়, হওয়া উচিত স্বাধীনতার দ্বারা, এটা দেখিয়ে তাঁর রচনাগুলি উন্নয়নের তত্ত্ব ও প্রয়োগ কে বৈপ্লবিত করে তুলেছেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘ তার উন্নয়নমূলক কাজে অধ্যাপক সেন-এর দৃষ্টিভঙ্গির প্রজ্ঞা ও মঙ্গলবোধের দ্বারা প্রভূতভাবে উপকৃত হয়েছে।” ...........................কোফি আন্নান, সেক্রেটারি জেনারেল, রাষ্ট্রসঙ্ঘ “বইটিতে অমর্ত্য সেন ঠাসবুনোট অথচ প্রশস্ত আলোচনায় সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রকৃতির মধ্যেই নিহিত আছে স্বাধীনতার প্রসার। ঐতিহাসিক উদাহরণ অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ প্রমাণ, এবং জোড়ালো ও তীক্ষ্ণ বিশ্লেষনের মাধ্যমে তিনি দেখান যে প্রশস্ত ও সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিতে উন্নয়ন স্বাধীনতার বিরোধী তো নয়ই, বরং স্বাধীনতাকে বাড়িয়ে তোলাই এর অন্তর্নিহিত বিষয়” .........................কেনেথ এ্যারো, অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজেতা
অমর্ত্য সেন (Amartya Sen , জন্ম ৩রা নভেম্বর, ১৯৩৩) একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় বাঙালী অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক। দুর্ভিক্ষ, মানব উন্নয়ন তত্ত্ব, জনকল্যাণ অর্থনীতি ও গণদারিদ্রের অন্তর্নিহিত কার্যকারণ বিষয়ে গবেষণা এবং উদারনৈতিক রাজনীতিতে অবদান রাখার জন্য ১৯৯৮ সালে তিনি অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে ব্যাংক অফ সুইডেন পুরস্কার (যা অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার হিসেবে পরিচিত) লাভ করেন। অমর্ত্য সেনই জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য মানব উন্নয়ন সূচক আবিষ্কার করেন। তিনিই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হয়েও ন্যাশনাল হিউম্যানিটিস মেডালে ভূষিত হন। তিনি বর্তমানে টমাস ডাব্লিউ ল্যামন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক অধ্যাপক এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি হার্ভার্ড সোসাইটি অফ ফেলোস, ট্রিনিট্রি কলেজ, অক্সব্রিজ এবং ক্যামব্রিজের একজন সিনিয়র ফেলো। এছাড়াও তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের মাস্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হেলথ ইমপ্যাক্ট ফান্ডের অ্যাডভাইজরি বোর্ড অফ ইনসেন্টিভ ফর গ্লোবাল হেল্থ্ এর সদস্য। তিনি প্রথম ভারতীয় শিক্ষাবিদ যিনি একটি অক্সব্রিজ কলেজের প্রধান হন। এছাড়াও তিনি প্রস্তাবিত নালন্দা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবেও কাজ করেছেন।অমর্ত্য সেন এর লেখা বইগুলোর মধ্যে অন্যতম হলোঃ Development as Freedom(বাংলা অনুবাদে উন্নয়ন ও স্ব-ক্ষমতা), Rationality and Freedom,The Argumentative Indian(বাংলায় তর্কপ্রিয় ভারতীয়)এবং The Idea of Justice ,Identity and Violence The Illusion of Destiny(বাংলায় পরিচিতি ও হিংসা). অমর্ত্য সেনের লিখিত বই বিগত চল্লিশ বছর ধরে প্রায় তিরিশটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে ।
Amartya Sen Er Onubad Collection (7ti Boi) Porichiti O Hingsa, Niti O Najjota, Torkopriyo Bharotiyo, Bharot Unnoyon O Bonchona, Jibonjatra O Orthoniti, Unnoyon O Smokkhomota, Fast Boyder Desh কার্টে যুক্ত হয়েছে