সমকালীন রাজনীতি ও রবীন্দ্র ভাবনায় পল্লি উন্নয়ন বাসুদেব সরকার রবীন্দ্রনাথের রাজনীতির ধারা মানবমুখী। তাঁর মনচিত্রে যে সকল মানুষ এসেছে তাদের মধ্যে ‘তাহাদের কথা’ অর্থাৎ লোকসাধারণের কথা ভেবেই রবীন্দ্রনাথ ভারতবর্ষের বৃহত্তর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সমকালীন রাজনীতির অন্ধ অনুকরণ না করে নীতির রাজার পক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সোচ্চার হয়েছেন বারে বারে ; যার উদ্দেশ্য ভারতবর্ষের সার্বিক উন্নয়ন। গ্রামকেন্দ্রিক ভারতবর্ষের মূল অর্থনৈতিক ভিত্তির শিকড় কোথায় তা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বুঝলেন যখন বিলেত ফেরৎ রবীন্দ্রনাথ মহর্ষির নির্দেশে জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব পেলেন। শহুরে রবীন্দ্রনাথ হলেন গ্রামমুখী। শিলাইদহে গিয়ে উপেন, দুখীরাম, ছিদামদের পাশে দাঁড়ালেন। এদের স্বাবলম্বী, সাহসী ও আত্মশক্তিতে জাগ্রত করার জন্য। নীচে ফেলা মানুষেরা বাঁধবে যে নীচে—তাই তাদের উজ্জ্বল পরমায়ুর কথা ভেবে রবীন্দ্রনাথ জমিদারির জমিতে দুই ধরনের ফসল ফলালেন। ১. তাঁর সাহিত্য ধারায় উঠে এল 'ছিন্নপত্র', ছোটোগল্প এবং বিচিত্র ধরনের কাব্যগ্রন্থ, প্রবন্ধ। ২. তাঁর নানা প্রকার পরিকল্পনার মাধ্যমে পল্লি পুনর্গঠন।