“লালনভাষা অনুসন্ধান ২ (ব্যঞ্জনবর্ণ)" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ গুরুবাক্য বলবান আর সব বাহ্যজ্ঞান। গুরুবাক্য পদ্মবাক্য মানে জ্ঞানবাক্য। গুরু বিনে ভাষা, বাক্য, জ্ঞান কিছুই নেই। সম্যক গুরুমুখের একটি বাক্যের সূক্ষ্ম অর্থ বুঝে উঠতে ভক্তের এক জীবন কেন কয়েক জন্মও লেগে যেতে পারে। সাধু জগতে এমন বিখ্যাত বিধান এ অঞ্চলে হাজারাে বছর ধরে জাৰি আছে। সাধুর মুখনিসৃত একটি শব্দ কি ধ্বনির সূক্ষ্মতর বিস্তারিত ব্যাখ্যা লিখলে হাজার পৃষ্ঠার বই হয়ে যেতে পারে। এমনই মহান শক্তিধর শাইজি লালন ফকির। তার ভাব ও ভাষা সাধারণের সামান্যজ্ঞানে বুঝে ওঠা একেবারে অসম্ভব। বিশেষজ্ঞান তথা ‘লা’এর আত্মিক সাধনা দিয়ে আবদেল মাননান যেমন বুঝেছেন সেভাব অকৃত্রিম ভাষায় কলমের তলােয়ার চালিয়ে পরীক্ষা করেছেন এখানে। প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত আভিধানিক ধারণাতন্ত্রের শব্দজ্ঞান আর ভাষাকাঠামাে ছাড়িয়ে তিনি লালনীয় ভাব-বচনের শুদ্ধার্থ চুম্বক কথায় এখানে। ঘেঁকে তুলেছেন আত্মদর্শনের সাধনায়। তার আগে আর কেউ এতাে মৌলিক অর্থে লালন গবেষণার ঝুঁকি কখনাে নেননি। শাঁইজির দরদী প্রেমিক না হলে এতাে কষ্টসাধ্য দায় কে আর গ্রহণ করতে চায়?