চাকুরি পরীক্ষা কিংবা ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় সন শিখতে গিয়ে অসহায় হয়ে পড়েননি এমন ব্যক্তি পাওয়া মুশকিল। এমনকি এখনও যারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাচ্ছেন সন শেখার কত কষ্ট…!! আপনি হয়তো ভাবছেন ইশ এমন যদি হতো যাদুর মতো সবগুলো সন নিমিষেই শিখে ফেলতে পারতাম…!! প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সামান্য নম্বর এগিয়ে থাকা মানে হাজার হাজার প্রতিদ্বন্দ্বিকে পিছনে ফেলে নিজের অবস্থানকে নিশ্চিত করা। সেক্ষেত্রে কষ্টদায়ক এই সন শেখাকে সহজ করার জন্য হয়তো অনেক লেখক অনেক বই লিখেছেন কিন্তু “সন শেখার যাদুবিদ্যা: ডিজিট লার্নিং ম্যাজিক” এই বইটি সবার থেকে আলাদা। গণিতের ১০টি ডিজিটের কোডএই বইটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ডিজিট মনে রাখার জন্য ১০টি ডিজিটের জন্য ১০টি কোড ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন- ২= দ, চ=৪, ৫=প, ৯=ন ইত্যাদি ( ৫৯=পানি/ পানা/ পিনা)। এক্ষেত্রে আপনি যেকোন ডিজিট যেমন- কবি সাহিত্যিকদের জন্ম-মৃত্যু, গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরের সন, ঐতিহাসিক ঘটনাবলির সন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকাল, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস, পত্র পত্রিকার প্রকাশকাল মোটকথা পরীক্ষায় আসে এমন সবকিছুই শিখতে পারবেন নিমিষেই; ঠিক যেন যাদুর মতই। বইটি অনুশীলন করে ঝটপট যেমন শিখতে পারবেন, ঠিক তেমনি দীর্ঘদিন মেমোরিতে রাখতে পারবেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে বইটিতে যেসব ছন্দ ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো আপনার পছন্দ না হলে আপনি কোড ব্যবহার করে নিজেই ছন্দ বানাতে পারবেন । বইটিতে প্রচুর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে ঘটনার সাথে আপনি ভিজুয়াল ধারণা পাবেন এবং তা আপনার মেমোরিকে মনে রাখতে ব্যাপক কাজে দিবে। বইটিতে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি অংশে বিভিন্ন দেশের ইতিহাস বিষয়ক তারিখগুলো এতো সুন্দর করে বর্ণনা করে দেওয়া আছে আপনার কাছে মনে হবে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ মানে একটা বইয়ে আপনি সবকিছু পেয়ে যাবেন। বইটির শেষের অংশে এক দুর্দান্ত সংযোজন রয়েছে। এখানে বিগত সালের প্রশ্নের উপর ভিত্তি করে (১-১০০) পর্যন্ত ডিজিট সংক্রান্ত সকল প্রশ্ন গ্রুপভিত্তিক বিন্যাস করে দেওয়া হয়েছে যা আপনার কাছে আর্কাইভসের মতো কাজ করবে। তাই আর দেরি কেন? এখনি শিখে নিন আর এগিয়ে থাকুন কয়েকধাপ।