এ কাহিনী এক হিসাবে পৃথিবীর ইতিহাসের মতই পুরাণ-কথা। দেশ কাল এবং মানুষের গোষ্ঠীভেদে তাহার ভাষ্যও একই রকম নয়। লিপিবদ্ধ ইতিহাসে রাজ্যরাষ্ট্র ভাঙাপড়া, তাঁহার রাজরাজন্যের বিবরণ আছে। শিলালিপি, তাম্র, এমন কি স্বর্ণপাত্রেও বহু কীর্তি-কাহিনী এবং জয় পরাজয়ের খণ্ড খণ্ড অধ্যায় মিলাইয়া যে ইতিহাস সাধারণত লিখিত হয় তাহারও বাহিরে জীবন কথা পড়িয়া রয় সেইদিকে কাহারও দৃষ্টিপাত বড় সহজ হইয়া ওঠে না। ভূর্জ্জ অথবা তালপত্রেও যে গাথা- উপগাথা মানুষের মন্দিরে মন্দিরে শোভা পাইয়াছে তাহার মধ্যেও এর কোনও উল্লেখ নাই। রাজ্য-রাজন্য দেব ও মহাপুরুষের কাহিনী জগৎ বিশ্রুত করার চেষ্টার কখনও বিরাম ছিল না। মানুষের আদি যুগ হইতে অজিও পর্যন্ত তাহার বহু রূপান্তর ঘটিয়াছে। কিন্তু তাহারই পাশাপাশি যে বিরাট ও বিপুল জীবনধারা একরকম সঙ্গোপনে সাধারণ দৃষ্টিরও অজ্ঞাতে ক্রমাগত আবর্তিত বিবর্তিত হইয়া চলিয়াছে, তাহা একান্তভাবেই প্রকৃতি পুরুষের লীলাখেলা। তাহার ব্যাপ্তি এমন যে কাল সেইখানে লক্ষ বর্ষেও চক্ষের পলকমাত্র, একই সঙ্গে তাহার ললিত কঠোর চারিত্র্য, সৃষ্টি এবং ধ্বংস একই সঙ্গে পরস্পরের পরিপূরক। পণ্ডিতজনের তর্কশাস্ত্রে যাহাই এ থাউক, মানুষ যতই সূচাগ্র মেদিনী আবিষ্কারের বড়াই করুক,