ভুমিকা চাণক্য যখন যুবক ছিলেন তখন কিছু লেখেননি । আগে এরকম পরম্পরা ছিলও না। প্রাপ্ত অথবা একত্রিত জ্ঞানের অভিজ্ঞতার ঠিক মত পরীক্ষা-নিরিক্ষা করেই লেখা হত । অমাত্য পদ থেকে নিজেকে মুক্ত করার পর চতুর্থ অবস্থায় চাণক্য লেখা শুরু করেন। নীতি শাস্ত্র লেখেন, নীতিসূত্র লেখেন, অর্থশাস্ত্র লেখেন। প্রচুর লেখেন, সবার জন্য লেখেন এবং খুবই সুন্দর লেখেন। সেই সবকিছু আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া এই পুস্তক চাণক্য; প্রশাসন বিধি এবং শাসন কলা, নিজের থেকে শুরু করে সবার ওপর শাসন করা চানক্যর থেকে শিখুন, এর একমাত্র উদ্দেশ্য । চাণক্য স্থাপিত এক বিশাল রাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে লিখেছেন, সবার অস্তিত্তের রক্ষা আর বিকাশের জন্য লিখেছেন, এইজন এই বইটি চিন্তাশীল, লেখক, প্রবন্ধক, সেবক, শাসক, প্রশাসক, রাজনিতীজ্ঞ, রাজনইক, ব্যবস্থা শিক্ষক- প্রশিক্ষক ব্যবস্থা- শিক্ষার্থী, সরকারি অধিকারী, সাধারন পাঠক সবার জন্য। এতে যথাসাধ্য বর্তমান সময়োপযোগী শব্দ ও চিন্তাভাবনা রাখা হয়েছে যাতে আজকের পাঠকরা সহজেই বুঝতে পারে। রাজকীয় ব্যবস্থাকে ব্যবসায়িক ব্যবস্থা ও প্রশাসকিয় ব্যবস্থার ছাঁচে ফেলে প্রস্তুত করা হয়েছে যাতে নিজের থেকেই অন্তর্দৃষ্টি বিকশিত হয় । এতে চাণক্যর জীবনী আছে, জীবনের মহত্বপূর্ণ ঘটনাবলি আছে, উনার উপলব্ধিও আছে, জীবনকে সুখ-সমৃদ্ধ করে তোলার তার বিচারধারা, তার বোলে দেওয়া রাস্তাও আছে। শাসক হওয়া, শাসক তৈরি করা, সাম্রাজ্য স্থাপন করা, তাকে সুদৃঢ় করা, তার যথোপযোগী ব্যাবস্থা নেওয়া, উত্তরোত্তর ধন-সম্পত্তির বৃদ্ধি করা, প্রত্যেকটি জিনিস লেখা আছে।