ফ্ল্যাপে লিখা কিছু কথা লোকোত্তর মহাপুরুষ সদর উদ্দিন আহমদ চিশতী অত্যন্ত অন্তর্মুখি ও চরম প্রচারবিমুখ এক ব্যতিক্রমি ব্যক্তিত্ব। হাজারো বছরের সাম্রাজ্যবাদী ও সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ মূলক ধর্মচর্চা ও ধারনার বিপরীতে তাঁর হাত দিয়েই উন্মক্ত হয়েছে সর্বকালীন কোরানের সৃষ্টিরহস্য মূলক জ্ঞানরাজ্যের অজানা দিগন্ত ‘লা’ মোকাম তথা পরম ‘নির্বান’ কেন্দ্র । জাগতিক বিষয় মোহরে চাঞ্চল্যকর সমস্ত আকর্ষন তথা ‘হ্যাঁকে অবিরাম ‘লা’ বা ‘না’ করে দিতে জানেন বলেই হকিকতে তিনি এবং লালন অখন্ড ও অভেদাত্নক । আল্লাহর তিন রুপ যথাক্রমে আকার, সাকার, নিরাকারকে আপন দেহ হেরাগুহার জ্যোতির্ময় কোরানভাষ্য দিয়ে প্রমান করেন তিনি পুনর্বার । তাঁর সবকটি বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, তাঁকে কারাপ্রকোষ্ঠ বন্দি রেখে , এমনকি তাঁর আখড়াসহ বাড়িঘর সম্পূর্ন ধ্বংস করে দিয়েও এতোটুকু টলানো সম্ভব হয়নি এ সুফি সম্রাটকে । আজকের বিশ্বে এমন মহামানব সত্যিসত্যি অতি বিরল। তাঁকে নিয়ে কোনো বৃহৎ গবেষণাকর্মের সাহস ইতোপূর্বে আর কারো হয় নি। তরুন দার্শনিক -কবি আবদেল মাননান ‘আপন গুরু’র আনন্দময় গুপ্তব্যক্ত ভাবরাজ্যে বিহার করেছেন বহুদিন। গুরুদর্শনে ও গুরুভাব অন্বেষণে আত্নসূখভোলা-নিরলস এ সাধক সদর উদ্দিন আহমদের বাহ্যখোলস সম্পূর্ণভেদ করে তাঁর মর্ম গভীরে প্রবেশ করেছেন। স্বার্থন্ধ পারিবারিক ও দলীয় সংকীর্ণতার সমূহ গণ্ডী ভেঙ্গে তিনি মহৎ গুরুর সর্বজনীন সত্যকে অবমুক্ত ঘোষণা করেন প্রকাশ্যে, তাঁর অপ্রকাশিত চিঠিপত্রের প্রামান্য দলিলযোগ্য। এ শুধূ ট্র্যাডিশনাল স্মৃতিভরাতুর ব্যক্তিগত পত্রাবলি নয় তাই। তারচেয়েও বেশি কিছু ,অনেক বড় কিছু। সূচি *মুখবন্ধ *পটভূমি *পত্রাবলি *টীকাভাষ্য
Title
আমার সদগুরু সদর উদ্দিন আহমদ চিশতীয় অপ্রকাশিত পত্রাবলি