হে মু’মিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে আনুগত্য কর আল্লাহর, আনুগত্য কর রসূলের এবং তাদের যারা তোমাদের মধ্যে ক্ষমতার অধিকারী (খলীফা, আমীর, ইমাম, ফক্বীহ); কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটলে, তা আল্লাহ (কিতাবুল্লাহ) এবং রসূলের (সুন্নাহর) নিকট উপস্থাপন কর। এটাই উত্তম এবং পরিণামে প্রকৃষ্টতর। [সূরা আন্-নিসা ৪:৫৯] আল্লাহ ও তার রসূল ছ¦ল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দিকে প্রত্যাবর্তন করার অর্থ হল, তার কিতাবের দিকে প্রত্যাবর্তন করা। আর রসূল ছ¦ল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মৃত্যুর পর তার দিকে প্রত্যাবর্তন করার অর্থ হল তার সুন্নাতের দিকে প্রত্যাবর্তন করা।[ ] আর এ বিষয়টিকে ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত করে বলা হচ্ছে যে, إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ অর্থাৎ যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখ। সুতরাং দ্বন্দ্ব নিরসনকে কিতাবুল্লাহ ও সুন্নাতে রসূলের দিকে প্রত্যাবর্তন করাই হল প্রকৃত ঈমানের পরিচয়। যদি কেউ দ্বন্দ্ব নিরসনে কুরআন ও সুন্নাহ ছাড়া অন্য দিকে প্রত্যাবর্তন করে তাহলে সে ঈমানদার নয়। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন: ﵟوَمَا ٱخۡتَلَفۡتُمۡ فِيهِ مِن شَيۡءٖ فَحُكۡمُهُۥٓ إِلَى ٱللَّهِۚ ﵞ তোমরা যে বিষয়েই মতভেদ কর না কেন- তার মীমাংসা তো আল্লাহর নিকট। [সূরা আশ-শূরা ৪২:১০] আল্লাহ দ্বন্দ্ব নিরসনকে কুরআন ও সুন্নাহ (হাদীছ) ছাড়া অন্য কারো দিকে প্রত্যাবর্তন করাকে বৈধ করেননি। এ ব্যাপারে প্রথম ও শেষ যুগের ছাহাবাদের, প্রথম ও শেষ যুগের তাবিঈদের এবং প্রথম ও শেষ যুগের তাবে-তাবিঈনদের ইজমা রয়েছে যে, তাদের মধ্যে কোন মানুষের দিকে কিংবা তাদের পূর্ববর্তীদের দিকে প্রত্যাবর্তন করা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ।